Sunday, 26 February 2012

সীমান্ত ‘ঘটনায়’ ভারতের উদ্যোগ চান মজিনা


Sun, Feb 26th, 2012 10:53 pm BdST

রাজশাহী, ফেব্রুয়ারি ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতন প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, এসব ‘ঘটনায়’ ভারতকে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি হত্যা এবং স¤প্রতি এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ সদস্যদের নির্যাতন প্রসঙ্গে মজিনার কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।

জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি বুঝতে পারছি এটা ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি। আগামীকাল আমি সীমান্ত পরিদর্শনে যাব বলে আশা করছি।”

ভারত সীমান্তে স¤প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কেও তিনি অবহিত- এ মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক, খুবই মর্মান্তিক।”

“এসব ঘটনার জন্য দায়ীদের বিষয়ে ভারত সরকার দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমি আশা করি।”

রোববার রাজশাহীর পুঠিয়ার রাজবাড়ি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মজিনা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী রোববারই রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) গুলি না করার কড়া নির্দেশ মানার চেষ্টা করছে।

স¤প্রতি রাজশাহীর খানপুর সীমান্তে চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গরু ব্যবসায়ী হাবিবুব রহমান হাবুর ওপর নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ পায় ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভিতে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় দায়ী আট বিএসএফ জওয়ানকে বিচারের মুখোমুখি করেছে ভারত।

ওই ভিডিওটি তিনি দেখেছেন উল্লেখ করে ড্যান মজিনা বলেন, “ওরা জানে কারা ওই ঘটনায় জড়িত। আশা করি তাদের বিরুদ্ধে তারা [ভারত] ব্যবস্থা নেবে।”

তবে ওইসব ঘটনা কিছু ব্যক্তির কর্মকাণ্ড- এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক একটি ভিন্ন বিষয়- এ মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের সরকার [আমেরিকা] এই দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক চায়।

তিনি বলেন, এ সম্পর্ক দুই দেশেরই নিরাপত্তা ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক কমেছে বলে দাবি করেন।

নয়াদিল্লি সীমান্তে হত্যা বন্ধে বারবার আশ্বাস দিয়ে এলেও সীমান্তে গুলি চলবে- এমন মন্তব্য করে বিএসএফ প্রধান সপ্তাহ খানেক আগেই বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় পড়েন।

স¤প্রতি ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলও বলে, ব্রাসেলসে ফিরে তারা সীমান্তে হত্যার বিষয়টি নিয়ে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলবে।

সীমন্তা হত্যায় দায়ী বিএসএফ সদস্যদের বিচারে ইতিমধ্যে একাধিকার ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক বজায় থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মজিনা। এর আগে বিকেলে নাটোরের উত্তরা গণভবন পরিদর্শন শেষে মজিনা পুঠিয়া রাজবাড়িতে যান। তিনি রাজশাহী অঞ্চলে পাঁচ দিন অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাসের গণমাধ্যম শাখা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএইচপি/এএল/পিডি/০০৩৫ ঘ.

গুলি না করার নির্দেশ মানার চেষ্টা করছে বিএসএফ

Sun, Feb 26th, 2012 9:42 pm BdST

ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) গুলি না করার কড়া নির্দেশ মানার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেছেন, “নির্দেশের পর একশ ৫৩ জন বিএসএফ সদস্য আহত হওয়া এবং এদের এক জনের মারা যাওয়ার খবরে হয়ত আপনি অবাক হবেন না।”

রোববার রাজধানীতে পিকেএসএফ ভবনে ভারত-বাংলাদেশ সংলাপে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক কমার দাবি করেন। তবে বারবার ভারতের প্রতিশ্র“তি সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য বক্তব্যে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন পিনাক চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমার খুবই খুশি এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সঠিক পথে আছে।

“একে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।”

নয়াদিল্লি সীমান্তে হত্যা বন্ধে বারবার আশ্বাস দিয়ে এলেও সীমান্তে গুলি চলবে বলে মন্তব্য করে বিএসএফ প্রধান সপ্তাহ খানেক আগেই বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় পড়েন।

ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বলে, ব্রাসেলসে ফিরে তারা সীমান্তে হত্যার বিষয়টি নিয়ে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলবে।

‘সম্পর্ক বদলাচ্ছে’

গত তিনবছরের সম্পর্ককে ‘ভালো’ অভিহিত করলেও সবকিছু যে ‘অর্জিত’ হয়নি তা স্বীকার করেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, “আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা অর্জিত হয়নি তা নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না।”

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক বলেন, “কিছু পুরনো ঘটনার কারণে কারো হতাশ হওয়া ঠিক হবে না।”

শীর্ষনেতাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ফলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, “আগে কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলেও এখন সম্পর্ক জোরদার করার সদিচ্ছা, সাহস ও দূরদৃষ্টি আছে।”

বিশেষ সচিব পিনাক বলেন, “দুই দেশের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ফলে এটা সম্ভব।”

“এখন আমরা [দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত] চুক্তি বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছি।”

সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ এবং সেন্টার ফর রুরাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ইন ইন্ডিয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/পিডি/২১৩৯ ঘ

Friday, 24 February 2012

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানাবে ইইউ


কূটনৈতিক প্রতিবেদক | তারিখ: ২৪-০২-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) মর্মাহত করেছে। তাই সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরবে ইইউ।

সফররত ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা জিন ল্যামবার্ট গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা খুব স্পষ্ট করেই তুলে ধরলেন ল্যামবার্ট।

ল্যামবার্ট জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত বুধবার সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদলের কথা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই নিকট প্রতিবেশীর চলমান কোনো সমস্যা নিয়ে এই প্রথমবারের মতো সোচ্চার হলো পাশ্চাত্যের কোনো জোট। অবশ্য সম্প্রতি ঢাকা সফরের সময় মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেন। বিষয়টি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কালো ছায়া ফেলেছে কি না, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে বিএসএফের হাতে এক বাংলাদেশি তরুণের নির্যাতনের টিভি প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরে এ সম্পর্কে জানতে চান ব্লেক।

জিন ল্যামবার্ট গতকাল সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার সময় দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বিষয়গুলো উঠে আসে। এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আলোচনা করেছেন।

বিএসএফের হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতনকে কীভাবে দেখেন, এমন প্রশ্ন করা হলে ল্যামবার্ট বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। বাংলাদেশে আসার পর সীমান্ত হত্যা, কাঁটাতারের বেড়া সম্পর্কে যেসব তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা মর্মাহত। সীমান্ত নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতের কাছে তুলে ধরব।’
দুই প্রতিবেশীর দ্বিপক্ষীয় সমস্যার বিষয়টিতে কীভাবে উদ্বেগ জানানো হবে, জানতে চাইলে ল্যামবার্ট এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশ সফর শেষে ব্রাসেলস গিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে, তাতে বিষয়টি থাকবে। এ বিষয়টি ইইউ পার্লামেন্টে তোলা হবে। এ ছাড়া ব্রাসেলসে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ইইউর পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হবে। পরবর্তী ভারত সফরের সময় ইইউ সংসদীয় দল সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা ভারত সরকারকে জানাবে।

ইইউ সংসদীয় দলের নেতা বলেন, ‘মানবাধিকারের প্রেক্ষাপট থেকে সীমান্তের বিষয়টি যদি দেখেন, তবে এটি একটি জঘন্য তৎপরতা। কারণ, কেউ যদি চোরাকারবারি হয়েও থাকে কিংবা কেউ যদি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়, তবুও তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত, ভারতের কাছে বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা।

ল্যামবার্ট বলেন, পানিসম্পদ খাতে সহযোগিতার বিষয়টিও ইইউ আঞ্চলিকভাবে সমাধানের পক্ষপাতী। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা উল্লেখও করেছেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সফরের সময় ইইউর সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনুন: সাহারা


Fri, Feb 24th, 2012 6:35 pm BdST

নয়া দিল্লি, ফেব্রুয়ারি ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক কমেছে বলে দাবি করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।

শুক্রবার নয়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তার এই বক্তব্য শুনে সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

বৈঠকের পর দুই মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশি এক যুবককে নির্যাতনের জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর আট সদস্যের বিচার সামরিক আদালতে হচ্ছে।

বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ সদস্যদের নির্যাতনের ভিডিওচিত্র গত মাসে প্রকাশের পর তা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সমালোচনায় মুখর। ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলও বৃহস্পতিবার জানান, ব্রাসেলসে ফিরে তারা বিষয়টি নিয়ে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাহারা বলেন, “বিএসএফ সদস্যদের শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বলায় এবং সীমান্তে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ায় আমরা ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

একইসঙ্গে সীমান্তে গুলিবর্ষণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গত জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের বিষয়টিই শুক্রবার দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে মূল আলোচ্য ছিল।

সা¤প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনা নিয়ে সাহারা খাতুনের কাছে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন চিদাম্বরম।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চিদাম্বরম বলেন, সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রতি নয়া দিল্লির শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার নির্দেশের পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলির ঘটনা ‘অনেক কমেছে’।

চিদাম্বরাম বলেন, গত আট মাসে এ ধরনের মাত্র তিনটি ঘটনা ঘটেছে-নভেম্বরে একটি এবং ডিসেম্বরে দুটি। এ তিনটি ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

“সীমান্তে যে কোনো ধরনের প্রাণহানির জন্য আমরা দুঃখিত। তবে গত আট মাসে এ তিনটি ঘটনায়ই হামলা থেকে সহকর্মীদের বাঁচাতে গুলি করা ছাড়া বিএসএফ সদস্যদের আর কোনো উপায় ছিল না,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলি চালানোর ঘটনা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাবে নয়া দিল্লি।

গত জুলাইয়ে করা চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির যৌথ টহল শুরু করার জন্য এদিন দুই দেশের সীমান্তের ২৩টি চৌকি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়। ওই চুক্তি হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম বৈঠক।

ভারত-বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর বিএসএফ প্রধান ইউ কে বনসাল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি নাগরিককে নির্যাতনের ভিডিওচিত্রে বিএসএফ’র যে আট সদস্যকে দেখা গেছে তারা বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। এখন সামরিক আদালতে তাদের বিচার হবে।

নয়াদিল্লি সীমান্তে হত্যা বন্ধে বারবার আশ্বাস দিয়ে এলেও সীমান্তে গুলি চলবে বলে মন্তব্য করে বিএসএফ প্রধান সপ্তাহ খানেক আগেই বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় পড়েন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তে (বিশেষত রাতে) বাংলাদেশি নাগরিকদের চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে ঢাকার প্রতি নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়।

সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার নীতি গ্রহণের পর সা¤প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের সীমান্তে অপরাধ এবং বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে বলে বৈঠকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন।

বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড ও অপরাধ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় দ্বিপক্ষীয় দায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয় বলে জানান তারা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএইচ/এমআই/২০২০ ঘ.

Bring BSF firing down to zero: Shahara


Fri, Feb 24th, 2012 5:39 pm BdST

New Delhi Correspondent

New Delhi, Feb 24 (bdnews24.com)— Bangladesh on Friday asked India to bring down to zero the incidents of firing by its Border Security Force personnel along the border even as New Delhi claimed that such cases dramatically declined over the past eight months.

The BSF also recently ordered "court martial" proceedings against eight of its personnel after the release of a video with footages of a Bangladeshi citizen being stripped, kicked and beaten by them along the border in Murshidabad district of West Bengal.

"We thank Indian government for asking its BSF personnel to exercise restraint and for taking punitive actions against the personnel involved in incidents of torture on people along the border," home minister Sahara Khatun told journalists after a meeting with her Indian counterpart P Chidambaram in New Delhi.

Shahara appreciated the decline in the number of firing by the BSF personnel along the border but stressed on the need to bring down the number of such cases to zero. She also called on Indian prime minister Manmohan Singh.

Border management and effective implementation of Coordinated Border Management Plan (CBMP) signed by the two countries in July 2011 topped the agenda of the parleys between the home ministers on Friday.

The Indian home minister handed Shahara a dossier on the incidents of firing by the BSF in the recent months.

