নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ০১-০৩-২০১০
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বাংলাদেশের ডিবির হাওর থেকে আজ রোববার মাছ ধরে নিয়ে গেছে একদল ভারতীয় খাসিয়া। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাসিয়ারা মাছ ধরে। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) খাসিয়াদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই নিয়ে বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় গুলিবিনিময় হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী ও বিডিআর সূত্র জানায়, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে আজ সকাল নয়টার দিকে বিএসএফের সহযোগিতায় একদল ভারতীয় খাসিয়া মাছ ধরতে নামে। সীমান্ত অতিক্রম করায় ওই এলাকায় টহলরত ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ছয়জন বিডিআর জওয়ান বিএসএফকে বাধা দেন। কিন্তু বিএসএফ তখন বাধা অতিক্রম করে ডিবির হাওরপাড়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে টহলরত বিডিআর জওয়ানেরা সেখান থেকে ফাঁড়িতে চলে আসেন। বিডিআর চলে আসায় বেলা ১১টার দিকে বিএসএফও হাওর এলাকা থেকে সীমান্তের ওপারে গিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়। ওপার থেকে বিএসএফের নজরদারির মধ্যে ডিবির হাওরে খাসিয়ারা প্রায় বিকেল তিনটা পর্যন্ত মাছ ধরে। ডিবির হাওর থেকে খাসিয়ারা চলে যাওয়ার পর বিএসএফ অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। এরপর বিডিআরও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এভাবে পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময় চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এ সময় ডিবির হাওরসহ জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ডিবির হাওর থেকে বিএসএফের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভারতীয় খাসিয়ারা মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আজ বিকেল তিনটা ১০ মিনিটের দিকে বিডিআরকে উদ্দেশ করে বিএসএফ গুলি ছুড়লে বিডিআরও পাল্টা জবাব দেয়। বিডিআর তিনটা ৩৫ পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি ছোড়ে। কিন্তু বিএসএফ একনাগাড়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত গুলি ছোড়ে।
উল্লেখ্য, বাংলদেশের ডিবির হাওরে মাছ ধরা নিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিডিআর-বিএসএফ একাধিকবার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিডিআর-বিএসএফের উচ্চপর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।
No comments:
Post a Comment