Tuesday, 28 December 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ২৮-১২-২০১০


লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল সীমান্তে গতকাল সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত বাবু মিয়া কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেওয়া হয়েছে।

বিডিআর জানায়, গতকাল উপজেলার বামনদল সীমান্তের ৮৩৮ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশি ও ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে গরু পারাপারের সময় বিএসএফের সদস্যরা সাতটি গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই বেলাল হোসেন (২৫) নিহত হন। নিহত যুবকের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে।

BSF kills 1

Tuesday, December 28, 2010


Our Correspondent

A Bangladeshi farmer was shot dead and two others were injured by Indian Border Security Force (BSF) on Burimari border in Patgram upazila of Lalmonirhat yesterday.

The deceased Belal Hossain, 26, hailed from Namajitari village in the upazila, died on the spot while Babu Mia, 25, and Hasan Ali, 28, of Bamandal village received bullet injuries but managed to flee the scene.

Babu and Hasan were rushed to Patgram Upazila Health Complex.

The BSF men took away the body of Belal.

Bangladesh Rifles (BDR) Burimari camp commander Subedar Sayeed Ahmed said he sent a letter to BSF Biyezbari camp of West Bengal protesting the killing and asking them to return the body of Belal as soon as possible.

BSF men opened fire on the farmers without any provocation, he claimed.

BDR sources said Indian troops shot seven rounds of bullet targeting the Bangladeshi farmers when they went to a field adjacent to the border area at about 6:15am.

In reply, BSF members of Biyezbari camp sent a letter to BDR claiming that a patrol team of BSF fired when the three farmers along with their associates were illegally crossing the border.

BSF will hand over the body to BDR after an autopsy within 24 hours, sources said.

A tense situation is prevailing in the bordering area.

Saturday, 25 December 2010

BSF kills Bangladeshi cattle trader

Saturday, December 25, 2010


Our Correspondent, Lalmonirhat

A Bangladeshi was shot dead by Indian Border Security Force (BSF) along Doikhawa border at Hatibandha upazila in Lalmonirhat early yesterday.

The victim, Saikur Rahman, 21, son of Golam Mohammad of Uttar Gotamari village of the upazila, was a cattle trader.

The man died on the spot as BSF men fired three bullets at him around 5:45am. The body was taken into the Indian territory, said Border Guards Bangladesh (BGB) Doikhawa camp.

BGB condemned the killing and sent a letter to BSF demanding the body back by this morning.

BSF of Baro Morichabari camp in West Bengal told BGB the cattle trader was smuggling Indian cattle into Bangladesh.

However, Lieutenant Colonel Aslam Hossain, commanding officer of Lalmonirhat 31 Rifles Battalion, said BSF would hand over the body to BDR after autopsy.

Friday, 24 December 2010

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-১২-২০১০


লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সাইয়াকুর রহমান (২০)। তাঁর বাড়ি হাতিবান্ধা উপজেলার বুতমারী গ্রামে। সাইয়াকুর রহমানের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হাতিবান্ধার দই খাওয়া এলাকায় তিনি নিহত হন।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট ৩১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের দই খাওয়া বিওপি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতে ব্যক্তির দেহ ফেরত চেয়ে বড় মরিচাবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পে জরুরি পত্র পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ৩১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর শফিক উদ্দিন বলেন, বিএসএফ নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বিডিআরের কাছে ফেরত পাঠাবে বলে জানিয়েছে।

Saturday, 18 December 2010

বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত

নীলফামারী প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-১২-২০১০


নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তর গোমনাতী বুড়ি তিস্তাঘাট এলাকায় আবদুর রশিদ (৩৭) নামের একজন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তাঁর বাড়ি ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই গ্রামে। তিনি একজন গরুর ব্যবসায়ী।

জানা যায়, আজ ভোর পাঁচটার দিকে সীমান্তের ৭৮৯ নম্বর পিলারের কাছে আবদুর রশিদ ও তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি ছুড়ে। এতে আবদুর রশিদ গুরুতর আহত হন। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে সঙ্গীরা লাশ তাঁর বাড়ির সামনে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বেলা দুইটার দিকে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

Friday, 10 December 2010

'বিএসএফ'র বিচার হওয়া উচিৎ'

