নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি ও বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি | তারিখ: ৩০-১০-২০০৯
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাঙামাটির বরকল উপজেলার বড়হরিণা ইউনিয়নের তবলাবাগ এলাকায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিডিআর ও বিএসএফ এ ব্যাপারে একমত হয়। বৈঠকে ট্রানজিট সুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বড়হরিণা জোনের বিডিআরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর গোলাম মওলা খন্দকার। বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তিনি জানান, প্রায় ছয় মাস আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ট্রানজিট সুবিধার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতও একমত বলে তিনি জানান।
বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের ১২০ ব্যাটালিয়নের স্টাফ অফিসার পি কে শর্মা।
মিয়ানমারে বিডিআর-নাসাকা পতাকা বৈঠক: আমাদের কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের পরিবেশ ও পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে শান্ত রাখতে দুই দেশ একমত হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে তা নিরসন করার ব্যাপারেও তারা মতৈক্যে পৌঁছায়। গতকাল সকালে মিয়ানমারের মংডু শহরে বিডিআর ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকার মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এই মতৈক্য হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, নাফনদী থেকে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ, সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত-বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানি গতিশীল ও কারাগারে বন্দী বিনিময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
Friday, 30 October 2009
Tuesday, 27 October 2009
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস | তারিখ: ২৭-১০-২০০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হবু মিয়া (৩০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভোলামারি গ্রামে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, হবু মিয়া রোববার রাত ১০টার দিকে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফের মালদহ জেলার নওদা ক্যাম্পের জোয়ানেরা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিএসএফ তাঁর লাশ নিয়ে যায়। বিডিআরের পক্ষ থকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চাওয়া হয়েছে। তিনি গরু আনতে ভারত গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হবু মিয়া (৩০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভোলামারি গ্রামে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, হবু মিয়া রোববার রাত ১০টার দিকে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফের মালদহ জেলার নওদা ক্যাম্পের জোয়ানেরা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিএসএফ তাঁর লাশ নিয়ে যায়। বিডিআরের পক্ষ থকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চাওয়া হয়েছে। তিনি গরু আনতে ভারত গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Monday, 26 October 2009
বিএসএফের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৬-১০-২০০৯
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকায় গতকাল রোববার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে জহুরুল হক নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তৈয়ব আলী নামের আরও একজন আহত হন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল হক (২৫) এবং ছয়ঘরিয়া গ্রামের খোদাবক্স মণ্ডলের ছেলে তৈয়ব আলী (৩০) গত শনিবার গরু আনার জন্য ভারত যান। গতকাল ভোররাতে সামন্তা সীমান্তের কচুয়ারপোতা এলাকার ৫৭ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে তাঁরা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের চুয়াটিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জহুরুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর তৈয়ব আলী আহত হয়ে পালিয়ে ফিরে আসেন। বিএসএফ নিহত ব্যক্তির লাশ নিয়ে গেছে। যাদবপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিএসএফ গুলি করে একজনকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বলে আমরা শুনেছি। তবে এখনো তাঁর পরিচয় পাইনি।’
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকায় গতকাল রোববার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে জহুরুল হক নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় তৈয়ব আলী নামের আরও একজন আহত হন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল হক (২৫) এবং ছয়ঘরিয়া গ্রামের খোদাবক্স মণ্ডলের ছেলে তৈয়ব আলী (৩০) গত শনিবার গরু আনার জন্য ভারত যান। গতকাল ভোররাতে সামন্তা সীমান্তের কচুয়ারপোতা এলাকার ৫৭ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে তাঁরা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের চুয়াটিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জহুরুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর তৈয়ব আলী আহত হয়ে পালিয়ে ফিরে আসেন। বিএসএফ নিহত ব্যক্তির লাশ নিয়ে গেছে। যাদবপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিএসএফ গুলি করে একজনকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বলে আমরা শুনেছি। তবে এখনো তাঁর পরিচয় পাইনি।’
Tuesday, 20 October 2009
চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ১
শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস, শিবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | তারিখ: ২০-১০-২০০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে গতকাল সোমবার ভোরে গরুচোর সন্দেহে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় লোকজন। এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় লোকজনের পিটুনিতে নিহত ব্যক্তি হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নামোচাকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৮)। বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আবদুল ওহাব মণ্ডলের ছেলে সুলতান আহম্মেদ ওরফে টিপু (৪০)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে রফিক গরু আনার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তের ১৮৩/২ এফ পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে ঢোকেন। কিন্তু গরুচোর সন্দেহে সুলতানপুর এলাকার লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআর সুলতানপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পত্র পাঠিয়েছে।
ভারতে ময়নাতদন্ত শেষে রফিকের মরদেহ সীমান্তে তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রফিকের লাশ ফেরত দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গার বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুলতান রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে গরু আনতে জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর সীমান্তের ৬৪ নম্বর মেইন পিলার ও এক নম্বর সাব-পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে যান। এ সময় বিএসএফের টুঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সুলতান নিহত হন। বিএসএফ সুলতানের লাশ গতকাল দুপুর ১২টার দিকে টুঙ্গী ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে পত্র পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সুলতান আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস, শিবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | তারিখ: ২০-১০-২০০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে গতকাল সোমবার ভোরে গরুচোর সন্দেহে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় লোকজন। এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় লোকজনের পিটুনিতে নিহত ব্যক্তি হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নামোচাকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৮)। বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আবদুল ওহাব মণ্ডলের ছেলে সুলতান আহম্মেদ ওরফে টিপু (৪০)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে রফিক গরু আনার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তের ১৮৩/২ এফ পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে ঢোকেন। কিন্তু গরুচোর সন্দেহে সুলতানপুর এলাকার লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআর সুলতানপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পত্র পাঠিয়েছে।
ভারতে ময়নাতদন্ত শেষে রফিকের মরদেহ সীমান্তে তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রফিকের লাশ ফেরত দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গার বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুলতান রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে গরু আনতে জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর সীমান্তের ৬৪ নম্বর মেইন পিলার ও এক নম্বর সাব-পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে যান। এ সময় বিএসএফের টুঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সুলতান নিহত হন। বিএসএফ সুলতানের লাশ গতকাল দুপুর ১২টার দিকে টুঙ্গী ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে পত্র পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সুলতান আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-১০-২০০৯
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে গতকাল রোববার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বদির হোসেন (৪৫)। তাঁর বাড়ি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কালিগাঁও গ্রামে।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) সূত্র জানায়, বদির হোসেন গতকাল ভোরে হরিপুর উপজেলার বশালগাঁও সীমান্তের ৩৪৯ (৩) নম্বর পিলারের কাছে গেলে ভারতের কয়লাডাঙ্গী ক্যাম্পের বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই বদির হোসেনের মৃত্যু হয়। বিএসএফ তাঁর লাশ টেনে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-১০-২০০৯
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে গতকাল রোববার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বদির হোসেন (৪৫)। তাঁর বাড়ি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কালিগাঁও গ্রামে।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) সূত্র জানায়, বদির হোসেন গতকাল ভোরে হরিপুর উপজেলার বশালগাঁও সীমান্তের ৩৪৯ (৩) নম্বর পিলারের কাছে গেলে ভারতের কয়লাডাঙ্গী ক্যাম্পের বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই বদির হোসেনের মৃত্যু হয়। বিএসএফ তাঁর লাশ টেনে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
Friday, 16 October 2009
বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস ও মেহেরপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ১৬-১০-২০০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুই বাংলাদেশি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
শিবগঞ্জে নিহত আবদুর রহিম একজন গরু ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের আটরশিয়া গ্রামে। মেহেরপুরে নিহত ব্যক্তির নাম আনন্দ কুমার বিশ্বাস (৪০)। আহত ব্যক্তির নাম মানিক কুমার সাহা (৪৫)। তাঁদের দুজনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, আবদুর রহিম রাত দেড়টার দিকে শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর সীমান্তের ১৭০-এর সাবপিলার-১ এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই সময় ভারতের মালদহ জেলার দৌলতপুর ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোরে বিডিআর সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে।