Addressing a joint press conference with Shahara, Chidambaram said Bangladesh-India border witnessed a 'dramatic decline' in the incidents of firing by BSF after New Delhi asked the border guards to exercise restraint.

He said that only three incidents had been reported over the past eight months, one in November and two in December and these resulted in the death of four people.

"We do regret all deaths on the border, but in all the three incidents over the past eight months, the BSF personnel had no other option but to open fire to save their colleagues after they had been attacked," he said.

Chidambaram said that New Delhi would continue to make efforts to reduce the incidents of firing.

New Delhi and Dhaka on Friday short-listed 23 vulnerable border out posts for start of joint patrol by the BSF and Border Guard Bangladesh in accordance with the CBMP, signed last July.

This was the second meeting between Chidambaram and Shahara after they had met in Dhaka in July last year.

BSF chief U K Bansal told journalists after the talks that the eight personnel of the paramilitary force, who were seen recently in a video footage torturing a man on the border, were found prima facie "guilty" by a staff court of inquiry and now a court martial would be conducted to record evidences, to give them opportunities to defend themselves and decide the level of punishments.

According to the sources in the India's ministry of home affairs, Chidambaram also conveyed to Shahara that New Delhi's policy of restraint had 'emboldened' criminal elements, who had stepped up their attacks on the BSF personnel deployed along the border. A number of attacks had been recorded on BSF personnel and posts along the India-Bangladesh border over the last few months, the sources added.

New Delhi stressed that the CBMP had envisaged joint responsibility of both the BSF and BGB to synergise their efforts to ensure effective control over cross-border illegal activities and crimes as well as for the maintenance of peace and harmony along the border.

Chidambaram is understood to have told Shahara that illegal activities, which sometimes led to 'regrettable loss of lives on both sides along the border', needed to be addressed through joint collaborative efforts and mechanisms.

New Delhi had urged Dhaka to take measures to restrict the movement of people along the border, especially during night hours, the sources said.

According to a report released by a leading human rights organisation Odhikar in Dhaka on Jan 18, the BSF killed 31 Bangladeshi nationals only in 2011. The human rights organisation in the fact-finding report also said that BSF had breached the border agreement between Bangladesh and India by killing innocent girl Felani Khatun.

The BSF on Jan 7 last year shot dead 15-year old Felani after she got entangled in barbed-wire fence in the Phulbari border in Kurigram.

Recently, a young man from Chapainawabganj was tortured by the Indian border guards along Rajshahi border. The BSF personnel beat him mercilessly after he allegedly refused to bribe them. The Indian government faced severe criticism after the video of the torture was released by some Indian TV stations and on the internet.

Later, New York-based Human Rights Watch (HRW) in a report demanded trial of the responsible BSF members involved in torturing and killing of Bangladeshi citizens along the border region. "It will be proven now whether law enforcers in India have risen above law," the report said.

Back in December 2001, HRW published a report titled 'Trigger Happy: Excessive Use of Force by Indian Troops at the Bangladesh Border'.

Faced with criticism from all quarters, the Indian government at that time had said BSF will be provided with 'non-lethal' weapons to avert bloodshed. Though, killing incidents were at a wane following the announcement, incidents of torture kept taking place.

Chairman of the Bangladesh Human Rights Commission Mizanur Rahman on Feb 8 this year threatened to take the issue of killings and torture of Bangladeshi nationals by BSF to the United Nations unless the rights body of the next-door neighbour initiates steps against it.

Mizanur had said that a letter has been sent to the Indian Human Rights Commission seeking its intervention in the matter.

Earlier on Feb 7, BSF chief Bansal had told the BBC in an interview that firing can never be completely stopped as long as illegal activities continue along the border.

bdnews24.com/corr/bd/1700h

Wednesday, 15 February 2012

সীমান্তে নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যু


দিনাজপুর অফিস ও হাকিমপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ১৫-০২-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে মিজানুর রহমান (২৮) নামের এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মিজানুরের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে। তিনি রিকশা চালানোর পাশাপাশি ভারত থেকে গরু আনার কাজ করতেন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মিজানুরের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মো. খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিজানুরের ডান চোখ ছিল না। ডান চোয়াল, কান, দাঁতের মাড়ি ছিল মারাত্মকভাবে থেঁতলানো। চোয়ালের গভীর ক্ষত দিয়ে মাথার মগজ বেরিয়ে এসেছে।’