Thu, Dec 9th, 2010 9:30 pm BdST

ঢাকা, ডিসেম্বর ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, হত্যা এবং অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) বিচার হওয়া উচিৎ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার জন্য বিএসএফ'র অতিরিক্ত বলপ্রয়োগই দায়ী বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে মত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

এইচআরডব্লিউ'র দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, "হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে না দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার করতে ভারত সরকারের প্রতি বারংবার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।"

শুক্রবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এর আগের দিন "'ট্রিগার হ্যাপি': এক্সেসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস্ অ্যাট দ্য বাংলাদেশ বর্ডার" ("'অস্ত্রকাতর': বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ") শীর্ষক ৮১ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ হলো।

নির্যাতনের শিকার, প্রত্যক্ষদর্শী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বিএসএফ-বিডিআর সদস্যসহ প্রায় একশ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ'র নির্বিচার বলপ্রয়োগ, আটক, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ড চালানোর বহু ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে এইচআরডব্লিউ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরণের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ী সেনাদের ভারত সরকারের বিচার করা উচিৎ। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফ'র হাতে দুদেশের নাগরিক হত্যা ঠেকাতে ভারত ও বাংলাদেশের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও তাগিদ দেওয়া হয় এতে।

গত এক দশকে নয়শ'রও বেশি বাংলাদেশি বিএসএফ'র হাতে নিহত হয়েছে উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামলাতে দুই দেশের সরকারের অবিলম্বে একটি যৌথ ও স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করা দরকার বলেও মত দেয় মানবাধিকার সংস্থাটি।

মিনাক্ষী বলেন, "যে কোনো সন্দেহভাজনকেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার মতো ঘটনায় মনে হয় যে, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "বিএসএফ বলে আসছে, তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালিয়ে থাকে। তাহলে এইসব হত্যাকাণ্ডের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে কি না তা প্রকাশ করতে তারা নারাজ কেন?"

নিজেদের তদন্ত করা বেশ কিছু ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এইচআরডব্লিউ'রপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের শিকাররা নিরীহ নাগরিক। এমনকি এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। অবৈধপথে পশু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী এবং সন্ত্রাসী চক্রের লোকজনও সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার।

তবে আত্মীয়স্বজনদের দেখতে কিংবা বাজারঘাট করতে সীমান্ত পার হওয়া দুদেশের নাগরিক বা সীমান্ত এলাকায় চাষাবাদকারী এলাকাবাসীও আটক, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, নিজের নাগরিকদের জীবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। 'অবৈধ সীমান্ত ব্যবসায় লিপ্তরা' ঘটনার শিকার হলেও বাংলাদেশের উচিৎ সীমান্তে সংযম প্রদর্শনে ভারত সরকারের প্রতি জোরেশোরে আহ্বান জানানো।

BSF routinely kills on border : US-based rights body spurs Dhaka to protect its nationals

Friday, December 10, 2010


Diplomatic Correspondent

Indian border security force (BSF) routinely gun down civilians crossing the border with Bangladesh despite negligible evidence of any crime, Human Rights Watch (HRW) said in a report released yesterday.

Over 900 Bangladeshi nationals have been killed by the BSF over the last decade, many of them when they crossed into Indian territory for cattle rustling or other smuggling activities.

However, in several cases “we also found that Bangladeshi nationals were injured or killed due to indiscriminate firing from across the border”, the report said.

HRW found no evidence in any death it documented that the person was engaged in any activity that would justify such an extreme response.

The rights body said the Bangladesh government should vigorously protect the right to life of its citizens, even those who may be involved in illegal trade, and should call upon the Indian government to exercise restraint.

The Indian government should prosecute BSF soldiers responsible for serious human rights abuses, the rights group said.

The 81-page report, “Trigger Happy: Excessive Use of Force by Indian Troops at the Bangladesh Border,” documents the situation on the border region, where both Bangladesh and India have deployed border guards to prevent infiltration, trafficking, and smuggling.

It said the BSF--responsible for guarding against extremists, drug and weapons smugglers and human traffickers--is instead using its muscle to detain, torture and kill with impunity, according to HRW, the New York-based rights group.

HRW found numerous cases of indiscriminate use of force, arbitrary detention, torture, and killings by the security force, without adequate investigation or punishment.

The report is based on over 100 interviews with victims, witnesses, human rights defenders, journalists, law-enforcement officials, and BSF and Bangladesh Rifles' (BDR) members, said a press release of the HRW.

