Saturday, 29 December 2012

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


Sat, Dec 29th, 2012 11:19 am BdST

ঝিনাইদহ, ডিসেম্বর ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

কানাইডাঙ্গা সীমান্তে শুক্রবার ভোররাতে নিহত এই ব্যক্তির নাম আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি মহেশপুরের তেঁতুলতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

বিজিবির যশোর ২৬ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর ওয়াহিদ সাংবাদিকদের বলেন, একদল বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী সীমান্ত ডিঙিয়ে ভারতে গরু আনতে যায়। ৫০ নম্বর মেইন পিলারের অধীন ২ নম্বর সাব পিলারের কাছে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে তার সঙ্গীরা কানাইডাঙ্গা নিয়ে আসে। তবে ততক্ষণে তিনি মারা গেছেন।

মহেশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে ঢাকার পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও নয়া দিল্লির প্রতিশ্রুতি মিললেও তা বন্ধ হয়নি।

সীমান্তে নিহত বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ গরু ব্যবসায়ী, যারা গরু আনতে ভারতে গিয়ে বিএসএফের গুলির শিকার হন।

বিএসএফের প্রধান ইউ কে বানসাল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গরু বাণিজ্য বৈধ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমআই/১১১৬ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=214937 

Wednesday, 12 December 2012

বাঘা-চারঘাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশি নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের নির্যাতনে বাবর আলী (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি কৃষক মারা গেছেন।

নিহত বাবর নাটোরের লালপুর উপজেলার নতুন পাড়া এলাকার হারান আলীল ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাঘা-চারঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে আত্মীয়ের বাড়ি যান। সেখানে থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পথে ভারতের রানীনগর সীমান্তের বাবনাবাজ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে তাড়া করলে বাবর পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন। এসময় বিএসএফ সদস্যরা স্পিড বোট নিয়ে তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে স্পিড বোট দিয়েই তাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানীনগরের একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চারঘাটের ইউসুফপুর বিওপির সুবেদার হোসেন আলী জানান, বিষয়টি জানতে পেরে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল নাগাদ লাশ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১২
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=1f86f3a5cfb4cb246b5e2b059bf7d6f2&nttl=20121212124946157754 

Sunday, 25 November 2012

বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল বিএসএফ



পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ২৫-১১-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আজ রোববার ভোররাতে আবদুল লতিফ (৩৫) নামের এক বাংলাদেশিকে লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে হত্যা করে। হত্যার পর বিএসএফ লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

এরপর লালমনিরহাট ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী ক্যাম্পের কমান্ডার জাবিবুল ইসলাম বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চাওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে আবদুল লতিফের লাশ ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় বিএসএফের পক্ষে ডোরাডাবরী ক্যাম্পের প্রশিক্ষক (ইন্সট্রাক্টর) কুন্দল কুমার ও বিজিবির পক্ষে বিজিবি কমান্ডার জাবিবুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এরপর আবদুল লতিফের লাশ তাঁর ভাই রশিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আবদুল লতিফ পাটগ্রাম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেংকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। 

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-25/news/308478 

Wednesday, 17 October 2012

BSF kills one in Jhenidah

5 also hurt
Indian Border Security Force (BSF) shot dead a Bangladeshi cattle trader and injured five others along Maheshpur frontier in Jhenidah on Tuesday night.
The dead was identified as Md Rabiul Islam, 35, of Mathpara village in the upazila.
The identities of the injured could not be known immediately, reports our Jhenidah correspondent.
Subedar Ameer Khashru, company commander of Kushumpur camp of Border Guard Bangladesh (BGB), said the BSF troops opened fires on a group of 10 to 12 cattle traders when they were returning with a consignment of cattle along Chapatala border in the upazila.
Rabiul died on the spot while five of his companions sustained injuries, he added.

http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=41739

সীমান্তে আবারো বাংলাদেশি হত্যা

Wed, Oct 17th, 2012 12:53 pm BdST

ঝিনাইদহ, অক্টোবর ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব সীমান্তে গুলি চালানোর পক্ষে যুক্তি দেয়ার এক দিনের মাথায় ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো পাঁচজন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) শ্রীনাথপুর ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোর্শেদ আলী জানান, বুধবার সকালে মহেশপুরের শ্রীনাথপুর সীমান্তে ভারতের মোবারকপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল ইসলাম (৩৫) মহেশপুর সীমান্তবর্তী শ্যামকুড় গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন- শ্যামকুড় মাঠপাড়া গ্রামের রাজু, পদ্মপুকুর গ্রামের মহর আলী, লড়াইঘাটা গ্রামের ইমরান, শ্রীনাথপুর গ্রামের আব্দুল ও শঙ্কর।

বিজিবির মোর্শেদ আলী জানান, ওই ছয়জন ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের শ্রীনাথপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে ফতেপুর ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রবিউল। তার পাঁচ সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হন।

রবিউলের লাশ সীমান্তের ভারতীয় অংশেই রয়েছে বলে মোর্শেদ আলী জানান।

মহেশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত রাজু ও মহর আলীকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মধ্যে গত বছর ভারত সরকার জানায়, তারা বিএসএফের হাতে প্রাণঘাতী নয়- এমন অস্ত্র দেবে। এরপর গুলির ঘটনা কিছুটা কমে এলেও গত কয়েক মাসে তা আবার বেড়ে যায়।

স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের তিন দিনের সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসে ভারতের সচিব আর কে সিং গত সোমবার বলেন, “বিএসএফ সদস্যরা আক্রান্ত হয় বলেই গুলি চালায়।”

আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় আর কে সিং সাংবাদিকদের আরো বলেন, “যাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় তারা গরু চোরাকারবারী।”

ঢাকার মানবাধিকার সংগঠন নাগরিক আন্দোলনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে বিএসএফে হাতে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে বিএসএফের গুলিতে আহত হয় হয় ৯৮৭ জন, অপহৃত হয় অন্তত এক হাজার মানুষ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমডি/জেকে/১২৪০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=208179&hb=2

Saturday, 13 October 2012

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


Sat, Oct 13th, 2012 1:35 pm BdST

ঠাকুরগাঁও, অক্টোবর ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

শনিবার ভোরে মন্ডুমালা সীমান্তে ৩৮৩/১ এস পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
নিহত আব্দুল খালেক চোখা (৩০) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতœাই মারাধার গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