মেজর নজরুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারওয়ার রহমান জানান, আবদুর রহিমের নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেহেরপুরে বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে আনন্দ ও মানিক সদর উপজেলার বুড়িপোতা সীমান্তের ১১৬ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের করিমপুর থানার নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ওপর গুলি চালায়। এতে আনন্দর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয় মানিক। বিএসএফ সদস্যরা পরে আনন্দর লাশ ও মানিককে ধরে ভারতে নিয়ে যায়।
বিডিআরের কুষ্টিয়ার মিরপুর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল সাঈদ জানান, বুড়িপোতা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহত হলেও এর কারণ এখনো জানা যায়নি। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য গতকাল দুপুরে বুড়িপোতা সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সভায় বিডিআর সীমান্তে গুলির ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুই বাংলাদেশি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
শিবগঞ্জে নিহত আবদুর রহিম একজন গরু ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের আটরশিয়া গ্রামে। মেহেরপুরে নিহত ব্যক্তির নাম আনন্দ কুমার বিশ্বাস (৪০)। আহত ব্যক্তির নাম মানিক কুমার সাহা (৪৫)। তাঁদের দুজনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, আবদুর রহিম রাত দেড়টার দিকে শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর সীমান্তের ১৭০-এর সাবপিলার-১ এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই সময় ভারতের মালদহ জেলার দৌলতপুর ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোরে বিডিআর সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে।
মেজর নজরুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারওয়ার রহমান জানান, আবদুর রহিমের নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেহেরপুরে বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে আনন্দ ও মানিক সদর উপজেলার বুড়িপোতা সীমান্তের ১১৬ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের করিমপুর থানার নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ওপর গুলি চালায়। এতে আনন্দর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয় মানিক। বিএসএফ সদস্যরা পরে আনন্দর লাশ ও মানিককে ধরে ভারতে নিয়ে যায়।
বিডিআরের কুষ্টিয়ার মিরপুর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল সাঈদ জানান, বুড়িপোতা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহত হলেও এর কারণ এখনো জানা যায়নি। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য গতকাল দুপুরে বুড়িপোতা সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সভায় বিডিআর সীমান্তে গুলির ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
Thursday, 15 October 2009
BSF man faces trial for killing three Bangladeshis
Our Correspondent, Thakurgaon
Trial of a member of Indian Border Security Force (BSF) has begun for killing three innocent Bangladeshis by crossing the border in Tentulia upazila of Panchagarh district on November 16 last year.
The accused, BSF jawan RP Singh is being tried as per departmental rules, BSF sources said.
On Monday, two Bangladeshi doctors -- Dr Abdul Qaiyum, head of the Department of Surgery of Rangpur Medical College Hospital and Dr Baharam Ali, resident medical officer of Panchagarh Sadar Hospital -- went to Phulbari BSF camp through Banglabandha border and gave their statements before the trial court.
The two doctors gave treatment to the injured including RP Singh, who was caught by the villagers during the incident, and conducted autopsy of the killed persons.
Acting Commander of 25 Rifles Battalion Major Mozaffar Rahman, Tentulia Upazila Nirbahi Officer Monjur Alam and Operations Officer of 25 Rifles Battalion Captain Hasibul Hossain Nobi also went to Phulbari camp with the doctors.
The same court on Saturday took statement of Sub-Inspector Abdul Latif, who was working at Tentulia Police Station during November 16 killings by BSF. Latif rescued RP Singh from villagers and rushed him to Panchagarh Sadar Hospital for treatment.
Eight to 10 drunken BSF personnel including RP Singh from Nayabari camp in India entered Mynaguri village of Tentulia near Majipara border on November 16 night and ransacked several houses.
When villagers protested, the BSF men entered the house of Shahidul Islam and fired indiscriminately, killing three people including a minor boy and injuring another person.
Villagers then caught RP Singh and gave him a good beating. He was handed over to BSF through a sector commander-level meeting several days later.
Following the incidents, the BSF authorities formed the six-member court headed by a deputy inspector general
Trial of a member of Indian Border Security Force (BSF) has begun for killing three innocent Bangladeshis by crossing the border in Tentulia upazila of Panchagarh district on November 16 last year.
