Saturday 14 November 2009

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ১৩-১১-২০০৯


লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জালঙ্গি সীমান্তে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ আলী (৩৬) উপজেলার কিসামত নির্মজা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর ছয়টার দিকে ভারত থেকে গরু নিয়ে জালঙ্গি গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরা মোহাম্মদ আলীকে গুলি করেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁর দেহ নিয়ে যান।

BSF kills two Bangladeshis

Star National Desk

Indian border guards have killed two Bangladeshis in Lalmonirhat and Satkhira.

Our Correspondent in Rangpur reports: A Bangladeshi national was shot dead by Border Security Force (BSF) in Burimari frontier area under Patgram upazila in Lalmonirhat district yesterday morning.

Eyewitnesses said, BSF personnel dragged the body of the victim into their territory immediately after the incident.

BDR identified the dead as Mohammed Ali, son of Ismail Hossain of village Kouamari.

A BDR source said, BSF opened fire on Mohammad Ali at about 6:00 am while he was working at a field beside demarcation pillar no: 854. He was hit in the chest and head and died on the spot.

BDR personnel from Srirampur border outpost rushed to the spot and sent a protest letter to BSF, said the source.

UNB from Satkhira said: Habib Gazi, 18, a cattle trader and son of Lutfur Rahman Gazi of Nangla village in Devhata upazila, was

found dead along Basantapur Damdam border in Kaliganj upazila yesterday.

The victim's relatives yesterday noon recovered the body of Habib from a char of the Ichhamati River.

Family sources said, BSF men of Barun camp detained Habib, who went to India to buy cattle four days ago, while he was returning home from India along with cattle.

Locals said, BSF men dumped the body of Habib in the river after killing him. The body bore injury marks.

Friday 13 November 2009

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত?

চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি | তারিখ: ১২-১১-২০০৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তের বিপরীতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাসেদ আলী (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তবে স্থানীয় সূত্র দুজন নিহত হওয়ার কথা দাবি করেছে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে চৌকা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের প্রায় ২০০ গজ ভেতরে সুকদেবপুর বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানদের গুলিতে বাসেদ নিহত হন। বিএসএফ সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যান। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছে বিডিআর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা মেজর নজরুল ইসলাম প্রথমে সীমান্তের একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্থানীয় সূত্র দুজন নিহত ও দুজন আহত হওয়ার কথা দাবি করলেও বাকিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি।

Thursday 12 November 2009

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস | তারিখ: ১১-১১-২০০৯

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত একটার দিকে সীমান্তের প্রায় ২০০ গজ ভেতরে ভারতের শুকদেবপুর বিএসএফ ক্যাম্পের জোয়ানদের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তিনি আজ বুধবার দুপুরে জানান, লাশ দুটি বিএসএফের কাছে রয়েছে। তিনি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

Sunday 8 November 2009

কিশোরী নিহতের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ



কুড়িগ্রাম অফিস | তারিখ: ০৮-১১-২০০৯


কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক কিশোরী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।

বিডিআর সূত্র জানায়, গুলিবর্ষণ ও বাংলাদেশি কিশোরী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায় থেকে বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ পাঠানো হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চর নতুন বন্দর সীমান্ত এলাকায় বিডিআর ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল চারটার দিকে একই এলাকায় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আরেকটি পতাকা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে জামালপুরের ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মিজানুর রহমান এবং বিএসএফের ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট এ কে সিদ্ধার্থ নেতৃত্ব দেন।

লে. কর্নেল মিজানুর রহমান জানান, বিএসএফ গুলিবর্ষণ ও বাংলাদেশি কিশোরী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না বলেও তারা আশ্বাস দিয়েছে।

বিডিআর সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে রৌমারীর ভন্দুরচর সীমান্ত গ্রামের কালো দেওয়ানীর ঘাট এলাকায় ভারতের সাহাপাড়া বিওপির বিএসএফের একটি টহল দলের গুলিতে মঞ্জুয়ারা (১৩) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরী নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিএসএফ রাত ১০টা পর্যন্ত গুলি বর্ষণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশের হিজলামারী বিওপির বিডিআর দলও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গুলিবর্ষণ বন্ধ হওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিডিআর ঘটনাস্থল থেকে মঞ্জুয়ারার লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কফিল উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। নিহত কিশোরী চর ফুলবাড়ী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

Saturday 7 November 2009

কুড়িগ্রামে রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোরী নিহত

কুড়িগ্রাম অফিস | তারিখ: ০৭-১১-২০০৯


কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মঞ্জুয়ারা (১৩) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরী নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সীমান্তের ভন্দুরচর গ্রামের কালো দেওয়ানীর ঘাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর পর হিজলামারী বিওপির বিডিআর টহল দল ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। জামালপুর ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঞ্জুয়ারার লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল এবং বিএসএফ সদস্যরা থেমে থেমে গুলিবর্ষণ করছিলেন। শতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

ওই ঘটনার পর থেকে বিএসএফ তাদের শক্তিবৃদ্ধি করে। বিডিআরও ওই সময় সীমান্তজুড়ে শক্তিবৃদ্ধি করে সতর্ক অবস্থান নেয়। দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্তবর্তী ভন্দুরচর, কালো দেওয়ানীর ঘাট, উত্তর বারবান্দা ও চর ফুলবাড়ী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের চলে যায়।

বিডিআর ও এলাকাবাসী সূত্রের ভাষ্যমতে, ভন্দুরচর গ্রামের তিন কিশোরী ১০৬৬ নম্বর মেইন পিলারের পার্শ্ববর্তী কালো দেওয়ানীর ঘাট এলাকায় জিরো লাইন-সংলগ্ন বাংলাদেশের একটি চরে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে কাশফুলের গাছ কাটতে যায়।

ওই সময় ভারতের সাহাপাড়া বিওপির বিএসএফের একটি টহল দল হঠাত্ তাদের লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। ওই সময় দুই কিশোরী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আনোয়ার হোসেন মুন্সীর মেয়ে মঞ্জুয়ারা বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

বিডিআর-বিএসএফ সম্মেলন : সীমান্তে অপরাধ বন্ধে সহযোগিতা বাড়াতে মতৈক্য



নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ০৭-১১-২০০৯


সীমান্ত অপরাধ বন্ধে বাংলাদেশ ও ভারত সহযোগিতা আরও বাড়াতে একমত হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও ‘বর্ডার কো-অর্ডিনেশন মিটিং’ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ শনিবার সিলেটে বিডিআর-বিএসএফের উপপরিচালক ও আইজি পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গত বুধবার সম্মেলনটি শুরু হয়েছিল।

সম্মেলনে বিডিআরের পক্ষে উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ওবাইদুল হকের নেতৃত্বে বিডিআরের পদস্থ কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে আইজি শ্রী এস কে মিশরার নেতৃত্বে ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএসএফ সদর দপ্তরের স্টাফ অফিসারসহ ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দেয়।

আজ বিডিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক গুলি, হত্যা, আহত করা, বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার, অপহরণ, সামরিক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, নেশাজাতীয় দ্রব্য ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে উভয় পক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছে।