Thursday 17 March 2011

বাংলাবান্ধায় ভারতীয় প্রেমিকযুগল আটক পরে ফেরত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-০৩-২০১১


পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় প্রেমিকযুগলকে আটক করার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। একটি মোটরসাইকেলে করে তারা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। আটক ব্যক্তিরা হলো দশম শ্রেণীর ছাত্রী ঝরনা পাল (১৫) ও দীপংকর রায় (১৬)। তাদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজ চলছিল। এ সময় ওই প্রেমিকযুগল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। পরে বাংলাদেশের দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে।

পঞ্চগড় ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদেকুল বারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। তাদের বিএসএফের মাধ্যমে ভারতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তারা একে অপরের আত্মীয় ও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

Tuesday 15 March 2011

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তিন শ্রমিককে পেটাল বিএসএফ




কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | তারিখ: ১৫-০৩-২০১১


মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থলবন্দর এলাকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তিন শ্রমিককে বেধড়ক পিটিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টের ১৮৬৩ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকার ভারতের অংশে বিরোধের জের ধরে ভারতীয় দুই ব্যবসায়ীর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় ক্যাম্প কমান্ডার আর কে চাকমার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি বিএসএফ দল বাংলাদেশ অংশে অনুপ্রবেশ করে দুই ট্রাকচালক ফারুক মিয়া ও আসিক মিয়া এবং হেলপার মো. সেলিমকে বেধড়ক পেটাতে থাকে।

কর্তব্যরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক জালাল উদ্দীন ও সদস্য বাবুল আহমেদ জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিএসএফ সদস্যরা অতর্কিতে বাংলাদেশে ঢুকে ওই তিন শ্রমিকের ওপর হামলা চালান। পরে বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার মনোজ কুমার ঘটনাস্থলে এসে দুঃখ প্রকাশ করেন।

আহত ট্রাকচালক ফারুক মিয়া ও আসিক মিয়া জানান, তাঁরা ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর ইট জিরো পয়েন্টে ট্রাক থেকে খালাস করছিলেন। এ সময় বিএসএফের দলটি তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নূরুল হুদা বলেন, বিএসএফের এ আচরণ খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

Saturday 12 March 2011

বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশি যুবক আহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ১২-০৩-২০১১



রাজশাহীর পবা উপজেলার খানপুর সীমান্তে আবদুল কাদির (৩৫) নামের এক যুবককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাদিরের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামে।

চিকিৎসাধীন কাদির জানান, তিনি একজন গরু ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনিসহ ১০-১২ জন ভারতের কাতলামারী এলাকা থেকে গরু নিয়ে খানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছিলেন। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করেন। গরু ফেলে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তিনি তাঁদের হাতে ধরা পড়ে যান। কাদির বলেন, বিএসএফের সদস্যরা তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাঁরা তাঁকে প্রায় অচেতন অবস্থায় সেখানে ফেলে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

Wednesday 9 March 2011

সীমান্ত আলোচনায় প্রধান ইস্যু ফেলানি হত্যা

Wed, Mar 9th, 2011 7:49 pm BdST

নয়া দিল্লি প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

নয়া দিল্লি, মার্চ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর বার্ষিক বৈঠকের আলোচনায় দুই মাস আগে সীমান্তে ফেলানি হত্যা ইস্যুটি প্রাধান্য পেতে পারে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ এর শীর্ষ কর্মকর্তারা ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বুধবার তাদের বার্ষিক এই সমন্বয় বৈঠক শুরু করেছেন।

এতে ২০ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এর প্রধান মেজর জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম। বিএসএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রমন শ্রীবাস্তব।

এই সীমান্ত সম্মেলন রোববার শেষ হওয়ার কথা।

অবশ্য শনিবার 'জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন' স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি দুদেশের সীমান্তে সংযম প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করবে। অন্যদিকে বিএসএফ অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না করতে দুদেশের সীমান্তবর্তী জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির সুপারিশ করতে পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে সন্ত্রাসী ও অন্যান্য অপরাধীদের আন্তঃসীমান্ত চলাচল, সীমান্তপথে অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে বিএসএফ জোর দেবে। উভয় পক্ষ যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করবে।

বিএসএফ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের যেখানে জিরো লাইন থেকে দেড়শ' মিটার দূরত্বে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে জিরো লাইন বরাবর কিছু স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ব্যাপারে বিজিবির মতামত জানতে চাইতে পারে।

গত ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফেরার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার শুরু করে। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশ নিয়ে যায়।

পরদিন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বানারভিটা গ্রামের নূর ইসলাম নূরু পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আসাম রাজ্যে বনগাইগাঁও টুনিয়াপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তার তিন মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে ফেলানী ছিল সবার বড়।

ফেলানীকে বিয়ে দিতেই তাকে নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফেলানীর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো।

ফেলানির ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার রাজীত মিত্রকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় ভারতীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোপাল কে পিল্লাইয়ের সঙ্গে বৈঠকেও এ ইস্যুটি তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার। পিল্লাই ফেলানি হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তিনি এও বলেন যে, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না করতে লোকদের সচেতন করা উচিত বাংলাদেশের।

মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার' এর এক রিপোর্টে বলা হয়, গত এক বছরে সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে ৭৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আহত হয় আরো ৭২ জন।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ 'ট্রিগার হ্যাপি' শিরোনামে এক রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ মানুষ হত্যা করছে এবং তাদের এ অপরাধের কোনো বিচার হচ্ছে না। গত ১০ বছরে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে ৯শ'রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

দুদেশের মধ্যে ৪,০২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ২২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটারই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এইচএ/২১০০ ঘ.

Tuesday 1 March 2011

বেনাপোল সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়েছে বিএসএফ সদস্যরা

বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে সোমবার ভোরে আনোয়ার আলী নামে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে দিয়েছে বিএসএফ।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পুটখালী ক্যাম্প কমান্ডার এমদাদ হোসেন জানান, আনোয়ার আলী ভারত থেকে গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে ভারতের আংরাইল ক্যাম্পের টহল বিএসএফ সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমানায় ফেলে দেয়। সকালে গ্রামবাসী তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।