Tuesday 29 January 2013

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চলতে থাকায় দীপু মনির উদ্বেগ


মঙ্গলবার বিকালে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই উদ্বেগ জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহতের সংখ্যা শূ্ন্যে নামিয়ে আনতে শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুতির পরও সহিংসতার ঘটনা চলতে থাকায় তা জনগণের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সীমান্ত জেলাগুলোতে উভয় পক্ষের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনার একটি প্রক্রিয়া আবার চালু করলে সামগ্রকিভাবে তা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একটা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলে বৈঠকে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তাহলেই বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটার আগেই উভয় পক্ষের প্রশাসনের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব।”
দীপু মনি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস প্রতিরোধে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাউকে এ মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগের জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে তাদের ‘অব্যাহত প্রচেষ্টা’র কথা জানান বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ভ্রমণের সুবিধার বিষয়ে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু করতে আগের নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য  ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন দীপু মনি।
তিনি ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থন ও ২০১১ সালে সই করা এর প্রটোকল অনুসমর্থনের ঝুলে যাওয়ার বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ অন্যান্য ঝুলে থাকা বিষয়গুলোও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন দীপু মনি।
তবে ইতিমধ্যে দুদেশের মধ্যে সই হওয়া বন্দি বিনিময় ও সংশোধিত ভ্রমন চুক্তি সই হওয়ায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব’ ফেলবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিপক্ষীয় বেঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে ‘এক্সট্রাডিশন ট্রিটি’ ও ‘রিভাইজড ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ শিরোনামের এ দুটি চুক্তিতে সই করেন।
সুশীল সিন্দে বৈঠকে ভারতের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আর বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
এর আগে সকালে বন্দি বিনিময় চুক্তির খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে দুই দিনের সফরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা পৌঁছান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article584467.bdnews 

বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ


পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ২৯-০১-২০১৩

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেলিপাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের মহানন্দা নদীর বালুচরে এক বাংলাদেশির লাশ পাওয়া গেছে। ভারতের হাফতিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফের সদস্যরা গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁর লাশ হস্তান্তর করেন। অভিযোগ উঠেছে, বিএসএফ ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তি হলেন আনারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গত রোববার রাতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে বেদম মারধর করেন। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে মহানন্দা নদীর বালুচরে ফেলে যান।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া বিজিবি কোম্পানি সদরের সুবেদার শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি দল ওই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের কামাল হোসেন নামের এক যুবক লাশটি শনাক্ত করেন।

কামাল হোসেন বলেন, আনারুল সম্পর্কে তাঁর চাচাতো ভাই। তিনি বিশ্বনাথপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। কয়েক দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

সুবেদার শাহজাহান বলেন, বিজিবি লাশ তেঁতুলিয়া থানায় হন্তান্তর করেছে। তবে কীভাবে আনারুলের মৃত্যু হয়েছে, বিএসএফ এ ব্যাপারে তাদের কোনো কিছু জানায়নি।

তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার রায় বলেন, ‘ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

তিন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ: গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার সোনারহাট সীমান্তের ১২৬৮ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকা থেকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিএসএফ তিন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁরা হলেন—গোয়াইনঘাট উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের মাওলানা সুহেল আহমদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাওলানা মুফতি হাবিবুল্লাহ জালালী ও অজ্ঞাতনামা আরেকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলার ভাদেশ্বর মাঠে রোববার ভাদেশ্বর হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হয়। আটক ব্যক্তিরা এই মাহফিলে যোগ দিয়েছিলেন। মাহফিল শেষে ভাদেশ্বর গ্রামে তাঁরা রাত কাটান। গতকাল দুপুরে সোনারহাট সীমান্তে তাঁরা ঘুরতে যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি সীমান্ত থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে যান।

