বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | তারিখ: ০৪-০২-২০১২
দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে একজন বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বিএসএফ তা অস্বীকার করেছে।
সাইফুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার শ্রীরামপুর গ্রামের দারোগা নামের একজন ব্যক্তি মুঠোফোনে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর ভাইয়ের নিহত হওয়ার খবরটি জানান। দারোগা আরও জানান, তিনিসহ আরও অনেকেই বিএসএফের রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে সাইফুলকে হত্যার দৃশ্য দেখেছেন।
সাইফুল বিরামপুর উপজেলার ৬ নম্বর জোতবানী ইউনিয়নের চতুরপুর গ্রামের মো. নবীতুল্লাহ্ মণ্ডলের চতুর্থ ছেলে। তিনি একজন কৃষক।
সাইফুলের ছোট ভাই বাবু জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। সাইফুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২০) বলেন, সাত মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সাইফুলের দুজন নিকটাত্মীয় জানান, সাইফুল ১০ জনের একটি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতে গরু কিনতে যান। ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্তের কাছে বিএসএফের একটি গ্রুপ দলটিকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে সবাই দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সাইফুল তাঁদের হাতে ধরা পড়েন।
বিজিবি ভাইগড় ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রজব আলী জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর শুনে পতাকা বৈঠকের জন্য তিনি ভারতের ২৮ ব্যাটালিয়নের ভীমপুর কোম্পানি কমান্ডারকে চিঠি দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বেলা একটায় ২৯১ মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ সময় বিএসএফের কমান্ডার এস কে সিং জানান, বিএসএফ কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করেনি। তবে সকালে ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে লালপুরের একটি ফসলের মাঠে একজনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি দেখতে যান। পরে লাশ ভারতের হিলি থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বলে কমান্ডার সিং তাঁকে অবগত করেন।
বিজিবি ৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর তারেক ইফতেখার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কমান্ডার এস কে সিং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, আজ শনিবার পতাকা বৈঠকে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা জানাবেন।
জোতবানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন, বিএসএফ দোষ এড়াতে লাশ দূরে ফেলে রেখে আসে। এটা তাদের কৌশল।
দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে একজন বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বিএসএফ তা অস্বীকার করেছে।
সাইফুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার শ্রীরামপুর গ্রামের দারোগা নামের একজন ব্যক্তি মুঠোফোনে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর ভাইয়ের নিহত হওয়ার খবরটি জানান। দারোগা আরও জানান, তিনিসহ আরও অনেকেই বিএসএফের রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে সাইফুলকে হত্যার দৃশ্য দেখেছেন।
সাইফুল বিরামপুর উপজেলার ৬ নম্বর জোতবানী ইউনিয়নের চতুরপুর গ্রামের মো. নবীতুল্লাহ্ মণ্ডলের চতুর্থ ছেলে। তিনি একজন কৃষক।
সাইফুলের ছোট ভাই বাবু জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। সাইফুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২০) বলেন, সাত মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সাইফুলের দুজন নিকটাত্মীয় জানান, সাইফুল ১০ জনের একটি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতে গরু কিনতে যান। ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্তের কাছে বিএসএফের একটি গ্রুপ দলটিকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে সবাই দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সাইফুল তাঁদের হাতে ধরা পড়েন।
বিজিবি ভাইগড় ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রজব আলী জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর শুনে পতাকা বৈঠকের জন্য তিনি ভারতের ২৮ ব্যাটালিয়নের ভীমপুর কোম্পানি কমান্ডারকে চিঠি দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বেলা একটায় ২৯১ মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ সময় বিএসএফের কমান্ডার এস কে সিং জানান, বিএসএফ কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করেনি। তবে সকালে ভারতের শ্রীরামপুর সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে লালপুরের একটি ফসলের মাঠে একজনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি দেখতে যান। পরে লাশ ভারতের হিলি থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বলে কমান্ডার সিং তাঁকে অবগত করেন।
বিজিবি ৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর তারেক ইফতেখার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কমান্ডার এস কে সিং তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, আজ শনিবার পতাকা বৈঠকে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা জানাবেন।
জোতবানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন, বিএসএফ দোষ এড়াতে লাশ দূরে ফেলে রেখে আসে। এটা তাদের কৌশল।
No comments:
Post a Comment