৩০ বিজিবির অধিনায়ক তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, খালেক মন্ডুমালা সীমান্তে ৩৮৩/১ এস পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে ১৪ সোনামতি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

“এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।”

খালেকের লাশ ভারতের ভেতরেই পড়ে আছে জানিয়ে বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের কাছে একটি চিঠি এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যার আগেই লাশ ফেরত পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমডি/এমএইচপি/১৩৩০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=207691&cid=2 

Tuesday, 9 October 2012

BSF kills Bangladeshi teenager

A teenage Bangladeshi boy was shot dead by Indian Border Security Force (BSF) at Char Majhardiar border in
the district early
yesterday.
The deceased was identified as Sujon Ali,16, son of Shukur Ali of the village under Haripur union of Poba upazila.
BSF members shot Sujon in the head, killing him on the spot, while he was accompanying several cattle traders to Bangladesh around 12:30am, said Zillur Rahman, officer-in-charge of Rajpara Police Station quoting Border Guard Bangladesh (BGB) officials.
The victim's relatives had buried the body soon after his death to avoid legal hassles but BGB members dug it out around noon, Maj Hannan, general staff officer of Rajshahi sector BGB told The Daily Star.
"The body is on its way to Rajshahi Medical College Hospital morgue for an autopsy," he said.
The incident has been reported to the ministries of home and foreign affairs, BGB officials said.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=253067

Monday, 8 October 2012

3 injured in BSF firing

Indian Border Security Force (BSF) shot and injured three Bangladeshi nationals near Chakpara border of Shibganj upazila in Chapainawabganj yesterday.
The injured are -- Setabul Islam, 45, and Abu Sayem, 30, -- sons of late Elias Uddin, and Saidur Rahman, 32, son of Farzen Ali. They live in Unishbighi village under Shahbajpur union.
Lt Col Monjurul Alam, commanding officer of 9 Border Guard Battalion (BGB), said the BSF team of Nawda camp under 125 Maldah opened fire on the three around 7:00am when they were entering Indian territory through the Chakpara border.
Locals rushed Sayem to Rajshahi Medical College Hospital in a critical condition and Saidur to Shibganj Health Complex. Setabul was admitted to a local clinic.
The BGB verbally protested the incident at a company commander-level meeting held at zero line of Chakpara frontier around 8:00am. Later, the BGB also sent a protest letter to its Indian counterpart.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=252928

রাজশাহী সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


Mon, Oct 8th, 2012 7:29 pm BdST

রাজশাহী, অক্টোবর ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজশাহীর চর মাঝারদিয়াড় এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার রাতে চরমাঝারদিয়ার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে সুজন আহমেদ নিহত হন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

চরমাঝারদিয়ার পশ্চিমপাড়ার মাসুম আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১২টার সুজন আহমেদসহ কয়েকজন বাংলাদেশি যুবক ভারতীয় মালামাল আনতে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান।

এ সময় চোরাচালানের টাকাপয়সা নিয়ে বিএসএফ’র সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র গুলিতে সুজন নিহত হন। অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

পবা থানার ওসি রমজান আলী বলেন, সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/১৯২০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=207261&cid=2&aoth=1

Sunday, 7 October 2012

বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত


নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ০৭-১০-২০১২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চাকপাড়া সীমান্তে আজ রোববার সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন: একই উপজেলার উনিশবিঘী গ্রামের সেতাবুল ইসলাম (৪৫), আবু সায়েম (৩০) ও সাইদুর রহমান (৩২)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আলম জানান, সকাল সাতটার দিকে ওই তিনজন সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের মালদা জেলার নওদা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ফিরে যেতে বললে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিএসএফ গুলি করলে তাঁরা আহত হন।

মঞ্জুরুল আলম আরও জানান, গুলির ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর একই উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম এনামুল ইসলাম (২২)। তিনি একই উপজেলার শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। 

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-07/news/295934

Tuesday, 2 October 2012

শিবগঞ্জে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নিহত



নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ০২-১০-২০১২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 
নিহত এনামুল ইসলাম (২২) একই উপজেলার শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল আলম ইউএনবিকে জানান, এনামুল ও তাঁর সঙ্গীরা ভোর পৌনে চারটার দিকে ভারত থেকে গরু নিয়ে দেশে ফেরার জন্য সীমান্তসংলগ্ন পদ্মা নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় বিএসএফের নিমতলা ক্যাম্পের সদস্যরা কয়েকটি স্পিডবোটে করে এসে তাঁদের ওপর লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে এনামুল ঘটনাস্থলেই নিহত এবং চারজন আহত হন। 

পরে স্থানীয় লোকজন এনামুলের লাশ উদ্ধার করে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইমাম হোসেন (১৮) ও মাহতাবকে (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

Monday, 3 September 2012

BSF kills 1 in Lalmonirhat



Indian Border Security Force (BSF) shot dead a Bangladeshi cattle trader along Burimari border in Patgram upazila of Lalmonirhat on Saturday.
The victim was identified as Babul Hossain, 31, of Islampur village in the upazila.
Helal Uddin, camp commander of Border Guard Bangladesh (BGB) 31 Battalion, said a BSF patrol team of Changrabandha camp of Cooch Behar opened fire on Babul around 9:20pm when he went there to receive cattle smuggled in from India.
The BSF later took the body, he added.
The BGB in a letter to the BSF demanded the return of the body. The BSF said it would hand over the body after an autopsy, said BGB officials. 

