Friday 28 January 2011

'হত্যা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে'

Fri, Jan 28th, 2011 6:36 pm BdST


দিনাজপুর, জানুয়ারি ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনার মধ্যে বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যা বন্ধে তার বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার দিনাজপুর হিলি চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিশেষ মহাপরিচালক এসএইচ প্রণয় সাহা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, "সীমান্তে আগের চেয়ে এখন হত্যার ঘটনা অনেক কমে এসেছে। হত্যা যেন আর না হয়, সে জন্য বিএসএফ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করবে, তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।"

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার জন্য বিএসএফ'র অতিরিক্ত বলপ্রয়োগই দায়ী করে গত ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এরপর এ মাসের শুরুতে কুড়িগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারে আটকেপড়া বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী বিএসএফের গুলিতে নিহত হলে তা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা ওঠে। যা নিয়ে ঢাকা-দিল্লি স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও আলোচনা হয়।

বিএসএফ কর্মকর্তা হিলি চেকপোস্টে পৌঁছলে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি'র একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এরপর তিনি বিজিবি'র হিলি সিপি ক্যাম্পে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি'র পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্বে দেন বাহিনীর দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সালেহ আহমাদ।

বেলা ৩টায় প্রণয় সাহে ভারতে ফিরে যান। ওই সময় তার আমন্ত্রণে বিজিবির প্রতিনিধি দলও ভারত ঘুরে আসেন।

কর্নেল সালেহ সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমআই/১৮৩০ ঘ.

Monday 24 January 2011

India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border

Security officials openly admit that unarmed civilians trying to enter India illegally are being killed. Will the government act?

guardian.co.uk, Sunday 23 January 2011 11.00 GMT

Do good fences make good neighbours? Not along the India-Bangladesh border. Here, India has almost finished building a 2,000km fence. Where once people on both sides were part of a greater Bengal, now India has put up a "keep out" sign to stop illegal immigration, smuggling and infiltration by anti-government militants.

This might seem unexceptional in a world increasingly hostile to migration. But to police the border, India's Border Security Force (BSF), has carried out a shoot-to-kill policy – even on unarmed local villagers. The toll has been huge. Over the past 10 years Indian security forces have killed almost 1,000 people, mostly Bangladeshis, turning the border area into a south Asian killing fields. No one has been prosecuted for any of these killings, in spite of evidence in many cases that makes it clear the killings were in cold blood against unarmed and defenceless local residents.

Shockingly, some Indian officials endorse shooting people who attempt to cross the border illegally, even if they are unarmed. Almost as shocking is the lack of interest in these killings by foreign governments who claim to be concerned with human rights. A single killing by US law enforcement along the Mexican border makes headlines. The killing of large numbers of villagers by Indian forces has been almost entirely ignored.

The violence is routine and arbitrary. Alauddin Biswas described to Human Rights Watch the killing of his 24-year-old nephew, who was suspected of cattle rustling, by Indian border guards in March 2010. "The BSF had shot him while he was lying on his back. They shot him in the forehead. If he was running away, he would have been shot in the back. They just killed him." The BSF claimed self-defence, but no weapons were recovered.

Nazrul Islam, a Bangladeshi, was luckier. "At around 3am we decided to cross the Indian border," he said. He was headed to India to smuggle cows back to Bangladesh. "As soon as the BSF saw us, they started firing without warning." Islam was shot in his arm, but survived.

Some of the victims have been children. One father recounted how his sons were beaten by BSF officers. "The BSF personnel surrounded the boys and without giving any reason started beating them with rifle butts, kicking and slapping them. There were nine soldiers, and they beat my sons mercilessly. Even as the boys fell down, the BSF men continued to kick them ruthlessly on their chest and other sensitive organs."

The border has long been crossed routinely by local people for trade and commerce. It is also crossed by relatives and friends separated by a line arbitrarily drawn by the British during partition in 1947. As with the Mexican border in the United States, the border has become an emotive issue in Indian politics, as millions of Bangladeshis now live in India illegally. Many are exploited as cheap labour.

