Tuesday, 9 March 2010

বিডিআর-বিএসএফ বৈঠক শুরু : সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা করা হবে না: ভারত

| তারিখ: ০৯-০৩-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিরীহ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা সহ্য করা হবে না বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে ভারত। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া বিএসএফ-বিডিআরের মহাপরিচালক পর্যায়ের প্রথম দিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিডিআরের মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম এ কথা বলেন। বৈঠকে মইনুল ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে যোগ দেন বিএসএফের মহাপরিচালক জেনারেল রমন শ্রীবাস্তব। খবর বাসসের।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, নয়াদিল্লিতে বিএসএফের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তাঁরা সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিরীহ বাংলাদেশিদের মৃত্যু, চোরাইপথে বাংলাদেশে ভারতীয় ফেনসিডিলের অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত এলাকার অমীমাংসিত ভূমির মালিকানাবিষয়ক তিনটি প্রধান বিষয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, তিনটি বিষয়েই বিএসএফের পক্ষ থেকে গঠনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, তাঁরা ‘অত্যন্ত আন্তরিক ও সফল’ বৈঠক করেছেন। বিএসএফের মহাপরিচালক তাঁকে তিনটি বিষয়েই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন সে আশ্বাস তাঁরা বাস্তবে দেখতে চান।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই আশ্বাস দিয়েছে যে সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে কোনো নিরীহ বাংলাদেশির মৃত্যু হলে তাঁরা তা কিছুতেই বরদাশত করবেন না। বাংলাদেশে ভারতীয় ফেনসিডিল পাচারের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে বিএসএফের মহাপরিচালক তাঁকে আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অমীমাংসিত ভূমির বিষয়টিও বৈঠকে তোলা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে উভয় দেশ সহিষ্ণুতা বজায় রেখে সমাধানের পথে এগোবে বলে জানানো হয়।

দুই দেশের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য উভয় পক্ষ নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক করতে সম্মত হয়।

বিডিআরের মহাপরিচালক গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন।

আমাদের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানান, বৈঠকে বিএসএফ সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে এক দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে বিএসএফ বিডিআরের সহযোগিতা চায়। সম্প্রতি ঢাকা থেকে ড়্যাবের সদস্যরা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশে মুহাম্মদের পাঁচ সদস্যকে আটক করায় সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত।

বিএসএফের সূত্রগুলো বলেছে, এ মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি ভারতের বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ।

No comments:

Post a Comment