Thursday 29 March 2012

BSF beats Bangladeshi to death

March 29, 2012

Our Correspondent, Benapole

Indian Border Security Force (BSF) beat to death a Bangladeshi cattle trader along Putkhali frontier in Benapole early yesterday.

The deceased was identified as Shahadat Hossain, 35.

Border Guard Bangladesh (BGB) and local sources said Shahadat was caught by BSF men while he along with other cattle traders was bringing cattle from India.

Though his companions managed to flee, Shahadat was beaten mercilessly leaving him dead on the spot, said Joynal Abedin, Putkhali camp commander of BGB 26 Battalion.

Police recovered the body of the deceased near the frontier, said Hasan Hafizur Rahman, officer-in-charge of Benapole Port Police Station.

The body, which bore marks of injury, has been sent to Jessore Sadar Hospital for autopsy, he added.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=228173


Wednesday 28 March 2012

বিএসএফের পিটুনিতে মৃত্যু


Wed, Mar 28th, 2012 4:38 pm BdST

বেনাপোল/যশোর, মার্চ ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে গেছে বিএসএফ।

নিহত মো. শাহাদাত (৩২) যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

বুধবার সকালে পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ থেকে শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র পুটখালী ক্যাম্প অধিনায়ক নায়েক সুবেদার জয়নাল হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে একদল গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে আংরাইল সীমান্ত দিয়ে শাহাদাত ভারতে গরু কিনতে গিয়েছিল। ভোরে ফিরে আসার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় শাহাদাত ধরা পড়ে যায়।

“পরে বিএসএফ তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ চরের মাঠে ফেলে রেখে যায়। সকালে লোকজন লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।”

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, শাহাদাতের লাশ সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/আরএ/১৬৩৫ ঘ. 

http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=189790&cid=2


Monday 19 March 2012

সীমান্তে রাতের কারফিউর বিপক্ষে বিজিবি


Mon, Mar 19th, 2012 3:42 pm BdST

নয়া দিল্লি, মার্চ ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সীমান্তে রাতে চলাচল এড়াতে কারফিউ জারি করতে ভারতের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ।

এর পরিবর্তে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের অপরাধের বিষয়ে সচেতন করে তোলার ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা।

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যার জন্য সমালোচনার মধ্যে থাকা ভারত এই ধরনের ঘটনা এড়াতে রাতে সীমান্ত এলাকায় কারফিউ জারির জোর সুপারিশ জানিয়ে আসছে।

এই বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কারফিউতে বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, সীমান্তে বসবাসকারীদের স্ব স্ব দেশের ভূমিতে অবাধ চলাফেরার অধিকার রয়েছে।”

“আর কারফিউ একটি সাময়িক ব্যবস্থা, এর মধ্য দিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসবে না,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শেষে সোমবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী প্রধান। এসময় তার পাশেই ছিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী- বিএসএফের প্রধান ইউ কে বানসাল।

সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনের বিষয়ে মেজর জেনারেল আনোয়ার বলেন, “সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা মনে করি, সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

সীমান্ত সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তের ২৩টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই সব স্থানে অপরাধ দমনে যৌথ টহল জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু এড়াতেও দুই পক্ষ একমত হয়েছে।

“সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বটি আমাদেরই নিতে হবে,” বলেন বিজিবি প্রধান।

বিএসএফ প্রধান বানসাল বলেন, সীমান্তবাসীকে সচেতন করে তুলতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমাতে বিএসএফ সদস্যদের প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এনডিসি/এমআই/১৫৩৫ ঘ. 

http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=189059&hb=3 

Thursday 15 March 2012

8 BSF 'brutes' given 89-day jail


Thu, Mar 15th, 2012 12:58 am BdST

Dhaka, Mar 14 (bdnews24.com) � A Border Security Force (BSF) court has jailed eight of its personnel for 89 days for torturing a young Bangladeshi in West Bengal's Murshidabad district, Indian media reported on Wednesday.

The personnel were found prima facie guilty after a court of inquiry was instituted into the incident which took place in early February, a PTI report said.

They can resume duty only after serving the term in BSF's 'quarter guard' � the paramilitary force's version of jail, it said quoting officials of the border guards.

As additional punishment, one of the eight BSF personnel was demoted from the post of head constable to constable in order to facilitate his jailing, since as per the BSF rules, a head constable cannot be sent to jail, an official told PTI.

The jailed BSF personnel are Verendar Tiwari, VS Victor, Dhananjoy Kumar, Anand Singh, Amar Jyoti, Snajeev Kumar, Suresh Chand and Sunil Kumar.

The BSF, widely criticised for killing Bangladeshis along the border, suspended the eight of its personnel on Jan 18 and ordered 'court martial' proceedings against them recently after some Indian TV channels aired a video showing a Bangladeshi man being stripped, kicked and beaten by them.