India has the right to impose border controls. But India does not have the right to use lethal force except where strictly necessary to protect life. Yet some Indian officials openly admit that unarmed civilians are being killed. The head of the BSF, Raman Srivastava, says that people should not feel sorry for the victims, claiming that since these individuals were illegally entering Indian territory, often at night, they were "not innocent" and therefore were a legitimate target.

Though India is a state with functional courts, he apparently believes the BSF can act as judge, jury and executioner. This approach also ignores the many victims, such as a 13-year-old named Abdur Rakib, who broke no law and was killed simply because he was near the fence. Sadly, Bangladeshi border officials have also suggested that such killings are acceptable if the victim was engaged in smuggling.

As the recent WikiLeaks report about endemic torture in Kashmir underscores, Indian soldiers and police routinely commit human rights violations without any consequences. Permission has to be granted by a senior Indian official for the police to even begin an investigation into a crime committed by a member of the security forces, such as the BSF. This rarely happens.

The response of various government officials to allegations of a shoot-to-kill policy has been confusing: we do shoot illegal border crossers since they are lawbreakers; we don't shoot border crossers; we only shoot in self-defence; we never shoot to kill.

But there is some reason for hope. Under pressure, senior Indian officials have expressed revulsion at the behaviour of the BSF and have promised to send new orders to end the shoot-to-kill policy. They have committed to use nonviolent means to apprehend illegal border crossers or smugglers where they pose no risk to life. The question is whether this will be translated into action on the ground. Similar promises of "zero tolerance" for abuses have been made in Kashmir and elsewhere but have not been fulfilled.

As India's economy has grown and foreign investors have flocked in, its human rights record has largely flown under the radar in recent years. But India is a growing world power with increasing influence. It should understand that its behaviour will come under increasing scrutiny. Routinely shooting poor, unarmed villagers is not how the world's largest democracy should behave.

Thursday 20 January 2011

কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

Thu, Jan 20th, 2011 9:33 pm BdST


ঝিনাইদহ, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধসহ উত্তেজনা নিরসনে যেদিন প্রতিশ্র"তি দিলেন সেদিনই ঝিনাইদহের এক কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় সীমান্তে ইছামতি নদীতে গোসল করার সময় ওই গ্রামের আবু বকরের ছেলে শামীমকে (১৫) ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সুলতান আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "নদীয়া জেলার পাখিউড়া ক্যাম্পের বিএসএফ'র একটি টহল দল কিশোরটিকে ধরে নিয়ে গেছে।"

তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি বিএসএফ ১২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ নিয়ে রাতে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দুদিনের বৈঠকে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধসহ উত্তেজনা নিরসনের প্রতিশ্র"তি দেয় দিল্লি।

দুদিনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগেই সীমান্ত নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি এক মত হয়েছে দুই দেশ।

ঝিনাইদহের ঘটনার আগে এ মাসেই কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানী নামে বাংলাদেশি এক কিশোরীকে হত্যা করে বিএসএফ। এরপর এক যুবককে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে।

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/জেবি/এমএসবি/২১২৭ ঘ.

Tuesday 18 January 2011

বেনাপোলে বিজিবি সদস্যের ওপর মাদক চোরাকারবারিদের হামলা

বেনাপোল প্রতিনিধি

সোমবার ভোরে বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ফেনসিডিল চোরাচালানিরা বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও ১৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সীমান্তে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা।

বেনাপোল বিজিবি কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান জানান, দৌলতপুর সীমান্তের ঘোনার মাঠ এলাকায় একদল মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলের চালান নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে— এমন খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। চোরাকারবারিরা এ সময় বিডিআরের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে বিডিআর পাশের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। বিজিবি সদস্যরা এ সময় চোরাচালানিদের ফেলে যাওয়া ১২ বস্তা ফেনসিডিল আটক করে।

বিজিবি সদস্যদের ১৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএসএফ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা আট রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

Monday 17 January 2011

হত্যা বন্ধে বিএসএফকে রাবার বুলেট

Mon, Jan 17th, 2011 5:38 pm BdST


নয়াদিল্লি, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- হত্যা বন্ধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) প্রাণঘাতী নয়- এমন অস্ত্র (নন-লেথ্যাল উইপন) ও রাবার বুলেট দেবে সে দেশের সরকার।

বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে- মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন অভিযোগের পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নয়াদিল্লিতে ভারত সরকারের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ সদস্যদের শিগগিরই 'নন-লেথ্যাল উইপন' দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তেও বিএসএফ এ ধরনের অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ২৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৮৫৬ কিলোমিটারই ত্রিপুরার সঙ্গে।

ওই কর্মকর্তা জানান, প্রাণহানী না ঘটিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, চোরাকারবারী ও দু®কৃতিদের ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিএসএফকে হেলিকপ্টারও সরবরাহ করা হবে।

গত ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীর মৃত্যুর ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের সহিংসতার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে।

রোববার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে শিশু ফেলানীর হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতেই প্রতিবাদ জানানো হবে। আগামী ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় এ বৈঠক হওয়ার কথা।

ওই বৈঠকের ঠিক আগেই বিএসএফকে 'নন-লেথ্যাল উইপন' সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লী।

ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু গত ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করেন। ফেলানী তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে বাবার সঙ্গে ফিরছিল।

সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার করে ওঠে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ও লাশ নিয়ে যায়। পরদিন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

এ ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠগুলো বিএসএফের তীব্র নিন্দা জানায়।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে অন্তত ৭৪ জন বাংলাদেশি নাগারিক নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত মাসে "'ট্রিগার হ্যাপি': এক্সেসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস্ অ্যাট দ্য বাংলাদেশ বর্ডার" শীর্ষক প্রতিবেদনে অভিযোগ করে, বিএসফ সদস্যরা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।

হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) বিচার হওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

৮১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ বছরে কেবল পশ্চিমবঙ্গসংলগ্ন সীমান্তেই ৯০০ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

এসব হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর আগেও একাধিকবার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর জানুয়ারিতে ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই সফর শেষে যৌথ বিবৃতিতেও সীমান্তে অবৈধ কার্যক্রম ও প্রাণহানী ঠেকানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/জেবি/জেকে/১৭৪০ ঘ.

ফেলানী হত্যা: বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ

Mon, Jan 17th, 2011 6:54 pm BdST


ঢাকা, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী হত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রাজীত মিত্রকে রোববার লিখিত প্রতিবাদলিপি দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল।

গত ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী মারা যায়।

ফেলানী হত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন হয়েছে সোমবার।

ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করেন। ফেলানী তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে বাবার সঙ্গে ফিরছিলো।

সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার শুরু করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ও লাশ নিয়ে যায়। পরদিন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

রাজীত মিত্র ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি ভারত সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। পাশাপাশি তিনি সীমান্তে এ ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন।

এর আগে রোববার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে শিশু ফেলানী হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতেই প্রতিবাদ জানানো হবে।

আগামী ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় এ বৈঠক হওয়ার কথা।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে অন্তত ৭৪ জন বাংলাদেশি নাগারিক নিহত ও ৭২ জন আহত এবং ৪৩ জনকে অপহরণ হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএল/পিডি/১৮৫১ ঘ.

Sunday 16 January 2011

বিএসএফের নির্যাতনে আহত যুবকের মৃত্যু

Sun, Jan 16th, 2011 2:01 pm BdST


চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জানুয়ারি ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফ এর নির্যাতনে আহত বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন।

নিহত শাহজাহান আলী (২৫) শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। মাসুদপুর সীমান্ত এলাকায় শনিবার তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে বিডিআর জানায়।

প্রায় দু'ঘণ্টা পিটুনির পর শুভপুর সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা শাহজাহানকে সীমান্ত রেখার কাছে ফেলে যায়। তখণ বিআিরের সহায়তায় স্থানীয়রা শনিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে রাত ১টার দিকে শাহজাহান মারা যায়। তার আত্মীয়রা লাশ রোববার ভোরে শিংনগরে নিয়ে যান।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু বকর সাংবাদিকদের জানান, শাহজাহান শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। ওই সময় বিএসএফের ১৫১ মালদা ব্যাটালিয়নের শুভপুর ক্যাম্পের জওয়ানরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।