সোনারহাট সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার আনোয়ার হোসেন এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। 


http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-29/news/324961 

Friday 18 January 2013

রাজশাহীতে যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ১৮-০১-২০১৩ 

 রাজশাহীর চরতারানগর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পতাকা বৈঠক করেও রুমন শেখ (২২) নামের ওই যুবককে ফেরত আনতে পারেনি। তাঁর বাবার নাম সাবান শেখ। স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদুল হক জানান, রুমন শেখ একজন কৃষক। তিনি সীমান্তের কাছে তাঁর গমখেত দেখতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার একটু আগে বিএসএফ গাড়ি নিয়ে এসে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ওরা বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরেই গাড়ি নিয়ে খানিকটা ঢুকে পড়েছিল। গাড়ির চাকার দাগ এখনো রয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে খানপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার জালাল উদ্দিন জানান, ওই যুবককে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তিনি বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য খবর পাঠান। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তারা আসে। তাদের অভিযোগ, এই যুবকসহ আরও কয়েকজন লোক ভারতীয় সীমান্ত এলাকার ভেতরে ঢুকেছিলেন। তারা ধাওয়া দিলে অন্যরা পালিয়ে যান। পেছনে থাকার কারণে তারা রুমনকে ধরতে পেরেছে।

জালাল উদ্দিন জানান, বিএসএফ জানিয়েছে, রুমনকে ইতিমধ্যে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-18/news/322302

Wednesday 2 January 2013

BSF, BGB can open fire in self-defence: MKA


Home Minister Muhiuddin Khan Alamgir on Wednesday said Bangladesh and India have reached a consensus that the border patrolling forces of the countries can open fire only in their self-defence.
“During a visit to India last month I discussed with the Indian home minister on the border killing issue and reached a consensus that none of the border guards would open fire unless it is required,” the home minister said.
The minister’s comment came hours after two Bangladeshi cattle traders were killed in Chapainawabganj and two more Bangladeshi nationals were picked up by the BSF members in Joypurhat on Wednesday.
Alamgir also said his ministry will investigate whether the Indian Border Security Forces (BSF) fired shots in self-defence.
“After the investigation, the government will take necessary actions,” Alamgir said while talking to journalists after addressing the 23rd anniversary of the Department of Narcotics Control (DNC) at the capital's Tejgaon.
Replying to queries from journalists about the killings of Bangladeshi two cattle traders inside the Indian Territory the home minister said, “It has been observed that smugglers some times resort to life threatening actions. And that is why the border guards of both the countries have been directed to open fire in their self defence.”
He said, “During a visit to India last month I discussed with the Indian home minister on the border killing issue and reached a consensus that none of the border guards would open fire unless it is required.” 
http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=43659 

BSF kills 2, picks up 2 on frontiers


Indian Border Security Force shot dead two Bangladeshi cattle traders and picked up two more persons from the frontiers of Chapainawabganj and Joypurhat on Wednesday.
The two cattle traders early Wednesday went inside an Indian village in Malda district of Pashchimbanga, opposite to Bibhison frontier village of Gomostapur upazila in Chapainawabganj.
The deceased are Mohammad Masud, 23, of Bibhison village and Shahidul Islam, 28, of Tarapur-Shahapara village in Shibganj upazila of Chapainawabganj, reports our Chapainawabganj correspondent.
The duo along with a group of traders were returning home around 3:00am from India with cattle while a patrol team of Pilason camp under 31 Malda BSF battalion of Pashchimbanga opened fire on them near pillar No. 219, said Major Sharif Mahmud Hasan, deputy commanding officer of 43 BGB battalion in Naogaon.
Masud and Shahidul died on the spot, some 150 yards inside of Indian Territory while the others escaped unhurt.
The BSF personnel also took away the bodies from the spot.
A company commander-level flag meeting was held at the zero line of Bibhison border at noon where BGB strongly protested the killing and asked the BSF to return the bodies, Major Sharif said.
The BSF men informed that they would hand over the bodies on completion of some formalities.
Meanwhile, BSF members picked up two Bangladeshis from a border area of Pachbibi upazila in Joypurhat on Wednesday afternoon, a BGB official of Joypurhat-3 Battalion said.
The BGB identified them as Md Habil Uddin, 22, and Monzu Mia, 40.
The duo was hailed from Purba Usna (Dharanji) village in the upazila, reports our Joypurhat correspondent.
BGB sources of Hatkhola border outpost of Joypurhat-3 Battalion said the victims were working at their field when a group of BSF of Patiram camp picked them up near 281 main pillar at about 4:00pm.
BGB sources said that the BSF initially informed them saying the duo entered illegally into Indian Territory.
The BGB has expressed their concern and sent a protest letter to the BSF.
The BSF was yet to response it.
Lt Col Md Khasru Sabbir, commanding officer of the battalion confirmed the incident saying that they already sent a letter urging to arrange a flag meeting.
On Tuesday, the BSF men also shot dead two Bangladeshi cattle traders on Bujruk border in Haripur upazila of Thakurgaon. 
http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=43647 