Sunday, 2 September 2012

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ০১-০৯-২০১২

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তে গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাজিরুল (২৭) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। হাজিরুলে বাড়ি একই উপজেলার দক্ষিণ দোয়ারী সমিরনগর গ্রামে। 
ঠাকুরগাঁও ৩০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত তিনটার দিকে হাজিরুল নগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬ মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলার পার হওয়ার সময় বিএসএফের ১৪ ব্যাটালিয়নের তিনগাঁও ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। 

বিজিবি কর্মকর্তা তৌহিদ জানান, সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার ঘটনার তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সকাল নয়টায় নাগরভিটা সীমান্তের জিরো লাইনে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।

নাগরভিটা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার বরকত আলী জানান, পতাকা বৈঠক শেষে ঘটনা তদন্তে হাজিরুলের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-01/news/285689


One shot dead by BSF



Indian Border Security Force shot dead a Bangladeshi national on the Baliadangi upazila frontier early yesterday.
The victim, Hazirul Islam, 27, hailed from Dakhshin Duari Samirnagar village, said local officials of Border Guard Bangladesh.
BSF members of West Bengal's Tingaon camp shot Hazirul when he neared the border around 3:00am, leaving him dead on the spot, BGB sources said.
Two or three bottles of Phensedyl, a cough syrup banned in Bangladesh for its widespread abuse, were found near his body, said Lt Col Touhidul Islam, commanding officer of BGB 30 Battalion.
BSF members then took the body to their territory immediately, said Touhidul, adding that BGB protested the killing in a letter to BSF.
Afterwards, a meeting was held between the two forces in a bordering area where Bangladeshi border troops asked BSF to return the body, said Subedar Barkat Ali, company commander of BGB's Nagarvita outpost.
Later at 6:30pm, BSF returned the body to BGB at a company commander level meeting. The body has been handed over to his family. 

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

Sun, Sep 2nd, 2012 9:16 pm BdST

লালমনিরহাট, সেপ্টেম্বর ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

শনিবার রাতে সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ২/৩ নম্বর সাব-পিলারের মাঝামাঝি ধরলা নদীর পাশে ‘গরু ব্যবসায়ী’ বাবুল হোসেন (৩৩) নিহত হন বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বাবুল শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙারবাড়ী (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার প্রয়াত জসিমুদ্দিনের ছেলে।

হত্যার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। রোববার রাতে বিজিবির মাধ্যমে লাশটি ফেরত দিয়েছে।

এর আগে শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তে বিএসএফ মো. আজিরুল (৩০) নামে এক বাংলাদেশিকেও গুলি করে হত্যা করে।

সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ভারতের সমালোচনায় মুখর।

লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএসএফ কুচবিহার-১০৪ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের একটি টহল দল গুলি চালিয়ে হত্যার পর বাবুলের লাশ নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, রোববার দুপুরে বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্মকর্তারা বাবুল হোসেন নিহত হয়েছেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল ও ভারতের পক্ষে কুচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানি কমান্ডার বীর পাল সিংহ নেতৃত্ব দেন।

বাবুলের সঙ্গী সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাবুলসহ ২২ বাংলাদেশি গরু আনার জন্য কুচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে যান।

তিনি জানান, বাবুলসহ কয়েকজন নদী পার হয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেন। এ সময় চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দল বাবুলকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে আসেন।

বাবুলের ছোট ভাই হোসেন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরু আনতে সীমান্তে যান বাবুল। রাত সাড়ে ১০টায় গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। কিছুক্ষণ পর বাবুলের সঙ্গী সাইফুল এসে বাবুল নিহত হওয়ার কথা জানান।

রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে বাবুলের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাঁন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ময়না তদন্ত শেষে পাটগ্রাম থানার এসআই রমজান আলীর কাছে ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার এসআই রনজিৎ কুমার পাল লাশ হস্তান্তর করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/ডিডি/এমআই/২৩৩৪ ঘ.

http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=203749&hb=5

Monday, 27 August 2012

বিএসএফের ‘নির্যাতনে’ যুবক নিহত

দিনাজপুর, অগাস্ট ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী-বিএসএফের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

নিহত গরু ব্যবসায়ী আবুল কাশেম (২৬) ভাইগড় সীমান্তের ঋষিপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা তার লাশ বিএসএফ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি-৪০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েফ-উল-হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই যুবক কীভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত করার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”

নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কাশেম কয়েকজনের সঙ্গে রোববার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের শ্রীরামপুর গ্রামে গরু আনতে যায়। তখন বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়ে। এরপর সঙ্গীরা ফিরে এলেও কাশেম আর ফেরেনি।

“সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর গ্রামের একটি ডোবায় কাশেমের ক্ষত-বিক্ষত লাশ ভেসে উঠে। পরে বিএসএফ তা নিজেদের হেফাজতে নেয়।”

আলতাফ বলেন, “বিএসএফের নির্যাতনেই আমার ছেলে মারা গেছে।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/এমআই/২৩৫৭ ঘ.

http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=203202&cid=2

Thursday, 23 August 2012

পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা

বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ২৩-০৮-২০১২
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪) নামের বাংলাদেশি এক রাখালকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চেনাকাটা নদীতে জাহাঙ্গীরের লাশ পাওয়া যায়।

জাহাঙ্গীর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগেবড় ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত সোমবার (ঈদের দিন) রাতে জাহাঙ্গীরসহ ছয়জন বাংলাদেশি রাখাল একই ইউনিয়নের ভোটহাট খাতা সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। গরু নিয়ে ফিরে আসার সময় ভারতের ুকোচবিহার-৩৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের একটি টহল দল জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে যান।

রাখাল মানিক হোসেন অভিযোগ করেন, বিএসএফ সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে ক্যাম্পে নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ মঙ্গলবার রাতে চেনাকাটা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে ভারতের চেনাকাটা গ্রামবাসী নদীতে লাশ দেখতে পেয়ে পাশের চেনাকাটা বিএসএফ ক্যাম্পে খবর দেয়। বিএসএফ সদস্যরা জাহাঙ্গীরের লাশ দেখে বাংলাদেশের নাজিরগোমানী বিজিবিকে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবদুর রহমান লাশ শনাক্ত করেন।

সুবেদার আবদুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীরের লাশ ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-23/news/283212

Sunday, 12 August 2012

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

Sun, Aug 12th, 2012 8:42 pm BdST
সাতক্ষীরা, অগাস্ট ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ এক বাংলাদেশি রাখালকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে।

রোববার ভোরে বৈকারি সীমান্ত এলাকায় ওই রাখালকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। বিকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

নিহত আতাউর রহমান (৩০) সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে।

সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অপারেশন কর্মকর্তা মেজর আবু মোতাহার মো. সোহেল সাংবাদিকদের জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ ১৫২ ব্যাটালিয়নের গোবরদা ক্যাম্পের সদস্যরা তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে আতাউর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়।

বিকাল সাড়ে ৪টায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয় বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে। বৈঠকে গুলির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানান।

লাশ ফেরত পাওয়ার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের বারবার প্রতিবাদ জানানোর পর ভারতের পক্ষ থেকে তা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র বিএসএফকে দেওয়া হবে।