শাহজাহানকে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বকর জানান।

গত বছর বিএসএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে ১৩ বাংলাদেশিকে গুলি অথবা নির্যাতন করে হত্যা এবং ১১ জনকে আহত করে। ওই বছর শুধু সেপ্টেম্বর মাসে বিএসএফ ৩ জনকে হত্যা ও ৬ জনকে আহত করে।

বিডিআর কর্মকর্তারা বলেন, বিএসএফ বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে হত্যা না করার নিশ্চয়তা দিয়েও বারবার তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের কাছে বাংলাদেশি অনেক মানুষের জমি-জমা আছে। তারা জমি চাষ করতে যেতে ভয় পাচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমইউএস/এমআই/১৪০০ ঘ.

Sunday 9 January 2011

রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ০৯-০১-২০১১



রাজশাহীর মতিহার থানার খানপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। লাশ নেওয়ার জন্য গতকাল শনিবার থেকে অপেক্ষা করছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।

মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, নিহত দুই ব্যবসায়ীর নাম সেরাজুল ইসলাম (৪০) ও জাইজুদ্দিন (২০)। তাঁদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

আফতাব উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পাওয়ার পর গতকাল বিকেল তিনটা থেকে পুলিশ অপেক্ষা করছে। কিন্তু লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। কখন হস্তান্তর করা হবে, তা-ও জানানো হয়নি। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনও লাশের খোঁজ পাননি। লাশ না পাওয়ায় থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।

বিজিবির ৩৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জাহিদ হাছান জানান, ঘটনাটি বিএসএফ তাঁদের প্রথম জানিয়েছে। নাম-ঠিকানাও তারাই দিয়েছে। এখন তারা আর সাড়া দিচ্ছে না। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকে তাঁরা পতাকা বৈঠক ও প্রতিবাদলিপি পাঠানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

কিশোরী হত্যার ৩০ ঘণ্টা পর লাশ হস্তান্তর :: বিএসএফের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ





সফি খান, কুড়িগ্রাম | তারিখ: ০৯-০১-২০১১



ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী (১৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে গতকাল শনিবার হাজার হাজার মানুষ সীমান্তে বিক্ষোভ করে। ৩০ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার বিএসএফ ফেলানীর লাশ ফেরত দিয়েছে। আইনি-প্রক্রিয়া শেষে আজ রোববার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ফুলবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল জব্বার গতকাল প্রথম আলোকে জানান, পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ লাশ ফেরত দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও মানবতাবিরোধী। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’

গতকাল ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ফেলানীর লাশ দেখার জন্য তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাশ হস্তান্তরের সময় তাঁদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা সবাই বিএসএফের এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। কাশীপুর গ্রাম থেকে আসা মজিবর রহমান অভিযোগ করেন, সীমান্তে প্রায়ই বিএসএফ বিনা উসকানিতে গুলি করে মানুষ মারে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের প্রতিবাদ করা উচিত। দক্ষিণ রামখানা গ্রামের কৃষক আ. হামিদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘হামরা গরিব বলি তারা গুলি করি মারবে। প্যাটের ভোকোত মানুষ ভারত যায় কাজ করব্যার, তাই বলি মারি ফেলাবে বাহে। কোনো আইন নাই?’ অনন্তপুরের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হায়দার আলী বলে, ‘আমরা সবাই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
ফেলানীর বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা বানারভিটা গ্রামে শোকের মাতম চলছে। স্থানীয় মানুষজন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘বাবা গো তোমরা হামার বেটির লাশ আনি দেও, নিজ হাত মাটি দেমো। হামরা গরিব মানুষ প্যাটের ভোকোত ভারত গেছিলাম আর কোন দিন যাবার নই...’বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নুরুল জানান, ফেলানীর মা ভারতে আছেন। তিনি জানেন না মেয়ে মারা গেছেন। ফুলবাড়ীর কুলাঘাট এলাকার এক ছেলের সঙ্গে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। শনিবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। তিনি মেয়ের বিয়ের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং কিছু গয়নাও ভারত থেকে এনেছিলেন। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর দুপুর সোয়া ১২টায় লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। পতাকা বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে নায়েক সুবেদার আবদুল জব্বার এবং বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাম ব্রিজ রায় নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিডিআর এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। জবাবে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে জানায়। পরে বাংলাদেশের পক্ষে লাশ গ্রহণ করেন নায়েক সুবেদার আবদুল জব্বার। এ সময় নাগেশ্বরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্ল্যাহ মিয়া ও ফুলবাড়ী থানার এসআই মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এসআই নুরুজ্জামান জানান, ফেলানীর লাশ থানায় রাখা হয়েছে। রোববার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নুরুল ও ফেলানী ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে অনন্তপুর সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেন। নুরুল প্রথমে মই বেয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে আসেন। ফেলানী মইয়ে উঠলে তার কাপড়চোপড় কাঁটাতারে আটকে যায়। এ সময় সে ভয়ে চিৎকার শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিএসএফের বুলেট তার বুক ঝাঁজরা করে দেয়।
নূরুলের পুরো পরিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।