The report said border officials are required to exercise restraint and “act in proportion to the seriousness of the offence.” It suggested India and Bangladesh should take immediate steps to end the killing of hundreds of their citizens at the West Bengal-Bangladesh border by BSF.

“The border force seems to be out of control, with orders to shoot any suspect,” said Meenakshi Ganguly, South Asia Director at HRW. "The border operations ignore the most basic rule of law, the presumption of innocence."

HRW said since both Indians and Bangladeshis have fallen prey to this excessive use of force, both governments need to open a joint independent investigation to turn the situation around.

“Human Rights Watch has repeatedly called upon the Indian government to prosecute those responsible for human rights violations instead of letting its security forces get away with murder,” Ganguly said. “The BSF insists that there are internal investigations, but why then is it so unwilling to reveal whether anyone has been punished for these killings.”

Thursday, 11 November 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা এবং লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম প্রতিনিধি | তারিখ: ১১-১১-২০১০


লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তের ওপারে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাজীপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে আহত এক বাংলাদেশি মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন।

বুড়িমারী সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত মোতালেব হোসেনের (৩৮) বাড়ি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।

Tuesday, 21 September 2010

বিএসএফের নির্যাতনের নতুন কৌশল 'রগ কাটা'

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৯ মাসে ১১ হত্যা

শহীদুল হুদা অলক, মনোহরপুর থেকে ফিরে

সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে পারলেই হাতে আসে 'কাঁচা টাকা'। এই 'কাঁচা টাকা' পাওয়ার আশায় শিবগঞ্জের বিশ্বনাথপুরের একটি গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১৭ সেপ্টেম্বর ভারত সীমান্তে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে সেনারুল (২৫)। কিন্তু টাকার বদলে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়ে তাঁর ভাগ্যে জুটেছে পঙ্গুত্ব। বিএসএফ সদস্যরা শালকাঠের মোটা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর পা দুটো ভেঙে দেয়। পরে চোখ বেঁধে ফেলে দেয় পদ্মায়। প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারলেও সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা কোনো দিন ভুলতে পারবেন না সেনারুল।

দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বছরের পর বছর ধরে বিএসএফের গুলিতে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সামপ্রতিক সময়ে বিএসএফ সদস্যরা হত্যার পাশাপাশি অমানসিক নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসেই নির্যাতন করে হাত-পায়ের রগ কেটে পদ্মায় ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই বাংলাদেশিকে। বিএসএফের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আর চলতি বছর নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন।

৪ সেপ্টেম্বর বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায় সাহাপাড়া ডাকাতপাড়া গ্রামের সাইদুর (১৮)। ভারতের পদ্মার চর বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করার পর হাত-পায়ের রগ কেটে পদ্মায় ফেলে দেয়। নদীতে ভেসে আসা সাইদুরকে উদ্ধারের পর সে তার স্বজনদের জানায় অমানসিক নির্যাতনের কথা।

বিএসএফের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ভারতের ১৫১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্টের কাছে দুটি প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয় ৯ সেপ্টেম্বর। সাইদুরের পরিবারের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবাদপত্রে সাইদুরের হাত-পায়ের রগ কাটার পাশাপাশি তার অণ্ডকোষ কেটে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে_'যে নির্যাতন করা হয়েছে, তা প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই... সীমান্তে নির্যাতন বন্ধ করা না হলে সমপ্রীতি ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েবে।'

এ ব্যাপারে ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জায়েদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএসএফ যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা অমানবিক ও অনৈতিক। কেউ কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গুলি ও নির্যাতন করে মানুষ হত্যা করছে। বিডিআরের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে বিডিআর সতর্কাবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে।'

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার প্রতিটি গ্রামের মানুষই বিএসএফের নির্যাতনের আতঙ্কে ভুগছে। শিবগঞ্জ, ভোলাহাটসহ সীমান্তের বহু কৃষক বিএসএফের হুমকির কারণে চাষাবাদ করতে পারেন না। ভোলাহাট উপজেলার মহনন্দা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের কাজও বছরের পর বছর বন্ধ রাখতে হয়েছে একই কারণে। বিএসএএফের গুলিতে যারা নিহত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশই গরু ব্যবসায়ী অথবা কৃষক। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলা গরু ব্যবসায়ীরা বিএসএফকে 'ম্যানেজ' করে নিয়মিত গরু আনেন। 'ম্যানেজে' গরমিল হলেই গুলি চলে। তাদের নির্যাতনে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও অস্ত্র বা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা পড়ার ঘটনা বিরল।

