Saturday 27 February 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত



নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৭-০২-২০১০


ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শফিকুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন মিয়া জানান, গরু ব্যবসায়ী শফিকুল উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবদুস সাত্তারে ছেলে। গরু আনতে গত বুধবার তিনি ভারতে যান। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ভারতের রামনগর ক্যাম্পের বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা রাইফেল ৩৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সুলতান আহম্মদ জানান, সীমান্তরেখা থেকে ভারতের ভেতর ৭০০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে। লাশ ফেরত আনার জন্য বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Friday 26 February 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত



নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৬-০২-২০১০


ঝিনাইদহের মহেশপুরের সঙ্গে ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য স্বপন মিয়া জানান, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। বুধবার তিনি গরু আনতে অবৈধভাবে ভারতে যান। এরপর সেখান থেকে আজ ভোরে দেশে ফেরার পথে বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের কাছে ভারতের রামনগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
চুয়াডাঙ্গা বিডিআরের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সুলতান আহম্মদ জানান, ভারতের ৭০০ গজ ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি | তারিখ: ২৬-০২-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর-ফতেপুর সীমান্তের ওপারে গত বুধবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুকুল আলী (২৮) নামের একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি রঘুনাথপুরের খাসিয়াপাড়া গ্রামে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা মেজর নজরুল ইসলাম জানান, সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের এক হাজার গজ ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে আন্তর্জাতিক সীমানার ১০ নম্বর মেইন পিলারের সাব-পিলার ২/এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু আনার সময় ১৫১ সাদঘাটি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা মুকুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিডিআরের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Thursday 25 February 2010

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিডিআর-বিএসএফ গুলিবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ২৪-০২-২০১০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটায় বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল হোসেন জানান, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বৈষ্ণবপুর থানার সবদেরপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহলরত বিডিআরকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়ে। বিডিআরও পাল্টা ৮-১০টি গুলি করে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তিনি আরও জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Friday 19 February 2010

পঞ্চগড়ে পিটিয়ে হত্যা, সাতক্ষীরায় কবজি কেটে নিয়েছে বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-০২-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা গত বুধবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড়ের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পৃথক ঘটনায় সাতক্ষীরার এক রাখালের বাঁ হাতের কবজি কেটে নিয়েছে তারা। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে স্পিডবোটের পাখা দিয়ে সাতক্ষীরার আরেক রাখালকে জখম করেছে বিএসএফ।

পঞ্চগড়ে নিহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৬০)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের নরদেবপাড়া গ্রামে। কবজি হারানো গোলাম হোসেনের (৩৫) বাড়ি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। স্পিডবোটের আঘাতে আহত নূর ইসলাম (২৮) কালীগঞ্জের কাটুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পঞ্চগড় ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন বুধবার রাতে অজ্ঞাত কারণে অমরখানা সীমান্তে ভারতীয় এলাকায় যান। এ সময় ভারতীয় খালপাড়া ফাঁড়ির বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আনোয়ারের লাশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ভারতীয় অংশে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অমরখানা সীমান্তের ৭৪৪ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিডিআর-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা-বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফের সদস্যরা আনোয়ারের লাশ বিডিআরের কাছে ফেরত দেয়। পরে বিডিআর আনোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহত আনোয়ার হোসেনের ভাতিজা অভিযোগ করেন, আনোয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি ভুল করে ভারতীয় এলাকায় চলে গেলে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়।

বিডিআরের ভিতরগড় কোম্পানি সদরের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএসএফ আনোয়ারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পঞ্চগড় ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর এ কে এম হাসিবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আনোয়ারের শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন নেই। তবে তাঁকে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকেরা পিটিয়ে হত্যা করতে পারে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

এদিকে গতকাল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গেলে কবজি হারানো গোলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার তিনি এবং তাঁর গ্রামের পাঁচ ব্যক্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হঠাত্গঞ্জের হাটে গরু আনতে যান। বুধবার রাত তিনটার দিকে তাঁরা ছয়টি গরু নিয়ে হাকিমপুর বাজারের কাছে এলে হাকিমপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও তিনি ধরা পড়ে যান।

বিএসএফের সদস্যরা গোলাম হোসেনকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাঁ হাতের কবজি কেটে নেয়। পরে তাঁকে হাকিমপুর সীমান্তের সোনাই নদী দিয়ে বাংলাদেশে পার করে দেয়। এরপর লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

Thursday 18 February 2010

পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে কৃষক নিহত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৮-০২-২০১০


পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) গুলিতে মো. ইসলাম মিয়া (৩৮) নামের বাংলাদেশি এক কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মাধুপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পরই বিএসএফ সদস্যরা ইসলাম মিয়ার লাশ নিয়ে যান।

ইসলাম মিয়া ভারতীয় সীমান্তবর্তী মাধুপাড়া গ্রামের মরহুম শরবতু মোহাম্মদের ছেলে। বিডিআর ও সীমান্তবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল তিনটার দিকে মাধুপাড়া সীমান্তের ৭৪৮ মেইন পিলারের ২৫ ও ২৬ সাব-পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ইসলাম মিয়া ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতের সিঙ্গীমারী সীমান্তের ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই ইসলাম মিয়ার মৃত্যু হয়।

পঞ্চগড়ে ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়ানের উপ-অধিনায়ক মেজর এ কে এম হাসিবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিডিআর-বিএসএফ বৈঠক : সিলেট সীমান্তে অস্থায়ী চৌকি সরানোর আশ্বাস



নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ১৮-০২-২০১০


সিলেটের সীমান্ত এলাকায় বিরোধপূর্ণ ভূমির সমস্যাটি উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে এবং সীমান্তে বিএসএফ যে অস্থায়ী চৌকি স্থাপন করেছিল, তা সরিয়ে নেওয়া হবে। সিলেটের শ্রীপুর সীমান্তে গতকাল বুধবার বিডিআর ও বিএসএফের উচ্চপর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর এসব বিষয়ে একমত হয়েছে।

বিডিআর সূত্র জানায়, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত। শ্রীপুর সীমান্ত এলাকার সিলেট জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন উপমহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. ওবায়দুল হক এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের আইজিএস পৃথ্বিরাজ।

বৈঠক শেষে বিডিআর সিলেট সেক্টরের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. কোহিনুর আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে ডিবির হাওর এলাকায় বিডিআরের নায়েককে তুলে নিয়ে যাওয়া, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত এলাকায় নিরীহ বাংলাদেশিদের ওপর বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

Wednesday 17 February 2010

বিডিআর-বিএসএফ বৈঠক : অপরাধীদের তালিকা বিনিময় ও সীমান্তে যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-০২-২০১০


বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর কমান্ডার-পর্যায়ের বৈঠকে উভয় দেশের অপরাধীদের তালিকা বিনিময় করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস দমনে সীমান্তে যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত ফাঁড়িতে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সীমান্ত সমন্বয় সভায় তালিকা বিনিময় ও যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে এ সভা।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিডিআরের রংপুর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি রিয়াজ আহমেদ খান। উভয় পক্ষে মোট আটজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কর্নেল মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। চোরাচালান এবং মাদক, নারী ও শিশু পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধসহ আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস দমনে যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা, বিশেষ পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন, সীমান্তে নিয়মিত সমন্বিত টহল কার্যক্রম জোরদার এবং সীমান্তের যেকোনো সমস্যা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের বিষয়েও দুই পক্ষ একমত হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।


বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট জানান, সিলেটের তামাবিল সীমান্তে গত রোববার গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। গত সোমবার দুপুরে তামাবিল সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফের অধিনায়ক-পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেন। বিডিআর সূত্র জানায়, বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ২১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ব্যাটালিয়ন-১ এর কমান্ডিং অফিসার এস এফ তিরকে।

পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত




পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-০২-২০১০


পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাধুপাড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশি কৃষক ইসলাম মিয়া নিহত হয়েছেন।

বিডিআর ও সীমান্তবাসীরা জানায়, ৭৪৮ মেইন পিলারের ২৫ ও ২৬ সাব-পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে মাধুপাড়া গ্রামের ইলিয়াস মিয়া ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতের সিঙ্গিমারী সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

বিএসএফের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যান। ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়ানের উপ-অধিনায়ক মেজর এ কে এম হাসিবুল হোসেন ঘটনার কথা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

Monday 15 February 2010

তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ


জৈন্তাপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠক


নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ১৫-০২-২০১০


সিলেটের তামাবিল সীমান্তে গতকালের গোলাগুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে। আজ সোমবার তামাবিল সীমান্তে বিডিআর ও বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ২১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ব্যাটালিয়ন-১-এর কমান্ডিং অফিসার এস এফ তিরকে।

বৈঠক শেষে লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি তামাবিল সীমান্তে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অতিক্রম না করার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।

