Sun, Sep 2nd, 2012 9:16 pm BdST
লালমনিরহাট, সেপ্টেম্বর ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
শনিবার রাতে সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ২/৩ নম্বর সাব-পিলারের মাঝামাঝি ধরলা নদীর পাশে ‘গরু ব্যবসায়ী’ বাবুল হোসেন (৩৩) নিহত হন বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বাবুল শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙারবাড়ী (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার প্রয়াত জসিমুদ্দিনের ছেলে।
হত্যার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। রোববার রাতে বিজিবির মাধ্যমে লাশটি ফেরত দিয়েছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তে বিএসএফ মো. আজিরুল (৩০) নামে এক বাংলাদেশিকেও গুলি করে হত্যা করে।
সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ভারতের সমালোচনায় মুখর।
লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএসএফ কুচবিহার-১০৪ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের একটি টহল দল গুলি চালিয়ে হত্যার পর বাবুলের লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্মকর্তারা বাবুল হোসেন নিহত হয়েছেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল ও ভারতের পক্ষে কুচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানি কমান্ডার বীর পাল সিংহ নেতৃত্ব দেন।
বাবুলের সঙ্গী সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাবুলসহ ২২ বাংলাদেশি গরু আনার জন্য কুচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে যান।
তিনি জানান, বাবুলসহ কয়েকজন নদী পার হয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেন। এ সময় চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দল বাবুলকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে আসেন।
বাবুলের ছোট ভাই হোসেন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরু আনতে সীমান্তে যান বাবুল। রাত সাড়ে ১০টায় গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। কিছুক্ষণ পর বাবুলের সঙ্গী সাইফুল এসে বাবুল নিহত হওয়ার কথা জানান।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে বাবুলের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাঁন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ময়না তদন্ত শেষে পাটগ্রাম থানার এসআই রমজান আলীর কাছে ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার এসআই রনজিৎ কুমার পাল লাশ হস্তান্তর করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/ডিডি/এমআই/২৩৩৪ ঘ.
http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=203749&hb=5
লালমনিরহাট, সেপ্টেম্বর ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
শনিবার রাতে সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ২/৩ নম্বর সাব-পিলারের মাঝামাঝি ধরলা নদীর পাশে ‘গরু ব্যবসায়ী’ বাবুল হোসেন (৩৩) নিহত হন বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বাবুল শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙারবাড়ী (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার প্রয়াত জসিমুদ্দিনের ছেলে।
হত্যার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। রোববার রাতে বিজিবির মাধ্যমে লাশটি ফেরত দিয়েছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তে বিএসএফ মো. আজিরুল (৩০) নামে এক বাংলাদেশিকেও গুলি করে হত্যা করে।
সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ভারতের সমালোচনায় মুখর।
লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএসএফ কুচবিহার-১০৪ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের একটি টহল দল গুলি চালিয়ে হত্যার পর বাবুলের লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্মকর্তারা বাবুল হোসেন নিহত হয়েছেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল ও ভারতের পক্ষে কুচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানি কমান্ডার বীর পাল সিংহ নেতৃত্ব দেন।
বাবুলের সঙ্গী সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাবুলসহ ২২ বাংলাদেশি গরু আনার জন্য কুচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে যান।
তিনি জানান, বাবুলসহ কয়েকজন নদী পার হয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেন। এ সময় চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দল বাবুলকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে আসেন।
বাবুলের ছোট ভাই হোসেন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরু আনতে সীমান্তে যান বাবুল। রাত সাড়ে ১০টায় গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। কিছুক্ষণ পর বাবুলের সঙ্গী সাইফুল এসে বাবুল নিহত হওয়ার কথা জানান।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে বাবুলের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাঁন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ময়না তদন্ত শেষে পাটগ্রাম থানার এসআই রমজান আলীর কাছে ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার এসআই রনজিৎ কুমার পাল লাশ হস্তান্তর করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/ডিডি/এমআই/২৩৩৪ ঘ.
http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=203749&hb=5
No comments:
Post a Comment