মিজানুরের কয়েকজন সঙ্গী ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে মিজানুরসহ আট-দশজন হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকেন। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতের হিলি থানার আগ্রা মাহালি পাড়ার কাছে (সীমান্ত থেকে প্রায় এক হাজার গজ দূরত্ব) পৌঁছালে আগ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা মিজানুরকে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়।

মিজানুরের সঙ্গীরা বলেন, গতকাল ভোরে তাঁরা আবার ভারতের ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন, মিজানুর গুরুতর আহত। তাঁরা মিজানুরকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন। সঙ্গীদের অভিযোগ, নির্মম নির্যাতন করার পর বিএসএফের সদস্যরা মিজানুরকে সীমান্তের কাছে ফেলে রাখেন।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মিজানুরের লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ওই সময় তাঁর ডান চোখটি উপড়ানো এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ওসি বলেন, স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বিএসএফ সদস্যরা মিজানুরকে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করেন। নিহত মিজানুরের স্ত্রী ইসমত আরা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী রিকশা চালানোর পাশাপাশি ভারত থেকে গরু আনার কাজ করতেন। গত সোমবার দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। স্বামীর সঙ্গীদের কাছে খবর পেয়ে গতকাল সকালে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফুলবাড়ী ৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েফ উল হক বলেন, ঘটনাটি জয়পুরহাট জেলার বিজিবি-৩ ব্যাটালিয়নের সীমানায় ঘটেছে।
বিজিবি-৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএসএফের নির্যাতনে একজনের মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

চার ঘণ্টা পর ফেরত: নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জানান, গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর সীমান্তে ঘাস কাটতে যায় গ্রামের আবদুর রকিবের ছেলে বাবু (১১)। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যান।

বিজিবি শিংনগর ক্যাম্প কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাবুকে ফেরত চেয়ে বিএসএফের কাছে চিঠি পাঠায় বিজিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেলা দুইটার দিকে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বেলা তিনটার পর বাবুকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

Sunday, 12 February 2012

এবার বিএসএফের নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি নারী


তারিখ: ১২-০২-২০১২

 এবার বাংলাদেশি এক নারীকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাঁকে মৃত ভেবে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় ফেলে যায়। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর ইউএনবির।

নির্যাতনের শিকার ওই নারীর নাম হালিমা বেগম (৩৫)। তিনি মৃত মোশাররফের স্ত্রী। বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দাবদিয়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালিমা গতকাল বিকেলে বেনাপোল তল্লাশিচৌকির কাছে বাংলাদেশ-ভারতের রেলপথে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তাঁকে ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে তাঁকে মৃত মনে করে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের অংশে পেট্রাপোল এলাকায় ফেলে যায়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বেনাপোল তল্লাশিচৌকির কমান্ডার ফজলুল হক বলেন, স্থানীয় লোকজন হালিমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাঁকে বেনাপোলের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

Thursday, 9 February 2012

বিএসএফের গুলিতে সাতক্ষীরায় দুই বাংলাদেশি আহত


সাতক্ষীরা, ফেব্রুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

সীমান্তে গুলি একেবারে বন্ধ করা যাবে না- বিএসএফ প্রধানের এমন বক্তব্যের দুই দিনের মাথায় সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

বর্ডার গার্ড ৩৮ ব্যাটেলিয়ন (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু বাসির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্তের সোনাই নদীর পাড়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই দুই বাংলাদেশি।”

আহতরা হলেন- ইয়াকুব আলী (২৫) এবং আবদুল হামিদ (৩০)। ইয়াকুব কলারোয়ার কেড়াগাছি গ্রামের দাউদ সরকারের ছেলে এবং হামিদ যশোরের শার্শা থানার কায়বা গ্রামের করিম সর্দারের ছেলে। তারা দুজনই রাখাল।