BSF kills 2



Indian Border Security Force shot dead two Bangladeshi cattle traders on Bujruk border in Thakurgaon early yesterday.
The deceased are Nur Islam, 28, and Moktar Dai, 27, of Haripur upazila, said Major Muntasir Mamun Siddique, operations officer of Border Guard Bangladesh, Dinajpur-2.
Around 4:30am, BSF men of Borra camp opened fire on a group of cattle traders, among whom were the two, when they were returning from India with cattle, he added.
Nur Islam and Moktar died there and then. The others escaped unhurt.
BSF members took the bodies immediately, said Muntasir.
The two forces met in the afternoon at a company commander-level meeting, where the BGB protested at the killings and asked for the bodies.
BSF personnel said they would hand over the bodies on completion of some formalities.
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=263504 

সীমান্তে গুলির পক্ষে সাফাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

Wed, Jan 2nd, 2013 6:58 pm BdST

ঢাকা, জানুয়ারি ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ‘আত্মরক্ষার প্রয়োজনে’ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের গুলি ছোড়ার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে নয়া দিল্লির সঙ্গে একমত হয়ে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

নতুন বছরের প্রথম দুই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে চার বাংলাদেশির প্রাণ হারানোর পর বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, কেবল ‘আত্মরক্ষার প্রয়োজনে’ দুই সীমান্ত বাহিনীকে গুলি করার বিষয়ে নীতিগতভাবে মতৈক্য হয়েছে।

“গত মাসে ভারতে গিয়ে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে একমত হয়েছি।”

তিনি একইসঙ্গে বলেন, “কোনো পক্ষ থেকেই গুলি চালাবে না, যদি না আত্মরক্ষার প্রয়োজন হয়।”

বিএসএফের গুলিতে মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে দুজন এবং বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্তে দুজন নিহত হন।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ২০১২ সালে ৪৮ জন বাংলাদেশি নিহত হন বলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব।

সীমান্তে নতুন বছরের শুরুতে চার বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “তদন্ত করে যদি দেখা যায়, সীমান্তরক্ষীরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি করতে বাধ্য হয়েছে, তা হলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

“আর যদি দেখা যায় আত্মরক্ষা নয়, ভিন্নতর কোনো কারণে কিংবা অসাবধানবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাহলে আমরা যে পদ্ধতিতে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি, সেই পদ্ধতিতেই এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য তাদের নজরে আনব এবং আমাদের তরফ থেকেও ব্যবস্থা নেব।”

বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অধিদপ্তরের ২৩তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুধু দেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখেও রয়েছে বিএসএফ।

ঢাকার পক্ষ থেকে বারবার প্রতিবাদ জানানোর পর সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় নয়া দিল্লি। তবে হত্যাকাণ্ড থামেনি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র গত ৩১ ডিসেম্বর এক পরিসংখ্যানে জানায়, ২০১২ সালে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৩১৯টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৫৫টি।

২০১২ সালে ৪৮ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ১০৬ জন আহত এবং ১৪০ জন অপহৃত হন বলে মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়।

