Thursday 26 July 2012

জমিতে পানি দেওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ২৬-০৭-২০১২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় সীমান্তবর্তী জমিতে পানি দেওয়ার সময় গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত সানাউল হক (২৫) শিবগঞ্জের সাহাপাড়া-চানপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৯ ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর আবু নাঈম বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে শিংনগর সীমান্তের ১৬৯ নম্বর পিলারসংলগ্ন এবং সীমান্ত থেকে ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে বর্গা নেওয়া জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন সানাউল হক। ওই সময় দৌলতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সানাউল।

আবু নাঈম বলেন, বিনা উসকানিতে সানাউলকে গুলি করে হত্যা করার প্রতিবাদ ও পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে পতাকা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমির উদ্দীন বলেন, সানাউলের ডান চোখের একটু নিচে গুলি লাগে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সানাউলের আবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-26/news/276911

সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ


জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল সীমান্তে গরু রাখাল আবু আলম (২৪) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তবর্তী সানিয়াজান নদী থেকে আলমের লাশ উদ্ধার করে বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা নিশ্চিত করেছে।

নিহত আলম পাটগ্রাম পৌরসভার কোটতলী রেলওয়ে কলোনি এলাকার মৃত সামসুল হকের ছেলে। তবে লাশটি আলমেরই কিনা তা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বুড়িমারী বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বুধবার গভীররাতে রাসেলের নেতৃত্বে আলমসহ বাংলাদেশি ১১ রাখালের একটি দল বামনদল সীমান্তের ৮৩৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিএসবাড়ী এলাকার সানিয়াজন নদী পার হয়ে গরু আনতে যান। ওই রাতে গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে রাখাল দলের ১০ জন বাংলাদেশে পার হয়ে আসতে পারলেও আলম ৩টি গরুসহ বিএসবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের হাতে আটক হন।

এরপর বিএসএফ সদস্যরা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ সানিয়াজান নদীর এক নম্বর বিএসবাড়ী বেইলি ব্রিজের ভাটিতে ভাসিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আলমের লাশ বামনদল সীমান্তের ৮৩৫ নন্বর মেইন পিলারের ৫ ও ৬ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতীয় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের খড়খড়িয়া ১০৪ বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে সানিয়াজান নদীতে ভেসে ওঠে। এ সময় বিএসএফ নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে বিজিবিকে জানালে এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহত যুবকের প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম ও মামুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করার জন্য আমাদের ২ জনকে খড়খড়িয়া ক্যাম্পের সামনে বিএসএফের কাছে পাঠায়। নিহতের মুখ-ম-ল হাতুড়ি দিয়ে এমনভাবে থেতলে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে যে চেনার কোনো উপায় নেই। শরীর পানিতে থাকায় ফুলে গেছে। তবে দেহ দেখে মনে হয়েছে এটিই আলমের লাশ।’’

বিএসএফের নির্যাতনে নিহত আলমের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোহসেনা আক্তার সুমি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘গরু পারপারকারী দলের নেতা রাসেল রাতে আমাকে বাড়িতে এসে বলেছেন আলমকে বিএসএফ আটক করেছে। নিহত ব্যক্তিই আমার স্বামী হবে। এ কথা বলে সুমি শুধুই বিলাপ করছিলেন।’’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত আলমের আর কেউ না থাকায় লাশ নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এছাড়া সুমিরও কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সুমি নিজেও কোথাও যেতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল ঘটনাস্থল থেকে বাংলানিউজকে জানান, লাশটি এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশ সনাক্তের চেষ্টা চলছে। কোচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানী কমান্ডার বলবীর সিংহ পতাকা বৈঠকে জানিয়েছেন লাশটি ভারতীয় নাগরিকের নয়।

এদিকে, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের বাদনদল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, বুড়িমারী ইউনিয়নের কোনো ব্যক্তি নিহত বা নিখোঁজ হয়নি। এ লাশও এ এলাকার কারো নয়।

লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডারকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু লাশের কোনো দাবিদার না থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। লাশের প্রকৃত দাবিদার পাওয়া গেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে লাশ ফেরত চাওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়:  ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১২ 

