Monday 18 April 2011

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ১৮-০৪-২০১১


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ সোমাবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরার গাজীপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কলাপোতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত একজনের নাম রেকাতুল ইসলাম (১৫)। সে কালীগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মুনছুর গাজীর ছেলে। নিহত অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তিরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার মাঘুরালি গ্রামের পোটাল মিঞার ছেলে শাহাদাত্ হোসেন (২৪) এবং শ্যামনগর উপজেলার জাবাখালী গ্রামের ইমান আলী মোল্লার ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪২)। আহতদের খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহতেরা সবাই গরুর রাখাল বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রাখাল জানায়, রেকাতুল, শাহাদাত্, আজিজুলসহ তাদের ২৮ জনের একটি দল শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যায়। আজ ভোর সাড়ে চারটার গরু নিয়ে আসার সময় গাজীপুর সীমান্তের বিপরীতে জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতের ২০০ গজ ভেতরে বসিরহাট মহকুমার কলাপোতা গ্রামে হেলাতলা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই রেকাতুলসহ দুজন নিহত হয়। রেকাতুলের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারলেও অন্যজনের লাশ তারা নিয়ে আসতে পারেনি। শাহাদাত্ ও আজিজুল গুলিবিদ্ধ হয়ে জিরো পয়েন্ট পৌঁছালে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফরিদউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রেকাতুলের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরা ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এনায়েত করিম বলেন, ‘নীলডুমুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের খাজিয়া সীমান্ত এলাকা একটি লাশ পাওয়া গেছে বলে শুনেছি। তবে বিএসএফের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।’

Thursday 14 April 2011

বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত




যশোর অফিস | তারিখ: ১৪-০৪-২০১১


যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্তে গতকাল বুধবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তার নাম মুন্না মিয়া (১৫)। সে বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের বিনু মিয়ার ছেলে।

২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বেনাপোলের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার লিয়াকত আলী জানান, গতকাল রাতে মুন্না মিয়া ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী মিলে ভারতে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে ফেরার পথে সাদিপুর সীমান্তে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে মুন্না মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। তার সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Monday 11 April 2011

বিএসএফের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রোকনপুর-নীতপুর সীমান্তে শনিবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে সানাউল্লাহ (৩২) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অপর এক গরু ব্যবসায়ী। নিহত সানাউল্লাহ চাঁপাইনবাগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর নগরপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

বিজিবি জানায়, রাত ৩টার দিকে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে সীমান্তের ২২৮/২ আর পিলারের কাছে এলে ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে সানাউল্লাহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন একই এলাকার খোস মোহাম্মদের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৪৫) নামের অপর এক গরু ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের পর বিএসএফ সানাউল্লাহর লাশ নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত নাজমুলকে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

Saturday 9 April 2011

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত




হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৯-০৪-২০১১


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবদুর রহিম (৩৫)। তিনি উপজেলার দামাড়পাড়া গ্রামের ইসমুত উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার ভোরে রহিম ভারতে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর তিনি গরু কিনে জামালপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার সময় ভীমপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করেন।