বিদায়ী বছরে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি হাতবোমা নিক্ষেপ, ঘরে ঢুকে নির্যাতন, গাছে ঝুলিয়ে পেটানো, বেয়নেটে খুঁচিয়ে জখম, হাত-পা ভেঙে দেয়া, উলঙ্গ করে পেটানো, কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএসএফ নির্যাতনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মূল্যায়ন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অধিদপ্তর কার্যালয়ে আলোচনা সভা, জনসচেতনামূলক মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং মাদক সনাক্তকরণ পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া পোস্টার-লিফলেট বিতরন, ভ্রাম্যমাণ মাদকবিরোধী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/এমআই/১৮৫৫ ঘ. 

http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=215351&hb=1 

গোমস্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২

Wed, Jan 2nd, 2013 1:57 pm BdST

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জানুয়ারি ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভিষণ সীমান্তে ভারতের মালদহ জেলার সীমান্তবর্তী পিলাসন গ্রামে তাদের গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিসন গ্রামের আফসার উদ্দীনের ছেলে মাসুদ (২৩) এবং শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর সাহাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে শহীদুল ইসলাম(২৮)।

‍নওগাঁ ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফ মাহমুদ হাসান জানান, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ৩১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিলাসন ক্যাম্পের জওয়ানরা সীমান্ত পিলার থেকে দেড়শ’ গজ দূরে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে।

বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা।

সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে ঢাকার পক্ষ থেকে একাধিকবার আহ্বান জানানো হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। এ ব্যাপারে নয়া দিল্লির প্রতিশ্রুতি মিললেও তা বন্ধ হয়নি।

সীমান্তে নিহত বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ গরু ব্যবসায়ী, যারা গরু আনতে ভারতে গিয়ে বিএসএফের গুলির শিকার হন। মঙ্গলবারও ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।

বিএসএফের প্রধান ইউ কে বানসাল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সীমান্ত দিয়ে গরু বাণিজ্য বৈধ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসএনএল/এএইচ/জেকে/১৩৫৩ ঘ.

http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=215315&cid=2 

দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে গেছে বিএসএফ

Wed, Jan 2nd, 2013 7:18 pm BdST

জয়পুরহাট, জানুয়ারি ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শূন্য রেখা পর হওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা বিওপির ২৮১ নম্বর মেইন পিলারের ২১ সাব পিলারের কাছ থেকে হাবিল হোসেন (২২) এবং মজু মিয়াকে (৪০) নিয়ে যায়।

জয়পুরহাট বিজিবি-৩ এর কমান্ডার লে. কর্নেল সাব্বির আলী খসরু বলেন, কৃষি কাজের জন্য তারা সীমান্তের শূন্যরেখা পার হলে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়।

তাদের বাড়ি উপজেলার পূর্ব ঊষা গ্রামে। হাবিল ওই গ্রামের বাকির আলীর এবং মজু দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে।

বিজিবি কর্মকর্তা আরো বলেন, তাদের ফেরত দেওয়ার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। তবে বিএসএফ এখনো এর জবাব দেয়নি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএস/ডিডি/১৯১৪ ঘ.

http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=215353&cid=2

Tuesday 1 January 2013

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ০১-০১-২০১৩
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বুজরুক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হরিপুর উপজেলার বুজরুক গ্রামের নুর ইসলাম (২৮) ও একই উপজেলার দেওগাঁও গ্রামের মুক্তার দাই (২৭)। 
২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অপারেশন কর্মকর্তা মেজর মুনতাসির মামুন সিদ্দিক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের একদল গরু ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বুজরুক সীমান্তের ৩৬১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের ১৪ ব্যাটালিয়নের বোররা ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই নুর ইসলাম ও মুক্তার মারা যান। এরপর বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লাশ ভারত সীমান্তে নিয়ে যান।

মেজর মুনতাসির মামুন সিদ্দিক আরও জানান, দুই বাংলাদেশিকে হত্যা করে লাশ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পরে আজ বেলা একটায় বিএসএফ ও বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত হয়, দাপ্তরিক কাজ শেষে বিএসএফ দ্রুত লাশ হস্তান্তর করবে। 

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-01/news/317896