চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস ও মেহেরপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ১৬-১০-২০০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে দুই বাংলাদেশি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
শিবগঞ্জে নিহত আবদুর রহিম একজন গরু ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের আটরশিয়া গ্রামে। মেহেরপুরে নিহত ব্যক্তির নাম আনন্দ কুমার বিশ্বাস (৪০)। আহত ব্যক্তির নাম মানিক কুমার সাহা (৪৫)। তাঁদের দুজনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, আবদুর রহিম রাত দেড়টার দিকে শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর সীমান্তের ১৭০-এর সাবপিলার-১ এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই সময় ভারতের মালদহ জেলার দৌলতপুর ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোরে বিডিআর সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে।
মেজর নজরুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারওয়ার রহমান জানান, আবদুর রহিমের নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেহেরপুরে বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে আনন্দ ও মানিক সদর উপজেলার বুড়িপোতা সীমান্তের ১১৬ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতের করিমপুর থানার নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ওপর গুলি চালায়। এতে আনন্দর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয় মানিক। বিএসএফ সদস্যরা পরে আনন্দর লাশ ও মানিককে ধরে ভারতে নিয়ে যায়।
বিডিআরের কুষ্টিয়ার মিরপুর সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল সাঈদ জানান, বুড়িপোতা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহত হলেও এর কারণ এখনো জানা যায়নি। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য গতকাল দুপুরে বুড়িপোতা সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। সভায় বিডিআর সীমান্তে গুলির ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
No comments:
Post a Comment