Sunday 26 February 2012

গুলি না করার নির্দেশ মানার চেষ্টা করছে বিএসএফ

Sun, Feb 26th, 2012 9:42 pm BdST

ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) গুলি না করার কড়া নির্দেশ মানার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেছেন, “নির্দেশের পর একশ ৫৩ জন বিএসএফ সদস্য আহত হওয়া এবং এদের এক জনের মারা যাওয়ার খবরে হয়ত আপনি অবাক হবেন না।”

রোববার রাজধানীতে পিকেএসএফ ভবনে ভারত-বাংলাদেশ সংলাপে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক কমার দাবি করেন। তবে বারবার ভারতের প্রতিশ্র“তি সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য বক্তব্যে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন পিনাক চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমার খুবই খুশি এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সঠিক পথে আছে।

“একে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।”

নয়াদিল্লি সীমান্তে হত্যা বন্ধে বারবার আশ্বাস দিয়ে এলেও সীমান্তে গুলি চলবে বলে মন্তব্য করে বিএসএফ প্রধান সপ্তাহ খানেক আগেই বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় পড়েন।

ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বলে, ব্রাসেলসে ফিরে তারা সীমান্তে হত্যার বিষয়টি নিয়ে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলবে।

‘সম্পর্ক বদলাচ্ছে’

গত তিনবছরের সম্পর্ককে ‘ভালো’ অভিহিত করলেও সবকিছু যে ‘অর্জিত’ হয়নি তা স্বীকার করেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, “আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা অর্জিত হয়নি তা নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না।”

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক বলেন, “কিছু পুরনো ঘটনার কারণে কারো হতাশ হওয়া ঠিক হবে না।”

শীর্ষনেতাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ফলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, “আগে কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলেও এখন সম্পর্ক জোরদার করার সদিচ্ছা, সাহস ও দূরদৃষ্টি আছে।”

বিশেষ সচিব পিনাক বলেন, “দুই দেশের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ফলে এটা সম্ভব।”

“এখন আমরা [দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত] চুক্তি বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছি।”

সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ এবং সেন্টার ফর রুরাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ইন ইন্ডিয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/পিডি/২১৩৯ ঘ

No comments:

Post a Comment