তবে তারপরও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা কমেনি। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আসছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/২০৩৯ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=202080&hb=4

Tuesday, 7 August 2012

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

ভারত সীমান্তের তারকাটার বেড়া কেটে ভারতে গরু আনতে যাওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) গুলিতে জাহিদুল ইসলাম লাল্টু (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন শাহিন (২৫) নামের এক যুবক। আহত যুবক শাহিনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ভোর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলুলীর লেবুতলা সীমান্তে।

জানা গেছে, গতকাল ভোর ৫টার দিকে মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী লেবুতলা গ্রামের নিজামউদ্দিন মাস্টারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম লাল্টু, যশোরের শার্শা উপজেলা ধানকুনি গ্রামের আবদুল মজিদের পুত্র শাহিনসহ ৫/৬ জন বাংলাদেশ ৫২ নম্বর মেইন পিলারের পাশে ভারত সীমান্তের কাশিপুর গ্রামের ব্রিজের পাশের তার কাটার বেড়া কেটে ভারতে গরু আনতে যাওয়ার সময় ভারতের জিতপুর ও কুলিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিতে জাহিদুল ইসলাম লাল্টু ও শাহিন গুরুতরভাবে আহত হয়। 

আহতাবস্থায় দু'জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম লাল্টুকে মৃত ঘোষণা করে। আহত শাহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তাররা জানায়। 
বিজিবির যাদবপুর কোম্পানি কমান্ডার জয়নাল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জাহিদুল ইসলাম লাল্টুর লাশ যশোরে রয়েছে। আর আহত শাহিনকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

Thursday, 26 July 2012

জমিতে পানি দেওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ২৬-০৭-২০১২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় সীমান্তবর্তী জমিতে পানি দেওয়ার সময় গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত সানাউল হক (২৫) শিবগঞ্জের সাহাপাড়া-চানপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৯ ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর আবু নাঈম বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে শিংনগর সীমান্তের ১৬৯ নম্বর পিলারসংলগ্ন এবং সীমান্ত থেকে ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে বর্গা নেওয়া জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন সানাউল হক। ওই সময় দৌলতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সানাউল।

আবু নাঈম বলেন, বিনা উসকানিতে সানাউলকে গুলি করে হত্যা করার প্রতিবাদ ও পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ আজ বৃহস্পতিবার সকালে পতাকা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমির উদ্দীন বলেন, সানাউলের ডান চোখের একটু নিচে গুলি লাগে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সানাউলের আবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-26/news/276911

সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ


জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল সীমান্তে গরু রাখাল আবু আলম (২৪) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তবর্তী সানিয়াজান নদী থেকে আলমের লাশ উদ্ধার করে বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা নিশ্চিত করেছে।

নিহত আলম পাটগ্রাম পৌরসভার কোটতলী রেলওয়ে কলোনি এলাকার মৃত সামসুল হকের ছেলে। তবে লাশটি আলমেরই কিনা তা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বুড়িমারী বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বুধবার গভীররাতে রাসেলের নেতৃত্বে আলমসহ বাংলাদেশি ১১ রাখালের একটি দল বামনদল সীমান্তের ৮৩৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিএসবাড়ী এলাকার সানিয়াজন নদী পার হয়ে গরু আনতে যান। ওই রাতে গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে রাখাল দলের ১০ জন বাংলাদেশে পার হয়ে আসতে পারলেও আলম ৩টি গরুসহ বিএসবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের হাতে আটক হন।

এরপর বিএসএফ সদস্যরা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ সানিয়াজান নদীর এক নম্বর বিএসবাড়ী বেইলি ব্রিজের ভাটিতে ভাসিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আলমের লাশ বামনদল সীমান্তের ৮৩৫ নন্বর মেইন পিলারের ৫ ও ৬ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতীয় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের খড়খড়িয়া ১০৪ বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে সানিয়াজান নদীতে ভেসে ওঠে। এ সময় বিএসএফ নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে বিজিবিকে জানালে এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহত যুবকের প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম ও মামুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করার জন্য আমাদের ২ জনকে খড়খড়িয়া ক্যাম্পের সামনে বিএসএফের কাছে পাঠায়। নিহতের মুখ-ম-ল হাতুড়ি দিয়ে এমনভাবে থেতলে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে যে চেনার কোনো উপায় নেই। শরীর পানিতে থাকায় ফুলে গেছে। তবে দেহ দেখে মনে হয়েছে এটিই আলমের লাশ।’’

বিএসএফের নির্যাতনে নিহত আলমের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোহসেনা আক্তার সুমি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘গরু পারপারকারী দলের নেতা রাসেল রাতে আমাকে বাড়িতে এসে বলেছেন আলমকে বিএসএফ আটক করেছে। নিহত ব্যক্তিই আমার স্বামী হবে। এ কথা বলে সুমি শুধুই বিলাপ করছিলেন।’’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত আলমের আর কেউ না থাকায় লাশ নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এছাড়া সুমিরও কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সুমি নিজেও কোথাও যেতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আল হেলাল ঘটনাস্থল থেকে বাংলানিউজকে জানান, লাশটি এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশ সনাক্তের চেষ্টা চলছে। কোচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানী কমান্ডার বলবীর সিংহ পতাকা বৈঠকে জানিয়েছেন লাশটি ভারতীয় নাগরিকের নয়।

এদিকে, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের বাদনদল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, বুড়িমারী ইউনিয়নের কোনো ব্যক্তি নিহত বা নিখোঁজ হয়নি। এ লাশও এ এলাকার কারো নয়।

লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডারকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু লাশের কোনো দাবিদার না থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। লাশের প্রকৃত দাবিদার পাওয়া গেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে লাশ ফেরত চাওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়:  ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১২ 

Sunday, 15 July 2012

এবার যুবকের হাত-পা ভেঙে দিল বিএসএফ


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ১৫-০৭-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশি রাখালকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতনের কারণে ওই বাংলাদেশির পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ধুবলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রাখালের নাম আক্তারুল ইসলাম (২৬)। তিনি সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের ছোবহান সরদারের ছেলে। 