বিজিবির আবু বাসির জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের তারালি ক্যাম্পের সদস্যরা পর পর চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সীমান্তের সোনাই নদীর পাড়ে (মেইন পিলার ১৩, সাব পিলার ৩-এর রিভার পিলার ৪ এর কাছে) বসে থাকা দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবির পক্ষ থেকে গুলির ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তের কালিয়ানি এলাকায় এ ব্যাপারে বিজিবি ও বিএএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালে গত বছর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সীমান্তে রক্তক্ষয় বন্ধে প্রাণঘাতী নয়-এমন অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে বিএসএফকে।

তবে বিএসএফ প্রধান ইউ কে বনসাল মঙ্গলবার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “গুলি চালানো পুরোপুরি বন্ধ করা কখনোই সম্ভব না। যতক্ষণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ চলতে থাকবে, ততোক্ষণ বিএসএফকে তা আটকাতেই হবে। সেটাই এই বাহিনীর দায়িত্ব।”

এর একদিন পরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্তে বিএসএফ নিরীহ বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ না করলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নালিশ করবেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/জেকে/১৩০৬ ঘ. 

এবার বাংলাদেশি কিশোর নির্যাতনে বিএসএফ

জেলা সংবাদদাতা
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেণীপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি ছয় কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।

এদের মধ্যে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হাবিবুর রহমান ওরফে হারান কৌশলে পালিয়ে এলেও বাকি কিশোররা এখনও বিএসএফের কাছে বন্দি।

হারানকে মুমূর্ষু অবস্থায় যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুসুমপুর ক্যাম্প বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কমান্ডার রেজাউল করীম বাংলানিউজকে জানান, জেলার জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম (১৭), আশাদুল ইসলামের ছেলে সুমন (১৬), আবুল কালামের ছেলে লাল্টু (১৫), রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৬), মুছাবারির ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হারান এবং ধান্যখোলা গ্রামের মল্লিক মণ্ডলের ছেলে ইছাহক আলী সোমবার রাতে উপজেলার বেণীপুর সীমান্ত দিয়ে গরু আনার জন্য ভারতে অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় বিএসএফ নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে সীমান্ত থেকে জোরপূর্বক ধরে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে।

এদের মধ্যে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হাবিবুর রহমান ওরফে হারান বুধবার সন্ধ্যায় কৌশলে পালিয়ে এলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএসএফের হাতে আটক বাকি পাঁচজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। রেজাউল করীম আরও জানান, ওই পাঁচজনকে ভারতের মোনাগঞ্জ ক্যাম্প বিএসএফ আটক করে কোর্টে চালান দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

৩৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সুলতান আহম্মেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বিএসএফ তাদের ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

জীবননগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি.জি. বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, তিনি এ ধরনের কোনো সংবাদ পাননি।

বাংলাদেশ সময় : ০৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১২

সীমান্তে গুলি চলবে


নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৯-০২-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রধান ইউ কে বনশল বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো বন্ধ হবে না। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে গুলি চালানো পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। যতক্ষণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ হতে থাকবে, ততক্ষণ সেই অপরাধ আটকাতেই হবে বিএসএফকে। সেটাই এই বাহিনীর দায়িত্ব’।

তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত সে দেশের দেওয়া প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির পক্ষ থেকে আগামী বৈঠকে এর প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানা গেছে।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত রয়েছে, সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড হবে না, কেউ গুলি ছুড়বে না। কিন্তু ভারত সে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে গুলি ছুড়ছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ কখনো এমন কাজ করবে না বলেও তিনি জানান।

বিএসএফের প্রধান ইউ কে বনশল গত মঙ্গলবার বিবিসিকে সীমান্তে গুলি বন্ধ হবে না সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারটি দেন। বিএসএফের প্রধানের এ মন্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবির মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা তাঁদের বলেছি, কেউ সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে প্রবেশ করলে তাকে আটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে। তাকে যেন হত্যা করা না হয়। আর যদি গুলি ছোড়ার প্রয়োজনই হয়, তা হলে এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের প্রাণহানি না হয়।’

বিএসএফের প্রধান সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি বাহিনী যদি তাদের নিজেদের দিকে পাহারা কড়া করে, বিশেষত রাতে সীমান্তে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বলবৎ করতে পারে, তাহলে অপরাধীরা আর ভারতের দিকে আসতেই পারবে না, আর বিএসএফকেও গুলি চালাতে হবে না।’