বিডিআরের তথ্যানুযায়ী, ওই ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত পথের চোরাচালান প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার জন্য দুটি ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। এ জন্য সীমান্তে মোট ৩৫টি বিওপি স্থাপন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে ৮৭ কিলোমিটার এলাকা দেখাশোনা করে ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়ন। বাকিটুকুর দায়িত্বে আছে নওগাঁর ৪৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি বিওপিতে ১৫ থেকে ১৬ জন বিডিআর সদস্য থাকেন। ৮ ঘণ্টা করে দায়িত্ব ভাগ করলে প্রতিটি টহলে অংশ নিতে পারেন চার থেকে পাঁচজন। মাত্র চার-পাঁচজন সীমান্তরক্ষী দিয়ে এই বিশাল এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব হলেও লোকবল সমস্যার সমাধান হয়নি।

৩৯ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। বছরের প্রথম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে শিংনগর সীমান্তে। ১৭২ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে ৯ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে মারা যান তারাপুর সাহাপাড়া গ্রামের আবদুল কাইউমের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২৮ জানুয়ারি বিএসএফের চাঁদনীচক ক্যাম্পের জওয়ানদের গুলিতে মারা যায় শিবগঞ্জের বিশরশিয়া গ্রামের নরেন কর্মকারের ছেলে শ্যামল কর্মকার (২০)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ফতেপুর সীমান্তে ছত্রাজিতপুর বহালাবাড়ির মুকুল হোসেন (৪০), ২৩ মার্চ কিরণগঞ্জ সীমান্তের বিনোদপুরের একবারপুর গ্রামের তোজাম্মেল হক (৪২), ১২ এপ্রিল ওয়াহেদপুর সীমান্তে সূর্যনারায়ণপুরের কালুপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবু (৩৩), ১৪ জুন ফতেপুর সীমান্তে বাবুপুরের শ্যামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪০), ২১ জুন চৌকা সীমান্তে আজমতপুরের হাজারবিঘি গ্রামের রবু মিয়া (৪০), ১৬ আগস্ট শিংনগর সীমান্তে মনাকষার পারচৌকা গ্রামের ফটিক (৩০) ও পিয়ালিমারী গ্রামের ইসমাইল হোসেন ইউসুফ (২৫) বিএসএফের গুলিতে মারা যান। ৪ সেপ্টেম্বর মনোহরপুর সীমান্তে ডাকাতপাড়ার সাইদুর ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই সীমান্তে ঠুটাপাড়ার ফটিক (১৮) হন অমানসিক নির্যাতনের শিকার। ১১ বছরে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তেই ৬০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। গত বছরও অন্তত ১০ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের গুলিতে।

বিডিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সীমান্তে বিএসএফ যে আচরণ করছে, তা কোনোভাবেই সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না। তারা নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে, চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। বিএসএফের সামপ্রতিক নির্যাতন ও গুলির ঘটনায় বিডিআরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সীমান্তে সমপ্রীতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার ওয়দা ভেঙে গুলি চালাচ্ছে তারা।

Sunday, 5 September 2010

বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশীর মৃত্যু

Sun, Sep 5th, 2010 1:12 am BdST


চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সেপ্টেম্বর ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিএসএফ'র নির্যাতনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত সাইদুর (১৮) শিবগঞ্জ উপজেলার ডাকাতপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে তাকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। প্রচণ্ড মারধর করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। রাত ৮টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় পদ্মায় শনিবার নৌকায় বসে মাছ ধরছিলেন সাইদুর।

সাড়ে ১২টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার নিমতিতা ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা তাকে ধে নিয়ে যায়। প্রচণ্ড মারধর করে তাকে পদ্মায় ফেলে দেয়।

বিডিআরের সহযোগিতায় গ্রামবাসী ও স্বজনরা গুরুতর আহত সাইদুরকে দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ওই বিডিআর কর্মকর্তা আরো জানান, একইভাবে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিবগঞ্জের রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশী নাগরিক নুরুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায় বিএসএফ নিমতিতা ক্যাম্পের জরয়ানরা। এরপর পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।

পরে স্বজনরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/০০১৮ ঘ.

