Friday, 2 August 2013

শুরু হচ্ছে ফেলানী হত্যার বিচার


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published:2013-08-02 15:54:45.0 BdST Updated:2013-08-02 16:10:38.0 BdST

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী নিহতের ঘটনায় ভারতে বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হচ্ছে।


শুক্রবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুচবিহারে বিএসএফের এই বিশেষ আদালতে আগামী ১৩ অগাস্ট বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা, মামাসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে।
২০১১ সালের ০৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানরা।

ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করতেন। তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো ফেলানী।

দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর। এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।

কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার ও মানবিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেয়া হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মার্চে নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচার দ্রুত শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএসএফের মহাপরিচালক।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিএসএফ সদর দপ্তর সম্প্রতি ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’ গঠন করে এবং আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশের দুইজন সাক্ষী, একজন আইনজীবী এবং বিজিবির একজন প্রতিনিধিকে ভারতে যেতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুড়িগ্রামের ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন এবং ফেলানীর বাবা মো. নুরুল ইসলাম ও মামা মো. আব্দুল হানিফকে ভারতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article654646.bdnews

No comments:

Post a Comment