ছয়ঘরিয়া কালিয়ানি কারিকরপাড়ার আতিয়ার রহমান জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আক্তারুল ইসলামসহ তিনজন ছয়ঘরিয়া সীমান্তে গরু আনতে যান। আজ ভোর চারটার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ধুবলি নামক স্থানে কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় আক্তারুলকে বিএসএফ ধরে ফেলে। তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে দুই পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে দেয়। পরে মৃত ভেবে তাঁকে ৭ নম্বর মেইন পিলারের ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ফেলে যায়। খবর পেয়ে তিনিসহ কয়েকজন গ্রামবাসী আক্তারুলকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আক্তারুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বিএসএফ তাঁকে লাঠি দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সীমান্ত গ্রামবাসী তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক হাফিজ উল্লাহ জানান, আক্তারুলের দুই পা ও বাঁ হাতের কনুই ভেঙে গেছে। তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, একজন রাখাল ছয়ঘরিয়া সীমান্ত থেকে ভারতের এক কিলোমিটার ভেতরে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। গোপনে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাছের জানান, বিষয়টি জানার পর ভারতের কৈজুরি বিএসএফ ক্যাম্পে নির্যাতিত রাখালের ছবিসহ প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে। কাল ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পাশাপাশি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হবে। 


Wednesday, 4 July 2012

সীমান্তের ওপারে পড়ে আছে বাংলাদেশি কিশোরের লাশ!

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৭-২০১২

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকায় বাংলাদেশি এক কিশোরের লাশ পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মো. রতন (১৭) নামের ওই কিশোরের বাড়ি তেঁতুলিয়ার বিহারিপাড়া গ্রামে। পরিবারের দাবি, রতনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ। 

নিহত রতনের বাবা হায়দার আলী জানান, রতন ১৫-২০ দিন আগে ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত সোমবার রাতে সে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশে ফিরছিল। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রতনকে ধরে ফেলেন বিএসএফের সদস্যরা। হায়দার দাবি করেন, বিএসএফের সদস্যরা রতনকে ধরে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করেছে। ফিরে আসা গরু ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি এ খবর জানতে পেরেছেন।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ফেরত আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বলা হয়েছে।

বিজিবির তেঁতুলিয়া কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার মোজাম্মেল হক গতকাল বিকেল পাঁচটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফের মুড়িখাওয়া ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পতাকা বৈঠক শুরু হবে। সেখানে আলোচনার পর এ বিষয়ে বলতে পারব।’

পঞ্চগড় ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশি এক কিশোরের লাশ ভারতের মাটিতে পড়ে আছে। তার মৃত্যুর কোনো কারণ জানতে পারিনি। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক চলছিল।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-04/news/271117

Tuesday, 3 July 2012

কলারোয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ০৩-০৭-২০১২

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় ভূখণ্ডে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আটক করা হয়েছে অপর এক বাংলাদেশিকে। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আলতাফ হোসেন (২২)। তিনি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আটক করে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি একই গ্রামের মহিদ হোসেন (৩০)।

সীমান্ত গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বাংলাদেশি ৮-১০ জনের একটি দল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যায় গরু আনতে। গতকাল ভোরে গরু নিয়ে ফেরার সময় কাকডাঙ্গা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার তারালি এলাকায় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। বিএসএফ সদস্যরা মহিদ হোসেনকে আটক করে ভারতের হাকিমপুর ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর নিহতের লাশ ও আটককৃত বাংলাদেশিকে ফেরত চেয়ে সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি কাকডাঙ্গা ক্যাম্পের পক্ষ বিএসএফের হাকিমপুর ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়। এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কলারোয়ার কেঁড়াগাছি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মাদরা কোম্পানি কমান্ডার সুলতান আহম্মেদ ও বিএসএফের নেতৃত্ব দেন ভারতের আমুদিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ভিপি সিং। ৩৮ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বাসির ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহতের লাশ ও আটক বাংলাদেশিকে সে দেশের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনি-প্রক্রিয়া ছাড়া লাশ ও আটক ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।


 http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-03/news/270782

Friday, 22 June 2012

দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাপ-ছেলেকে পেটাল বিএসএফ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম | তারিখ: ২২-০৬-২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একদল সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খলিশা কোটাল গ্রামে এক বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহকর্তা ও তাঁর ছেলেকে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে সীমান্তের ৯৩৪ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের কাছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বিএসএফের বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। তবে বিএসএফ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খালিশা কোটাল সীমান্তের ৯৩৪ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে একদল চোরাকারবারি গাঁজা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফের ১০-১২ জন সদস্য তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে চোরাকারবারিরা খলিশা কোটাল গ্রামে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা ওই গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়িতে হানা দেয়। গৃহকর্তা আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বিএসএফ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর ছেলে মোজামেঞ্চলকে (২৬) পিটিয়ে আহত করে। 

কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির অধীন শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, সকালে পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে।


Friday, 15 June 2012

BSF gun down one more


Fri, Jun 15th, 2012 1:59 am BdST

Thakurgaon, Jun 14 (bdnews24.com ) — Ignoring calls from international human rights organisations, India's Border Security Force (BSF) have yet again shot a Bangladeshi national dead along the borders.

The deceased was identified as Faruque, 30, son of one Enamul Hoque, a resident of Choroigodi of Baliadanga upazila in the district.

Faruque, a cattle trader, received bullet in his abdomen on Thursday afternoon at Beurjhari border point when he was going to buy cows from India, said Maj Arif Shahriar of 20 Border Guard Battalion (BGB).

The injured Faruque managed to walk until he had reached Bangladesh from the Indian side.

Faruque succumbed to the bullet injury at Baliadanga Upazila Health Complex around 9pm, said Baliadanga Police Station Officer-in-Charge Shamim Hasan.

bdnews24.com/corr/cs/eh/nir/2345h

http://www.bdnews24.com/details.php?cid=2&id=226474&hb=1

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


Fri, Jun 15th, 2012 12:48 am BdST

ঠাকুরগাঁও, জুন ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

নিহত ফারুক (৩০) উপজেলার চড়ইগদি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।

২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক মেজর আরিফ শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফারুক বৃহস্পতিবার বিকালে ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৭৯/৩৮০ পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।

ওই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শুক্রবার পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিকালে সীমান্ত পার হয়ে গরু আনতে গেলে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার গোয়াল পুকুর থানার চাকলাগড় বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, গুলি তার পেটে লাগে।

গুলিবিদ্ধ ফারুক কোনোমতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাত ৯টা ৫ মিনিটে ফারুক মারা যান বলে জানান ওসি।

সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতন নিয়ে হিউমেন রাইটস ওয়াচ নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশের তিন দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও সীমান্তে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।

মানবাধিকার সংগঠনটি গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেও তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/এমআই/০০৪৫ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=196754&hb=3

Tuesday, 12 June 2012

India shooting down border pledges: HRW


Tue, Jun 12th, 2012 11:21 am BdST

Dhaka, Jun 12 (bdnews24.com) – An influential global rights group has accused India of breaking promises to end killings and other forms of serious human rights abuses along the border with Bangladesh.