Sunday 15 July 2012

এবার যুবকের হাত-পা ভেঙে দিল বিএসএফ


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ১৫-০৭-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশি রাখালকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতনের কারণে ওই বাংলাদেশির পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ধুবলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রাখালের নাম আক্তারুল ইসলাম (২৬)। তিনি সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের ছোবহান সরদারের ছেলে। 

ছয়ঘরিয়া কালিয়ানি কারিকরপাড়ার আতিয়ার রহমান জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আক্তারুল ইসলামসহ তিনজন ছয়ঘরিয়া সীমান্তে গরু আনতে যান। আজ ভোর চারটার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ধুবলি নামক স্থানে কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় আক্তারুলকে বিএসএফ ধরে ফেলে। তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে দুই পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে দেয়। পরে মৃত ভেবে তাঁকে ৭ নম্বর মেইন পিলারের ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ফেলে যায়। খবর পেয়ে তিনিসহ কয়েকজন গ্রামবাসী আক্তারুলকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আক্তারুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বিএসএফ তাঁকে লাঠি দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সীমান্ত গ্রামবাসী তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক হাফিজ উল্লাহ জানান, আক্তারুলের দুই পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে গেছে। তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, একজন রাখাল ছয়ঘরিয়া সীমান্ত থেকে ভারতের এক কিলোমিটার ভেতরে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। গোপনে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাছের জানান, বিষয়টি জানার পর ভারতের কৈজুরি বিএসএফ ক্যাম্পে নির্যাতিত রাখালের ছবিসহ প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে। কাল ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পাশাপাশি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হবে। 


Wednesday 4 July 2012

সীমান্তের ওপারে পড়ে আছে বাংলাদেশি কিশোরের লাশ!

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৭-২০১২

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকায় বাংলাদেশি এক কিশোরের লাশ পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মো. রতন (১৭) নামের ওই কিশোরের বাড়ি তেঁতুলিয়ার বিহারিপাড়া গ্রামে। পরিবারের দাবি, রতনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ। 

নিহত রতনের বাবা হায়দার আলী জানান, রতন ১৫-২০ দিন আগে ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত সোমবার রাতে সে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে ফিরছিল। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রতনকে ধরে ফেলেন বিএসএফের সদস্যরা। হায়দার দাবি করেন, বিএসএফের সদস্যরা রতনকে ধরে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করেছে। ফিরে আসা গরু ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি এ খবর জানতে পেরেছেন।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ফেরত আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বলা হয়েছে।

বিজিবির তেঁতুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার মোজাম্মেল হক গতকাল বিকেল পাঁচটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফের মুড়িখাওয়া ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পতাকা বৈঠক শুরু হবে। সেখানে আলোচনার পর এ বিষয়ে বলতে পারব।’

পঞ্চগড় ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশি এক কিশোরের লাশ ভারতের মাটিতে পড়ে আছে। তার মৃত্যুর কোনো কারণ জানতে পারিনি। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক চলছিল।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-04/news/271117

Tuesday 3 July 2012

কলারোয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ০৩-০৭-২০১২

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় ভূখণ্ডে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আটক করা হয়েছে অপর এক বাংলাদেশিকে। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আলতাফ হোসেন (২২)। তিনি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আটক করে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি একই গ্রামের মহিদ হোসেন (৩০)।

সীমান্ত গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বাংলাদেশি ৮-১০ জনের একটি দল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যায় গরু আনতে। গতকাল ভোরে গরু নিয়ে ফেরার সময় কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার তারালি এলাকায় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। বিএসএফ সদস্যরা মহিদ হোসেনকে আটক করে ভারতের হাকিমপুর ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর নিহতের লাশ ও আটককৃত বাংলাদেশিকে ফেরত চেয়ে সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি কাকডাঙ্গা ক্যাম্পের পক্ষ বিএসএফের হাকিমপুর ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়। এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কলারোয়ার কেঁড়াগাছি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মাদরা কোম্পানি কমান্ডার সুলতান আহম্মেদ ও বিএসএফের নেতৃত্ব দেন ভারতের আমুদিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ভিপি সিং। ৩৮ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাসির ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহতের লাশ ও আটক বাংলাদেশিকে সে দেশের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনি-প্রক্রিয়া ছাড়া লাশ ও আটক ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।


 http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-03/news/270782