The video showed three to four personnel, donning BSF-style dark green fatigues, stripping and then beating a lungi-clad man with his hands tied behind his back in the incident that reportedly took place on Dec 9.

Habibur Rahman, 22, son of Saidur Rahman of Satero Rashia under Durlavpur union council of Shibganj upazila in Chapainawabganj, was the man tortured. He told bdnews24.com on Jan 19 that he was tortured by the BSF men while returning to Bangladesh with cattle through Khanpur border of Paba upazila in Rajshahi district on Dec 9 last year.

bdnews24.com/pd/ost/nir/2345h

http://bdnews24.com/details.php?cid=2&id=220316&hb=2 

Thursday 8 March 2012

গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ বিএসএফের


সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:

সাতক্ষীরার কেড়াগাছী সীমান্তে গুলিবর্ষণের পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে। অপহূত দুই বাংলাদেশি হলেন— সাতক্ষীরার সদর উপজেলার হাওলখালী গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের আবদুল মাজেদের ছেলে রুহুল কুদ্দুস সরদার (৩৭)। তবে এ ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে একজনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে বিএসএফ।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে ২০-৩৫ জনের একদল বাংলাদেশি রাখাল গরু আনতে ভারতে যায়। বুধবার ভোররাতে গরু নিয়ে ফেরার পথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগর থানার খলিসা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে শরিফুল ও কুদ্দুস নামে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা আহত অবস্থায় তাদের ধরে নিয়ে যায়।

কুশখালী বিওপির কমান্ডার সুবেদার সুলতান আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৮ বর্ডার গার্ডের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাছির। অন্যদিকে বিএসএফের নেতৃত্ব দেন ভারতের ১৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হারমিথ সিং। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে জানানো হয়, তারা এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে। আটক বাংলাদেশি রুহুল কুদ্দুসকে ভারতীয় চোরাচালান আইনে ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় মামলা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তার অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ :
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে গত রোববার বিএসএফের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে। শেরপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন নো-ম্যানস ল্যান্ডে বিজিবি-বিএসএফ উচ্চ পর্যায়ের এক পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে এবং ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকবে। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ বিজিবির ২৭ ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলং ফ্রন্টইয়ার (তুরা, আসাম ও শিলং-এই তিন সেক্টরের প্রধান) হেড কোয়ার্টারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) সুদেশ কুমার। বৈঠকে ২৭ বিজিবির অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল হ্লা হাং ম্রং, লে. কর্নেল আবদুল খবির সরকার, কমান্ডার মেজর মো. খালেদ, মেজর খন্দকার আবু হুরাইয়া (জিএসও), মেজর নাজমুল হুদা ও স্টাফ অফিসার সাহেদ মেহের উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ডিআইজি রবি গান্ধী, তুরা সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার (অব) ভিকো চান, কমান্ডিং অফিসার অমর কুমার এক্কা, স্টাফ অফিসার বিকাশ কুমার সিং ও অসেম ইউনো। বৈঠক শেষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম জানান, উভয় দেশের মধ্যে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তে মানুষ হত্যা, চোরাচালান ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ রোধকল্পে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

http://www.shokalerkhabor.com/online/details_news.php?id=66803&&%20page_id=%2045

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ


অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ০৮-০৩-২০১২

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঝালঙ্গি থেকে বাংলাদেশি এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম (২৫)। তাঁর বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী মাস্টার বাড়ি গ্রামে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৮৪৩ নম্বর পিলারের কাছে ধানখেতে কাজ করার সময় ভারতের কোচবিহারের চন্দ্রাবান্ধা ক্যাম্প থেকে বিএসএফ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় বিএসএফ তাঁকে নির্যাতন করে বলেও তারা অভিযোগ করে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩১ নম্বর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল আসলাম বলেন, আটক ওই যুবককে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে বিএসএফের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইউএনবি।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-08/news/231030

Tuesday 6 March 2012

বিরামপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যু!


দিনাজপুর অফিস ও বিরামপুর সংবাদদাতা | তারিখ: ০৬-০৩-২০১২

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্তে গত রোববার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন পাঁচজন।

এ নিয়ে গতকাল সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। তবে বাংলাদেশিকে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ। তারা জানায়, অনুপ্রবেশের অভিযোগে গতকাল তারা এক বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের হিলি থানার পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

তবে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি হিলি থানায় ফোন দিলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, বিএসএফ গত দু-তিন দিনে কোনো বাংলাদেশিকে তাঁদের কাছে সোপর্দ করেনি। 

নিহত ব্যক্তি হিসেবে যার নাম পাওয়া গেছে তিনি হলেন বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের আবদুল জলিল (৪০)। তিনি পরিবার নিয়ে বিরামপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মামুদপুর মুন্সিপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন এবং ভারত থেকে গরু আনার কাজ করতেন।