In a New York-datelined statement, the Human Rights Watch said India should investigate fresh allegations of human rights violation by its Border Security Force along its porous border with Bangladesh and prosecute the responsible.

It has also urged Bangladesh to "publicly" ask the Indian government to end the violations by its border guards.

"It is time for the Indian government to keep its promises to end abuses and hold its forces accountable," said Meenakshi Ganguly, South Asia Director at Human Rights Watch.

"At the same time, Bangladeshi government should publicly demand that the Indian government end this scourge of violence along their border," she said in the statement.

The group said despite assurances to Bangladesh and public orders to exercise restraint and end unlawful killings and attacks on suspected smugglers, evidence documented and published by Indian and Bangladeshi nongovernmental organisations suggest that the BSF is once again committing abuses including extrajudicial killings, torture, and ill-treatment of both Indian and Bangladeshi people live along the frontier.

"The Border Security Force has reverted to its previous tactics of unilaterally punishing suspects, defying orders from Delhi issued last year to exercise restraint and protect the right to life," said Ganguly.

"But the central government is also responsible, since it has failed to hold perpetrators accountable. Justice is the best deterrent against further violations," she said.

In December 2010, Human Rights Watch released "Trigger Happy, Excessive Use of Force by Indian Troops at the Bangladesh Border," which documented nearly 1,000 killings by the BSF over the last decade.

In January 2011, the Indian government assured Bangladeshi officials that it would order the BSF to exercise restraint and encourage the use of rubber bullets instead of more lethal ammunition, steps welcomed by Human Rights Watch.

Although BSF attacks decreased significantly over the next year, the new evidence presented suggests that Indian border troops continue to frequently abuse both Bangladeshi citizens and Indian nationals residing in the border area, the statement said.

The recent allegations claim that in order to get around the restrictions on shooting at sight, BSF soldiers have been subjecting suspects to severe beatings and torture, resulting in deaths in custody.

Efforts by local residents and activists to file complaints and secure justice have resulted in threats and intimidation, it said.

The National Human Rights Commission has sought responses when allegations are filed, but without adequate witness protection complainants end up risking further abuse, it said.

The group said large numbers of killings and other abuses have been reported in 2012.

Odhikar, a Dhaka-based human rights group, has documented as many as 13 killings by the BSF since January 2012.

Kolkata-based group Banglar Manabadhikar Suraksha Mancha (MASUM), has documented five other killings during the same time period, based on statements from witnesses and families of victims.

Last year, MASUM released a video showing BSF soldiers brutally beating a Bangladeshi national caught smuggling cattle in West Bengal state. Eight soldiers were suspended but no further information is available regarding their prosecution or punishment.

But, the statement said, HRW knows of no cases in which BSF soldiers have been prosecuted for violations committed along the India-Bangladesh border.

This includes a highly publicised case in which a 15-year-old Bangladeshi girl trapped in the wire fencing at the border was shot by the BSF in January 2011, it said.

"While the Indian government claims that it holds its forces accountable, it produces no information to show that this is actually happening," said Ganguly.

"There appears to be complete impunity for BSF soldiers – even in the most egregious cases. Unless the government orders an independent investigation and ensures the prosecutions of those against whom credible evidence is found, such acts of brutality will continue."

Go by UN principles

Human Rights Watch also called on India to do more to ensure compliance with the United Nations Basic Principles on the Use of Force and Firearms by Law Enforcement Officials.

Given the failure of the BSF's internal justice system to prosecute its members for human rights abuses, personnel of all ranks implicated in serious rights abuses should be investigated by civilian authorities and tried in civilian courts, it said.

This is particularly important because the BSF is now being deployed in security operations against Maoists in central and eastern India. Considering the widespread tendency to subject local residents at the Bangladesh border to verbal and physical abuse including severe beatings, the government should ensure a transparent system of accountability that will prevent violations in these areas.

The statement said Bangladesh, after initially failing to address this issue, finally began to call for the protection of its citizens.

In March 2011, at a joint border coordination conference, Maj. Gen. Rafiqul Islam, head of the Border Guards Bangladesh, called on the BSF to respect the right to life and said that individuals "must be treated innocent unless and until he or she is proved to be a criminal or offender."

BSF Director-General Raman Srivastava promised "to maintain utmost restraint on the border" and also provide troops "with non-lethal weaponry."

bdnews24.com/zk/jr/1113h

Saturday, 19 May 2012

বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের অভিযোগ


নওগাঁ প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-০৫-২০১২

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বাংলাদেশি কৃষক সুফল সিংহকে (৫৯) ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সুফল সিংহের ভাষ্য, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি বাংলাদেশ অংশের কাতলামারী চরে নিজেদের জমির ধান কাটছিলেন। এ সময় ওই এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা ভারতের টিক্কাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের দুই সদস্য তাঁর কাছে পানি চান। পানি নিয়ে বিএসএফের সদস্যদের কাছে যাওয়ামাত্র তাঁরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে একটি টহল চৌকিতে নিয়ে যান। সুফল অভিযোগ করেন, বিএসএফের সদস্যরা রাইফেলের বাট, কোমরের বেল্ট ও বেত দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। তাঁরা সুফলের দুই হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখেন এবং পরনের লুঙ্গি ও শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন। নির্যাতিত সুফল দাবি করেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিএসএফের সদস্যরা তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনাস্থলে বিএসএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাওয়ান পর তাঁকে আরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এলাকাবাসী জানান, তাঁরা বেলা আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় সীমান্তের ৩২ নম্বর খুঁটি-সংলগ্ন এলাকা থেকে সুফলকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন।

দুয়ারপাল গ্রামের স্কুলশিক্ষক ইসাউল হকের ভাষ্য, সুফলকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতনে সুফলের দুই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ফুলে উঠেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। সুফলের ছেলে শুক চান সিংহের দাবি, বিএসএফের সদস্যরা সুফলকে নির্যাতনের সময় তাঁর মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে তিনি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নীতপুর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আখতার হোসেন বলেন, বিএসএফের সদস্যরা সুফলকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-19/news/259046


BSF kills Bangladeshi cattle trader


Indian Border Security Force (BSF) early yesterday hurled a cocktail at Bangladeshi cattle traders injuring a man and then shot him dead at Daudpur border under Birampur upazila of Dinajpur, said BGB sources.
The deceased was identified as Saidur Rahman Chiku, 50, of Poli Mahmudpur village under Birampur upazila of Dinajpur.
According to witnesses, the incident took place when Chiku along with other cattle traders was returning home around 4:30am. On the way, BSF of Gobindapur camp under 29 Battalion of Dakkhin Dinajpur of Paschimbanga hurled a cocktail at them injuring Chiku.
BSF members then caught Chiku and shot him dead on the spot, they added.
Hili police of Paschimbanga sent the body to Balurghat Hospital.
Lt Col Tayed Ul Haque, commanding officer of Phulbari 40 Battalion, said he heard about the incident but there has been no confirmation so far from his Indian counterpart.
Since January 2012, four Bangladeshi cattle traders have been killed and seven wounded by BSF members.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=234780


Friday, 18 May 2012

দিনাজপুরে সীমান্তে বিএসএফের গুলি: নিহত ১


Fri, May 18th, 2012 1:42 pm BdST

দিনাজপুর, মে ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি-৪০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েবুল হক জানান, শুক্রবার ভোরে বিরামপুরের দাউদপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতবোমা ও গুলিবর্ষণে সাইদুর রহমান চিকু (৫০) নিহত হন। তার লাশ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে।

নিহত সাইদুর ভারত থেকে গরু আনার কাজ করতেন। তিনি বিরামপুর উপজেলার পলি মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তায়েবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার ভোরে বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর সীমান্ত দিয়ে আরও কয়েকজনের সঙ্গে সাইদুর গরু আনতে ভারতে যায়।

“সীমান্ত পিলার ২৮৯/২৫ (এ)-এর কাছে তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা ছুড়ে মারে ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। বোমার আঘাতে সাইদুর পড়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি মারা যান।”

তিনি জানান, সাইদুরের লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে বিএসএফ এখনও কিছু জানায়নি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/কিউএইচ/এসইউ/১৩৫৩ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=194267

Thursday, 17 May 2012

Youth shot dead by BSF


Indian Border Security Force (BSF) shot dead a Bangladeshi youth early yesterday at Azmatpur border in Shibganj upazila of Chapainawabganj.
The victim was identified as Durul Huda, 22, son of Jalal Uddin alias Guhu of Azmatpur village.
BSF troops of Swashani camp under 125 BSF Battalion in Pashchimbanga opened fire on Durul around 4:00am while he was returning home with smuggled goods, said Maj Sheikh Mizanur Rahman, acting commanding officer of 9 Border Guard Bangladesh (BGB) Battalion in Chapainawabganj.
Locals rushed injured Durul to Rajshahi Medical College Hospital where he succumbed to his injuries around 10:00am.
The body was sent to the hospital morgue for an autopsy.
Earlier on April 4, BSF members shot dead Ruhul Amin, a cattle trader, at Shingnagar frontier in the same upazila.

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত


নিজস্ব প্রতিবদেক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ১৭-০৫-২০১২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তে গতকাল বুধবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুরুল ইসলাম (৩৯) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুরুল উপজেলার আজমতপুর মোলাটোলা গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে চারটার দিকে আজমতপুর সীমান্তের মেইন পিলার ১৮১-এর ৩ নম্বর সাবপিলার-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন বাংলাদেশিকে দেখে ভারতের শ্বশানী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে দুরুল গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে রাজশাহীর ডলফিন ক্লিনিকে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজিবি-৯ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মিজানুর রহমান জানান, বিএসএফের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের লিখিত প্রতিবাদ জানানো হবে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-17/news/258452

Wednesday, 25 April 2012

পঞ্চগড় সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে মেরেছে বিএসএফ


জেলা প্রতিনিধি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
পঞ্চগড়: ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ আবারও ওলিয়ার রহমান (৪২) নামে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মান্দুলপাড়া গ্রামে।

বিএসএফ তাকে অপহরণের পর মারপিট করে ভারতের চোপড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে চোপড়া থানা পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিএসএফ তার লাশ ফেরত দেয়নি।

জানা গেছে, ভারতের বালাবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা জিরো লাইন থেকে তিনদিন আগে ওলিয়ারকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যায়।

সীমান্তের একটি সূত্র জানায়, বিএসএফ সদস্যরা ওলিয়ারকে গাছে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় চোপড়া থানা পুলিশে সোর্পদ করে। পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

ওলিয়ারের পরিবারের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর বিজিবির ভজনপুর বিওপি কোম্পানি কমান্ডার ভারতের বালাবাড়ি বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকে বসার অনুরোধ জানায়।

মঙ্গলবার ভেলুপাড়া সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে দাবি করে। তবে ‘মস্তিস্ক বিকৃত’ এক ব্যক্তিকে তারা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার কথা বিজিবির কাছে স্বীকার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১২

Saturday, 14 April 2012

BSF 'kills' Bangladeshi at C'nawabganj border


Sat, Apr 14th, 2012 4:22 pm BdST

Chapainawabganj, Apr 14 (bdnews24.com) – Indian Border Security Force (BSF) on Saturday gunned down a Bangladeshi cattle trader along Chapainawabganj border.

Lt Col Jahangir Hossain, commander of Border Guard Bangladesh (BGB) 39 Battalion in Chapainawabganj, said the shooting took place at Chowka border of Shibganj upazila early in the morning.

The deceased was identified as Faruk Hossain, 25, son of Jasim Uddin from Parchowka village in the upazila.

Faruk died on the spot when BSF members of 125 Battalion of Shabdelpur fired on Bangladeshi cattle traders who were returning to Bangladesh from India with cattle around 5:30am, the BGB battalion commander said.

"BSF took away Faruk's body. Others fled the scene," Jahangir added.