Saturday 8 January 2011

Bangladeshi girl killed in BSF firing

Saturday, January 8, 2011 | Our Correspondent, Kurigram


Indian Border Security Force (BSF) yesterday shot dead a Bangladeshi girl as she was trying to return home from India through Anantapur border in Kurigram.

The deceased was identified as Felani,

15, daughter of Nur Islam Nuru of Banarvita village under Rumkhana union.

According to BDR and local sources, Nur Islam went to India with his daughter about 10 years ago.

They were entering Bangladesh around 6:00am yesterday.

Although the father crossed the border with the help of a human trafficker BSF personnel at Chowdhurihat border outpost shot the daughter when she was crossing the fence.

She died on the spot.

BDR sources said they will hold a meeting with BSF on the incident.

Friday 7 January 2011

কাঁটাতারে আটকেপড়া কিশোরীকে গুলি, লাশও নিয়ে গেলো বিএসএফ

কুড়িগ্রাম, জানুয়ারি ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সীমান্তে কাঁটাতারে আটকেপড়া বাংলাদেশি এক কিশোরীকে গুলি চালিয়ে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা।

মানবাধিকার সংগঠনের হিসেবে সীমান্তে গত বছর ৭৪ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পর নতুন বছরের শুরুতেই শুক্রবার কুড়িগ্রাম সীমান্তে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো। লাশ ফেরত চেয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিডিআর জানিয়েছে।

পুলিশ ও বিডিআর জানিয়েছে, ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফেলানী (১৫) নামে ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়।

ফেলানী নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরুর মেয়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, নূরু ভারতের দিল্লিতে কাজ করেন। তার সঙ্গে সেখানে থাকতেন ফেলানী। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে বিএসএফের হামলার শিকার হয় সে।

বিডিআরের ফুলবাড়ীর কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল জব্বার সাংবাদিকদের জানান, ফেলানী অনন্তপুর সীমান্তের ৯৪৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ ও ৪ এস পিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় বিএসএফের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের সদস্যরা তার ওপর গুলি চালায়।

তিনি বলেন, "এতে ঘটনাস্থলে ফেলানীর মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।"

এ ঘটনার পর সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি মোনায়েম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েকে নিয়ে সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন নূরু।

"ফেলানীর বাবা প্রথমে মই দিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে দেশে ঢুকে পড়েন। তবে পার হওয়ার সময় কাঁটাতারে ফেলানীর জামা-কাপড় আটকে যায়। এ সময় ভয়ে সে চিৎকার শুরু করে। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ করে গুলি চালায়", বলেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, নূরু অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিলেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকার'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালে বিএসএফ ৭৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। একই সময়ে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে আহত হন ৭২ জন, অপহৃতের সংখ্যা ৪৩।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস ওয়াচ গত ডিসেম্বরে এক প্রতিবেদনে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানায়। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সীমান্ত রক্ষীদের বিচার করতেও নয়া দিল্লির প্রতি আহ্বান জানায় তারা।