কূটনৈতিক প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2013-01-29 17:55:52.0 Updated: 2013-01-29 17:55:52.01 /
মঙ্গলবার বিকালে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই উদ্বেগ জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহতের সংখ্যা শূ্ন্যে নামিয়ে আনতে শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুতির পরও সহিংসতার ঘটনা চলতে থাকায় তা জনগণের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সীমান্ত জেলাগুলোতে উভয় পক্ষের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনার একটি প্রক্রিয়া আবার চালু করলে সামগ্রকিভাবে তা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একটা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলে বৈঠকে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তাহলেই বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটার আগেই উভয় পক্ষের প্রশাসনের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব।”
দীপু মনি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস প্রতিরোধে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাউকে এ মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগের জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে তাদের ‘অব্যাহত প্রচেষ্টা’র কথা জানান বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ভ্রমণের সুবিধার বিষয়ে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু করতে আগের নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন দীপু মনি।
তিনি ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থন ও ২০১১ সালে সই করা এর প্রটোকল অনুসমর্থনের ঝুলে যাওয়ার বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ অন্যান্য ঝুলে থাকা বিষয়গুলোও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন দীপু মনি।
তবে ইতিমধ্যে দুদেশের মধ্যে সই হওয়া বন্দি বিনিময় ও সংশোধিত ভ্রমন চুক্তি সই হওয়ায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব’ ফেলবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিপক্ষীয় বেঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে ‘এক্সট্রাডিশন ট্রিটি’ ও ‘রিভাইজড ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ শিরোনামের এ দুটি চুক্তিতে সই করেন।
সুশীল সিন্দে বৈঠকে ভারতের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আর বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
এর আগে সকালে বন্দি বিনিময় চুক্তির খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে দুই দিনের সফরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা পৌঁছান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article584467.bdnews