কাটলার দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আলিম উদ্দিন ও মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিরামপুরের বিভিন্ন এলাকার ৪০-৫০ জন লোক ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার হিলি থানাধীন জামালপুর গ্রামে গরু আনতে যান। এ সময় ২৫-৩০ জন বিএসএফ সদস্য তাঁদের ঘিরে ফেলে আক্রমণ চালায়। বাংলাদেশিরা পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফ তাঁদের ওপর কয়েকটি ককটেল ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বাংলাদেশি আহত হন। এর মধ্যে আবদুল জলিল ও দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের গোলাপ হোসেনকে আটক করে আরও নির্যাতন চালায় বিএসএফ। পরে রাতেই অন্য গরু ব্যবসায়ীরা গোলাপকে বিএসএফের হাত থেকে ছিনিয়ে দেশে নিয়ে আসেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরকের ক্ষত ছিল। গোলাপের মাথায় ছিল বেয়নেটের আঘাতের চিহ্ন। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, সকালে ভারতের জামালপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ীরা ছাগলডাঙ্গী এলাকার একটি সরিষাখেতে আবদুল জলিলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই বিএসএফের একটি গাড়ি এসে ওই খেত থেকে জলিলের লাশ নিয়ে যায়।

দিনাজপুরে ৪০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েফ-উল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারত সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করার খবর পেয়ে গতকাল বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ দাউদপুর সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডার মুকন্দর তালুকদার দাবি করেন, বিএসএফ ককটেল ছুড়ে বা নির্যাতন করে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা বা আহত করেনি। তবে একজন বাংলাদেশিকে আটক করে গতকাল তাঁরা ভারতের হিলি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। 

গতকাল বিকেলে বিরামপুর পৌরসভার মামুদপুর মুন্সিপাড়া এলাকায় ‘নিহত’ জলিলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাসা খালি। বাইরে তালা দেওয়া। প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও হামিদুল ইসলাম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে জলিলের স্ত্রী আজিমা বেগম তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সীমান্তে গেছেন।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-06/news/230229

Monday 5 March 2012

বিএসএফের নির্যাতনে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ


বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | তারিখ: ০৫-০৩-২০১২

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতন ও ককটেলের আঘাতে আবদুল জলিল (৪০) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তায়েফ-উল হক জানান, আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ দাউদপুর সীমান্তে প্রধান পিলার ২৮৯-এর ১৭ সাব-পিলারের ভারতের অংশে গোবিন্দপুর গ্রামে পতাকা-বৈঠক হয়। সীমান্তে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়নি বলে বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে। তবে এক বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের পুলিশের কাছে সোপর্দের কথা জানিয়েছে তারা।

বিএসএফের নির্যাতন বা ককটেলের আঘাতের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী গরু ব্যবসায়ী ও ভারতের জামালপুর গ্রামের স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রোববার গভীর রাতে বিরামপুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকার ৪০-৫০ জনের গরু ব্যবসায়ীর একটি দল ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জামালপুর গ্রামের ছাগলডাঙ্গীতে গরু আনতে যায়। এ সময় বিএসএফের ২৫-৩০ জনের একটি দল তাদের ঘিরে ফেলে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীরা পালাতে চাইলে বিএসএফ তাঁদের ওপর কয়েকটি বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু (ককটেল) ছোড়ে। সেখানেই আবদুল জলিলসহ পাঁচজন আহত হন। এরপর বিএসএফ আহত আবদুল জলিল ও গোলাপকে আটক করে নির্যাতন করতে শুরু করে। এ সময় অন্য গরু ব্যবসায়ীরা আহত গোলাপকে বিএসএফের হাত থেকে ছিনিয়ে আনেন বলে তাঁরা দাবি করেন। কিন্তু জলিলকে উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা।

দাউদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, সকালে ভারতের জামালপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ীরা ছাগলডাঙ্গীতে সরিষার একটি ক্ষেতে আবদুল জলিলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাঁদের খবর দেন। আহত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের ক্ষত ছিল বলে তাঁরা দাবি করেন। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, গোলাপের মাথায় বেয়নেটের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত ছিল।

নিহত আবদুল জলিলের বাড়ি বিরামপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন গোলাপ হোসেন (২৪), এরফান আলী (২৬), মিরাজুরুল ইসলাম (৩৪) ও নুরুজ্জামান (৩০)। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আহত বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-05/news/230074

আটক বিএসএফ সদস্যকে ভারতের কাছে হস্তান্তর



শেরপুর ও নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি | তারিখ: ০৫-০৩-২০১২