বিজিবির মহাপরিচালক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা সীমান্তবাসীকে অনুরোধ করব, তারা যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করে।’ তবে আগের চেয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার ঘটনা বর্তমানে কমে গেছে বলেও তিনি জানান।

বিজিবি সূত্র জানায়, গত বছর দেশের সীমান্তে বিভিন্ন ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ২১ জন, সে দেশের পুলিশের হাতে একজন, ভারতীয় নাগরিকদের হাতে ১০ জন এবং সীমান্তের ওপারের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের আটজন জওয়ান বাংলাদেশি একজন গরু ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে অমানুষিক নির্যাতন করছে—এ রকম একটি ভিডিও সে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এ ছাড়া গত বছর ১৪ বছরের বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী বিএসএফের গুলিতে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর নিহত হয়। তার লাশ কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে চার স্তরে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বিএসএফের এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।

তবে বিবিসির সাক্ষাৎকারে বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত এক বছরে গরু পাচারকারীসহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত এলাকাতেই বিএসএফের ওপর ৫২ বার আক্রমণ চালিয়েছে।

রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বিজিবি ৩৭ ব্যাটালিয়ন। গতকাল বুধবার সকালে নগরের মাজাড়দিয়াড় বিওপি ক্যাম্পে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার সারোয়ার মোল্লা জানান, এখন থেকে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আর অবৈধভাবে রাজশাহীর কোনো সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। কেউ সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে তাকে চোরাকারবারি হিসেবে আটক করা হবে। এতে সীমান্ত এলাকার ২০ জন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বেগ: বিএসএফের মহাপরিচালকের এ ধরনের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশ যখন গুলি চালানো বন্ধের চেষ্টায় লিপ্ত, তখন এ ধরনের মন্তব্য পুরো প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে।

Saturday, 4 February 2012

বিএসএফের নির্যাতনে যুবক নিহতের অভিযোগ

বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | তারিখ: ০৪-০২-২০১২


দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে একজন বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বিএসএফ তা অস্বীকার করেছে।

সাইফুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার শ্রীরামপুর গ্রামের দারোগা নামের একজন ব্যক্তি মুঠোফোনে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর ভাইয়ের নিহত হওয়ার খবরটি জানান। দারোগা আরও জানান, তিনিসহ আরও অনেকেই বিএসএফের রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে সাইফুলকে হত্যার দৃশ্য দেখেছেন।

সাইফুল বিরামপুর উপজেলার ৬ নম্বর জোতবানী ইউনিয়নের চতুরপুর গ্রামের মো. নবীতুল্লাহ্ মণ্ডলের চতুর্থ ছেলে। তিনি একজন কৃষক।

সাইফুলের ছোট ভাই বাবু জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। সাইফুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২০) বলেন, সাত মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

সাইফুলের দুজন নিকটাত্মীয় জানান, সাইফুল ১০ জনের একটি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতে গরু কিনতে যান। ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্তের কাছে বিএসএফের একটি গ্রুপ দলটিকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে সবাই দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সাইফুল তাঁদের হাতে ধরা পড়েন।

বিজিবি ভাইগড় ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রজব আলী জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর শুনে পতাকা বৈঠকের জন্য তিনি ভারতের ২৮ ব্যাটালিয়নের ভীমপুর কোম্পানি কমান্ডারকে চিঠি দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বেলা একটায় ২৯১ মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ সময় বিএসএফের কমান্ডার এস কে সিং জানান, বিএসএফ কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করেনি। তবে সকালে ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে লালপুরের একটি ফসলের মাঠে একজনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি দেখতে যান। পরে লাশ ভারতের হিলি থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বলে কমান্ডার সিং তাঁকে অবগত করেন।
বিজিবি ৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর তারেক ইফতেখার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কমান্ডার এস কে সিং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, আজ শনিবার পতাকা বৈঠকে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা জানাবেন।

জোতবানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন, বিএসএফ দোষ এড়াতে লাশ দূরে ফেলে রেখে আসে। এটা তাদের কৌশল।