The accused, BSF jawan RP Singh is being tried as per departmental rules, BSF sources said.
On Monday, two Bangladeshi doctors -- Dr Abdul Qaiyum, head of the Department of Surgery of Rangpur Medical College Hospital and Dr Baharam Ali, resident medical officer of Panchagarh Sadar Hospital -- went to Phulbari BSF camp through Banglabandha border and gave their statements before the trial court.
The two doctors gave treatment to the injured including RP Singh, who was caught by the villagers during the incident, and conducted autopsy of the killed persons.
Acting Commander of 25 Rifles Battalion Major Mozaffar Rahman, Tentulia Upazila Nirbahi Officer Monjur Alam and Operations Officer of 25 Rifles Battalion Captain Hasibul Hossain Nobi also went to Phulbari camp with the doctors.
The same court on Saturday took statement of Sub-Inspector Abdul Latif, who was working at Tentulia Police Station during November 16 killings by BSF. Latif rescued RP Singh from villagers and rushed him to Panchagarh Sadar Hospital for treatment.
Eight to 10 drunken BSF personnel including RP Singh from Nayabari camp in India entered Mynaguri village of Tentulia near Majipara border on November 16 night and ransacked several houses.
When villagers protested, the BSF men entered the house of Shahidul Islam and fired indiscriminately, killing three people including a minor boy and injuring another person.
Villagers then caught RP Singh and gave him a good beating. He was handed over to BSF through a sector commander-level meeting several days later.
Following the incidents, the BSF authorities formed the six-member court headed by a deputy inspector general
Tuesday, 13 October 2009
পঞ্চগড়ে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা : অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের বিচার চলছে, দুই বাংলাদেশির সাক্ষ্য গ্রহণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৩-১০-২০০৯
পঞ্চগড়ে ঢুকে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফের সদস্য আর পি সিংয়ের বিচার চলছে ওই বাহিনীর নিজস্ব আইনে। ভারতের ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আদালতে গতকাল সোমবার বাংলাদেশের দুজন চিকিত্সকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক বাহারাম আলী ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম গতকাল বিএসএফের আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাঁরা গতকাল সকালে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পে যান। এ দুই চিকিত্সক বিএসএফের সদস্য আর পি সিং ও অন্য আহতদের চিকিত্সাসেবা দিয়েছিলেন এবং নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত করেছিলেন।
পঞ্চগড় ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম মোজাফফর রহমান, একই ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন হাসিবুল হোসেন নবী ও তেঁতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম প্রধানও গতকাল ওই চিকিত্সকদের সঙ্গে ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পে যান।
ফুলবাড়ী ক্যাম্প থেকে ফিরে দুপুরে মেজর মোজাফফর বাংলাবান্ধা জিরো লাইনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আশা করছি আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমরা বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়েছি।’ তিনি জানান, বিএসএফের একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে বিচার শুরু হয়েছে। এ আদালতে আরও আছেন তিনজন কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এর আগে গত শনিবার তেঁতুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ ফুলবাড়ী ক্যাম্পে গিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। তিনি ঘটনার দিন আর পি সিংকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে ভারতের নয়াবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ান আর পি সিং মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশে ঢুকে তেঁতুলিয়ার মাঝিপাড়া সীমান্তবর্তী ময়নাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ওই গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম (২৫) এবং এক বছর বয়সী মামুন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ শহীদুল ইসলাম (৩৮) ও গোলাম মোস্তফাকে (৫৫) তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মোস্তফা মারা যান। গ্রামবাসী অস্ত্রসহ বিএসএফের সদস্য আরপি সিংকে আটক করে।
১৭ নভেম্বর সকালে মাঝিপাড়া সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কিষানগঞ্জ বিএসএফের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আর চন্দ্র মোহন বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বিডিআর ১৭ নভেম্বর রাতে আর পি সিংকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই রাতে বিএসএফ সদস্যের গুলিতে আহত হন এবং স্ত্রী ও পুত্র হারান ময়নাকুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম। গতকাল তিনি বলেন, ‘স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’ দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা নিয়ে সুস্থ হলেও কাজ করতে পারছেন না বলে জানন তিনি।
নিহত মোস্তফার ছেলে শাকিল হোসেনও (২১) বাবা হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