Wednesday 10 February 2010

বিডিআর-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৯-০২-২০১০

দিনাজপুরের হিলি বিডিআর ক্যাম্পে গতকাল সোমবার বিডিআর-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ভবিষ্যতে সীমান্তে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের বিষয়ে উভয়পক্ষ আলোচনা করে। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিডিআরের দিনাজপুর সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার মো. ইরশাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়পুরহাট ৩ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফুলবাড়ী ৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আকরামুজ্জামান ও ঠাকুরগাঁও ২০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাহফুজ আলম প্রমুখ।

Sunday 7 February 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৭-০২-২০১০


পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেলীপাড়া সীমান্তে গতকাল শনিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় শারিয়াল জোত গ্রামের দবিরউদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন। জানা গেছে, তেলীপাড়া এলাকার ৮-১০ জন গরু ব্যবসায়ীসহ ফরিদ ভারত থেকে গরু আনতে সীমান্তের ৪৪৩ নম্বর পিলারের কাছে যান। এ সময় ভারতের হাফতিয়াগছ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে ১০-১২টি গুলি ছোড়েন।

Friday 5 February 2010

BDR, BSF trade fire

Staff Correspondent, Sylhet

BDR and BSF traded over a hundred gunshots on Jaintapur, Sripur and Tamabil borders yesterday from 4:00pm to 6:00pm after the Indian border guards took a Bangladesh Rifles jawan to their territory from near Jaintapur border around 10:15am.

The Border Security Force handed over the BDR soldier, Nayek Mujibur Rahman, around 8:15pm after an hour-long flag meeting at Tamabil international check post.

Commanding Officer of the 21 Rifle Battalion of Sylhet Lt Col Khandaker Zahirul Alam received the BDR jawan. BSF acting Battalion Commander-1 of Meghalaya SK Tirki led the Indian side in the meeting.

BDR sources said after a bitter exchange of word, a team of BSF of Moktarpur camp took Mujibur to their territory while he along with four colleagues was patrolling near border pillar No 1284.

The BSF men were also patrolling near the area at that time.

On information, officials from BDR Headquarters in Sylhet reached the area.

Maj Mamun, second-in-command of 21 Rifle Battalion, told The Daily Star that in the meantime a proposal was sent to BSF for holding an emergency flag meeting to hand over BDR Nayek Mujibur Rahman.

But all of a sudden, BSF opened fire without any provocation around 4:00pm, an hour ahead of the emergency flag meeting, forcing BDR to retaliate it.

BDR Director General Maj Gen Md Mainul Islam told The Daily Star that the exchange of gunfire took place following a misunderstanding between the two sides.

A rumour spread along the border that BSF men took BDR Nayek Mujibur Rahman to their territory with bullet injuries, he said adding, "But it was not correct."

"BSF returned our soldier and he is absolutely okay," said the BDR DG.

The problem was solved following the flag meeting and communication between BDR headquarters in Dhaka and BSF headquarters in Delhi, he added.

Sources said BDR and BSF had a long standing dispute over 50 acres of farmland in the bordering area.

Indians have been trying to drive out Bangladeshi farmers from the bordering lands for years.

জৈন্তাপুর সীমান্তে বিডিআর সদস্যকে ধরে নিয়ে ছেড়ে দিল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ০৫-০২-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তের ভেতরে অতর্কিতে ঢুকে পড়ে। টহলরত বিডিআর সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিএসএফের সদস্যরা বিডিআরের নায়েক মুজিবুর রহমানকে ধরে নিয়ে যান। রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাঁকে বিডিআরের কাছে ফেরত দেয়।

এর আগে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিলেটের জকিগঞ্জে বিডিআর-বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকালে সম্প্রীতিমূলক এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
২১ রাইফেল ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জৈন্তাপুর সীমান্তের পিলার-সংলগ্ন (নম্বর ১২৮৩-১২৮৪) এলাকায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রায় ৫০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে বিএসএফের একটি দল। ওই এলাকায় টহলরত বিডিআরের তিনজন সদস্য বিএসএফকে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিডিআরের নায়েক মুজিবুর রহমানকে বিএসএফ সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাত সাড়ে আটটায় বিডিআর-বিএসএফ পতাকা বৈঠক বসে। শান্তিপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএসএফ মুজিবুরকে ফেরত দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ঘটনার নিষ্পত্তি এবং ওপারে আটক বিডিআর নায়েক মুজিবুরকে ফেরত আনতে বিকেল চারটায় জৈন্তাপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী তামাবিল সীমান্ত এলাকায় গুলির শব্দ শুনে পতাকা বৈঠক আর হয়নি। জৈন্তাপুর ও তামাবিল সীমান্ত এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।