Tuesday 20 October 2009

চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ১

শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস, শিবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | তারিখ: ২০-১০-২০০৯


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে গতকাল সোমবার ভোরে গরুচোর সন্দেহে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় লোকজন। এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় লোকজনের পিটুনিতে নিহত ব্যক্তি হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নামোচাকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৮)। বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আবদুল ওহাব মণ্ডলের ছেলে সুলতান আহম্মেদ ওরফে টিপু (৪০)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে রফিক গরু আনার জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তের ১৮৩/২ এফ পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে ঢোকেন। কিন্তু গরুচোর সন্দেহে সুলতানপুর এলাকার লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআর সুলতানপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পত্র পাঠিয়েছে।

ভারতে ময়নাতদন্ত শেষে রফিকের মরদেহ সীমান্তে তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রফিকের লাশ ফেরত দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

চুয়াডাঙ্গার বিডিআর ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুলতান রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে গরু আনতে জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর সীমান্তের ৬৪ নম্বর মেইন পিলার ও এক নম্বর সাব-পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে যান। এ সময় বিএসএফের টুঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সুলতান নিহত হন। বিএসএফ সুলতানের লাশ গতকাল দুপুর ১২টার দিকে টুঙ্গী ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে পত্র পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সুলতান আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

No comments:

Post a Comment