পঞ্চগড়ে ঢুকে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফের সদস্য আর পি সিংয়ের বিচার চলছে ওই বাহিনীর নিজস্ব আইনে। ভারতের ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আদালতে গতকাল সোমবার বাংলাদেশের দুজন চিকিত্সকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক বাহারাম আলী ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম গতকাল বিএসএফের আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাঁরা গতকাল সকালে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পে যান। এ দুই চিকিত্সক বিএসএফের সদস্য আর পি সিং ও অন্য আহতদের চিকিত্সাসেবা দিয়েছিলেন এবং নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত করেছিলেন।
পঞ্চগড় ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম মোজাফফর রহমান, একই ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন হাসিবুল হোসেন নবী ও তেঁতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম প্রধানও গতকাল ওই চিকিত্সকদের সঙ্গে ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পে যান।
ফুলবাড়ী ক্যাম্প থেকে ফিরে দুপুরে মেজর মোজাফফর বাংলাবান্ধা জিরো লাইনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আশা করছি আমরা ন্যায়বিচার পাব। আমরা বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়েছি।’ তিনি জানান, বিএসএফের একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে বিচার শুরু হয়েছে। এ আদালতে আরও আছেন তিনজন কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এর আগে গত শনিবার তেঁতুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ ফুলবাড়ী ক্যাম্পে গিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। তিনি ঘটনার দিন আর পি সিংকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে ভারতের নয়াবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ান আর পি সিং মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশে ঢুকে তেঁতুলিয়ার মাঝিপাড়া সীমান্তবর্তী ময়নাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ওই গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম (২৫) এবং এক বছর বয়সী মামুন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ শহীদুল ইসলাম (৩৮) ও গোলাম মোস্তফাকে (৫৫) তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মোস্তফা মারা যান। গ্রামবাসী অস্ত্রসহ বিএসএফের সদস্য আরপি সিংকে আটক করে।
১৭ নভেম্বর সকালে মাঝিপাড়া সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কিষানগঞ্জ বিএসএফের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আর চন্দ্র মোহন বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বিডিআর ১৭ নভেম্বর রাতে আর পি সিংকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই রাতে বিএসএফ সদস্যের গুলিতে আহত হন এবং স্ত্রী ও পুত্র হারান ময়নাকুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম। গতকাল তিনি বলেন, ‘স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’ দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা নিয়ে সুস্থ হলেও কাজ করতে পারছেন না বলে জানন তিনি।
নিহত মোস্তফার ছেলে শাকিল হোসেনও (২১) বাবা হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
Sunday, 4 October 2009
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি শিশু আহত
কুড়িগ্রাম অফিস | তারিখ: ০৪-১০-২০০৯
কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রুমি আকতার (১১) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরী আহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে নওদাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে রৌমারি উপজেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে। রুমি আকতার নূরপুর মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
বিডিআর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমি দুপুর ১২টার দিকে ছাগল বাধার জন্য সীমান্তের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় বিএসএফের শাহপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সে সময় রুমি আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে রৌমারি বিডিআরের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কালাম এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদ বার্তা শাহপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএসএফের তরফ থেকে এই প্রতিবাদ বার্তার কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
কুড়িগ্রাম অফিস | তারিখ: ০৪-১০-২০০৯
কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রুমি আকতার (১১) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরী আহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে নওদাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে রৌমারি উপজেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে। রুমি আকতার নূরপুর মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
বিডিআর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমি দুপুর ১২টার দিকে ছাগল বাধার জন্য সীমান্তের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় বিএসএফের শাহপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সে সময় রুমি আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে রৌমারি বিডিআরের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কালাম এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদ বার্তা শাহপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএসএফের তরফ থেকে এই প্রতিবাদ বার্তার কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
Subscribe to:
Posts (Atom)