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ইকোপার্ক থেকে অস্ত্রসহ আটক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য দিলীপ কেদারকে (৩৮) ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার প্রথম প্রহরে জামালপুর জেলার কামালপুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে তাঁকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।

বিজিবির জামালপুর ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবদুল খবীর সরকার প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, আজ দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত কামালপুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম ও বিএসএফের তুরা সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ভি কে চাঁদ দুই পক্ষে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিএসএফের সদস্য দিলীপ কেদারের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

ভি কে চাঁদ বলেন, ভারতের প্রচলিত আইনে দিলীপ কেদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ইকোপার্ক থেকে গতকাল রোববার বিএসএফের ওই সদস্যকে আটক করে বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানায়, ৬ ব্যাটালিয়নের অপারেশন কর্মকর্তা মেজর নাহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল গতকাল বেলা ১১টার দিকে মধুটিলা ইকোপার্কে সাদা পোশাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় বিএসএফের সদস্য দিলীপ কেদারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে দিলীপ নিজেকে বিএসএফের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন।

বিজিবি সূত্র আরও জানায়, দিলীপ কেদারের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১০টি গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ৮৫০ ভারতীয় রুপি, বাংলাদেশি ৫০০ টাকা এবং বিএসএফের পোশাক পরা একটি ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। দিলীপ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ৩৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-05/news/230088

Beaten Bangladeshi is alive: BSF


Mon, Mar 5th, 2012 2:36 pm BdST

Dinajpur, Mar 5 (bdnews24.com) – The Bangladeshi who was allegedly 'beaten to death' by India's Border Security Force (BSF) personnel along the Birampur border early Monday morning is 'alive', BSF says.

"Abdul Jalil has been handed over to Kumarganj Police Station in the Indian district of South Dinajpur for illegal trespassing. He is well now," Border Guard Bangladesh-40 Phulbari Battalion commander Lt Col Tayebul Haque told bdnews24.com, quoting BSF officials as saying in a flag meeting held in the afternoon.

Earlier, BGB Dinajpur sector commander Col Emdadul Haque told bdnews24.com that Jalil, 40, had died at the spot when members of Govindapur BSF camp beat up with rods some Bangladesh nationals who had crossed the border near Daudpur and Bhaigarh around 4:30am.

Another injured, Mohammad Golap, 42, was admitted to Dinajpur Medical College Hospital, Haque said, but failed to say anything about the others.

BSF had suspended eight of its members after Indian private TV station NDTV on Jan 19 released a video which showed the BSF men torturing a Bangladeshi cattle trader on Dec 9.

bdnews24.com/corr/ost/tk/bd/1547h
http://www.bdnews24.com/details.php?id=219578&cid=2

বিএসফের পিটুনিতে আহত জলিল ভারতের থানায়


Mon, Mar 5th, 2012 12:47 pm BdST

দিনাজপুর, মার্চ ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। এদের মধ্যে একজনকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি।

কয়েকজন বাংলাদেশি সোমবার ভোরে বিরামপুরের ভাইগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের রড ও লাঠি দিয়ে পেটায়। এতে আব্দুল জলিল (৪০) নামে একজন নিহত ও দুইজন আহত হন বলে সকালে সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দিনাজপুর অঞ্চলের কমান্ডার কর্নেল এমদাদুল হক।

তবে দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি-৪০ ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএসএফ সদস্যরা জানিয়েছে জলিল মারা যাননি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ভারতের আগ্রা বিএসএফ ক্যাম্পে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ পতাকা বৈঠক হয়।

কর্নেল এমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভোরে সীমান্ত- পার হওয়ার পরপরই ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ-২৮ ক্যাম্পের সদস্যরা কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটক করে। এরপর রড ও লাঠি দিয়ে তাদের বেদম পেটানো হয়।

বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, নির্যাতনে আহত মো. গোলাপ (৪২) নামের একজনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বিরামপুরের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের ওয়াসিম উদ্দিনের ছেলে। আর ভারতে আটক জলিলের বাড়ি বিরামপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মফিজ উদ্দিন।

একই ঘটনায় নির্যাতিত আজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিজিবি তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।

বিজিবি-৪০ ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েবুল হক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলাপের করাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনজন বাংলাদেশি বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে আজিম উদ্দিনই তৃতীয় ব্যক্তি কি-না তা নিশ্চিত করা যায়নি।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পবা উপজেলার খানপুর সীমান্তেবিএসএফ জওয়ানদের নির্যাতনের শিকার হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবক হাবিবুর রহমান। তাকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্রটি গত ১৯ জানুয়ারি ভারতীয় টেলিভিশনে প্রচারের পর আট জওয়ানকে বরখাস্ত করে বিএসএফ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/আরএ/১৫৫০ ঘ. 
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=187729&hb=1