He said BGB has sent a letter asking the BSF to return the body.

On Apr 4, another Bangladeshi was killed by BSF along Shingnagar border in Chapainawabganj.

bdnews24.com/corr/ost/sk/1610h

http://www.bdnews24.com/details.php?cid=2&id=222427&hb=3


বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জে


Sat, Apr 14th, 2012 2:01 pm BdST

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এপ্রিল ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে শনিবার ভোরে এক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।

নিহত ফারুক হোসেন (২৫) শিবগঞ্জ উপজেলার পারচৌকা গ্রামের জসিম উদ্দীনের ছেলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফারুকসহ কয়েকজন গরু নিয়ে চৌকা সীমান্তের ১৭৫ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিল। এ সময় ভারতের শবদেলপুর ক্যাম্পের ১২৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে আসে। বিএসএফ ফারুকের লাশ সেখান থেকে নিয়ে যায়।

ফারুকের লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

৪ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর সীমান্তে রুহুল আমিন নামে আরেক যুবক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসইউ/১৪৩২ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=191267

Friday, 13 April 2012

বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ১৩-০৪-২০১২

ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার কৈজুড়ি সীমান্ত এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবকের নাম সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে। এ ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে।

এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশি রাখাল সাতক্ষীরার বৈকারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। গতকাল ভোরে তাঁরা গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতের কৈজুড়ি মাঠের ভেতরে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলকে আটক করেন। পরে সেখানে তাঁরা তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটান ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।

সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. ছামিউন-নবী চৌধুরী জানান, ঘটনাটি জানার পর বিএসএফের কৈজুড়ি ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈকারি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, তারা কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করেনি।

বিএসএফের দাবি, ভারতীয় দুবৃর্ত্তরা ওই বাংলাদেশিকে হত্যা করতে পারে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-13/news/240038

Thursday, 12 April 2012

সাতক্ষীরা সীমান্তে যুবককে কুপিয়ে হত্যা


Thu, Apr 12th, 2012 10:18 pm BdST

সাতক্ষীরা, এপ্রিল ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা ফের এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত সিরাজুল ইসলাম (৩২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি ইউনিয়নের কালিয়ানি গ্রামের সৈয়দ আলি সরদারের ছেলে।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে সদর উপজেলার বৈকারি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ছোট বাঁকড়া এলাকার কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলকে আটকের পর কুপিয়ে হত্যা করে বলে তাই ভাই অভিযোগ করেছেন।

অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসএফ বিজিবিকে বলছে, স্থানীয় গ্রামবাসীর মারপিটে সিরাজুলের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে সিরাজুলসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গরু আনতে যান।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে গরু নিয়ে দেশে ফেরার পথে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ছোট বাঁকড়া নামক স্থানে পৌঁছালে কৈজুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলকে আটক করে বলে স্থানীয়রা জানায়।

৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বৈকারি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, সিরাজুল হত্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়।

ব্যাটালিয়নের অপারেশন কর্মকর্তা (অপস) মেজর হারুন অর রশিদ বলেন, “বিএসএফ বলছে, তারা সিরাজুলকে মারেনি। সীমান্তে ভারতীয় অধিবাসীদের মারপিটে তার মৃত্যু হয়েছে।”

তবে নিহতের বড় ভাই বৈকারি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ সদস্যরা তার ভাইকে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।

সিরাজুলের এক মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে। ভাইয়ের মৃতদেহ ফেরত পেতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন সাইফুল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএইচ/এমআই/২২০৫ ঘ. 

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=191162&cid=2

BSF kills Bangladeshi near Satkhira border


UNB, Satkhira

A Bangladeshi cattle trader was allegedly killed by Indian Border Security Force (BSF) on Kaijuri-Baikari border in Satkhira early Thursday.
The victim was identified as Sirajul Islam, 32, son of Syed Ali Sardar of Kaliani Chhoygharia village in Satkhira Sadar upazila.
According to Bangladesh Border Guard (BGB) sources, Sirajul with other cattle traders went to India to buy cattle on April 10.
BSF personnel of Kaijuri camp arrested the victim when the party was returning to Bangladesh, and chopped him to death at about 4:30am on Thursday leaving his body in a paddy field, they added.
BGB members sent a letter to BSF authorities protesting the incident and making a request to hold a flag meeting.
Later, two flag meetings were held between BGB and BSF authorities at zero point near Kaijuri border.
However, BSF denied the allegation and said they were not involved in the killing, said Maj Shamim-un Nabi Chowdhury, second-in-command of 38 BGB battalion.
BSF members said they only discovered the body in the paddy field.
Officials of both BGB and BSF agreed to resolve the dispute through discussions and by taking necessary measures.

Friday, 6 April 2012

বাংলাদেশি নির্যাতন: বিএসএফ ‘ক্ষমা চেয়েছে’


Fri, Apr 6th, 2012 8:35 pm BdST

সাতক্ষীরা, এপ্রিল ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারত থেকে আসার সময় পাসপোর্টধারী এক বাংলাদেশিকে নির্যাতন করার কারণে বিএসএফ ক্ষমা চেয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি ।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা সীমান্তে এক পতাকা বৈঠকে তারা বিজিবি’র কাছে ক্ষমা চায়। এছাড়া এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলেও জানান বিএসএফ কর্মকর্তারা।

বিজিবি’র ভোমরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। আর্ন্তজাতিক মেইন পিলার ৩-এর কাছে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিজিবি’র কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএসএফ’র প্রতিনিধি বলেছেন ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

তিনি বলেন, পতাকা বৈঠকে তিনি বিজিবি ৬ সদস্যের নেতৃত্ব দেন। ভারতের ৪৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার এ সি শহীদ হোসেন বিএসএফ’র ৮ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করেন।

বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের গোপাল রায় (৪৫) গত ২৯ মার্চ পাসপোর্ট নিয়ে ভোমরা বন্দর হয়ে ভারত যান। বুধবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি দেশে ফিরছিলেন।

ওই সময় ভারতের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন পার হয়ে ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে এলে বিএসএফ সদস্যরা তার ব্যাগ তল্লাশি করে। এসময় এক বিএসএফ সদস্য তাকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়।
আরেক বিএসএফ সদস্য তাকে লাথি মারতে থাকে। পরে লাঠি দিয়ে মারধর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২০৩০ ঘ.

http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=190572&cid=2