Monday, 5 March 2012

বিএসএফের নির্যাতনে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ


বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | তারিখ: ০৫-০৩-২০১২

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতন ও ককটেলের আঘাতে আবদুল জলিল (৪০) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তায়েফ-উল হক জানান, আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ দাউদপুর সীমান্তে প্রধান পিলার ২৮৯-এর ১৭ সাব-পিলারের ভারতের অংশে গোবিন্দপুর গ্রামে পতাকা-বৈঠক হয়। সীমান্তে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়নি বলে বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে। তবে এক বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের পুলিশের কাছে সোপর্দের কথা জানিয়েছে তারা।

বিএসএফের নির্যাতন বা ককটেলের আঘাতের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী গরু ব্যবসায়ী ও ভারতের জামালপুর গ্রামের স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রোববার গভীর রাতে বিরামপুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকার ৪০-৫০ জনের গরু ব্যবসায়ীর একটি দল ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জামালপুর গ্রামের ছাগলডাঙ্গীতে গরু আনতে যায়। এ সময় বিএসএফের ২৫-৩০ জনের একটি দল তাদের ঘিরে ফেলে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীরা পালাতে চাইলে বিএসএফ তাঁদের ওপর কয়েকটি বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু (ককটেল) ছোড়ে। সেখানেই আবদুল জলিলসহ পাঁচজন আহত হন। এরপর বিএসএফ আহত আবদুল জলিল ও গোলাপকে আটক করে নির্যাতন করতে শুরু করে। এ সময় অন্য গরু ব্যবসায়ীরা আহত গোলাপকে বিএসএফের হাত থেকে ছিনিয়ে আনেন বলে তাঁরা দাবি করেন। কিন্তু জলিলকে উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা।

দাউদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, সকালে ভারতের জামালপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ীরা ছাগলডাঙ্গীতে সরিষার একটি ক্ষেতে আবদুল জলিলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাঁদের খবর দেন। আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের ক্ষত ছিল বলে তাঁরা দাবি করেন। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, গোলাপের মাথায় বেয়নেটের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত ছিল।

নিহত আবদুল জলিলের বাড়ি বিরামপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন গোলাপ হোসেন (২৪), এরফান আলী (২৬), মিরাজুরুল ইসলাম (৩৪) ও নুরুজ্জামান (৩০)। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আহত বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-05/news/230074

No comments:

Post a Comment