Saturday, 4 September 2010

কসবায় বিএসএফের গুলিতে কৃষক আহত

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৩-০৯-২০১০


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সুতারমুড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আনোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক কৃষক আহত হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন সুতারমুড়া গ্রামের আবদুল হাসেমের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নো-ম্যান্স-ল্যান্ডের ২০২৯ পিলারের কাছে জমি চাষ করতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে।

কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, গুলিতে আনোয়ার হোসেনের বুক ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

কসবা বিডিআর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার চান খান জানিয়েছেন, সীমান্ত স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো পতাকা বৈঠক হয়নি।

Friday, 27 August 2010

BSF kills cattle trader

A Correspondent, Benapole

A cattle trader was beaten to death by Indian Border Security Force (BSF) along the Putkhali frontier in Benapole early Wednesday.

The identity of the victim could not be known immediately.

BSF troops of Putkhali camp caught and beat the cattle trader mercilessly while he was returning home from India through the border, leaving him dead on the spot, BDR sources said.

Later, the BSF troops threw the body into the Ichhamoti river.

Indian police took away the body as it was floating on the Indian side of the river, the sources added.

A flag meeting was held between BDR men of Putkhali camp and BSF of Angrail camp in this regard, said Emdad Hossain, camp commander of 22 Rifles Battalion.

Wednesday, 25 August 2010

বিএসএফের বাধায় সড়কের উন্নয়নের কাজ আবার বন্ধ




কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-০৮-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তে চাতলাপুর স্থলবন্দরের সড়ক উন্নয়নের কাজ আবার বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, বিএসএফের বারবার বাধার কারণে সড়ক উন্নয়নের কার্যাদেশটি বাতিল হতে পারে।

গত রোব ও গতকাল সোমবার দুই দফা চাতলাপুর চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, স্থলবন্দরসংলগ্ন সড়ক উন্নয়নের পিচ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারিভাবে এ সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত করে উন্নয়ন করার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার মোসাদ্দেক আহমদ দরপত্র মোতাবেক কাজ শুরু করে প্রায় ২০০ ফুট রাস্তায় পাথর ও বালু বসিয়েছেন। গত ১০ দিনে বিএসএফের বাধায় ওই সড়কে আর পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা যায়নি।

সওজ কর্মকর্তা জানান, কয়েক দিন আগে বিডিআর ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সড়কটি ১৮ ফুটের স্থলে ১২ ফুট প্রশস্ত করার দাবি জানায়। বিডিআর রাজি হলে বিএসএফ নতুন করে দাবি জানায়, সড়কটি পুরোপুরি ১২ ফুট করতে হবে এবং রাস্তার পাশে অতিরিক্ত মাটির পথও থাকবে না। গত রোববার সকালে ঠিকাদার ১২ ফুট করে রাস্তার কাজ শুরু করলে বিএসএফের জোর বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই দিন বেলা দুইটার দিকে শ্রীমঙ্গলের ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অপারেশন) মেজর রাকিবুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মেজর রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তা নিয়ে রোববার চাতলাপুর চেকপোস্ট এলাকায় পতাকা বৈঠকে বিএসএফের মেজর প্রজিত চাকমা আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি। এর আগের বৈঠকে বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্যে একটি সমঝোতা হলেও বিএসএফ তা লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য দফায় দফায় বিএসএফের অন্যায় আপত্তির কারণে চাতলাপুর চেকপোস্ট-সংলগ্ন সড়ক উন্নয়ন কাজটি আবারও বন্ধ হয়ে গেছে।

সওজ কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিএসএফের এ ধরনের আচরণে শেষ পর্যন্ত সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কের উন্নয়ন কার্যাদেশ বাতিল করে দিতে পারে।

Wednesday, 18 August 2010

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ১৮-০৮-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সিংনগর সীমান্তের ওপারে গত সোমবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের পিয়ালীমারী গ্রামের ইসমাইল হোসেন (২২) ও পাড়চৌকা গ্রামের ফটিক (৩০)। আহত এরশাদ আলী (২৬) পিয়ালীমারী গ্রামের বাসিন্দা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জায়েদ হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে সিংনগর সীমান্তের ১৭২ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে গরু আনার সময় ভারতের ১৫১ বিএসএফের দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসমাইল ও ফটিক। এ সময় এরশাদের হাতেও গুলি লাগে। তিনি সীমানা পেরিয়ে গ্রামে এলে লোকজন তাঁকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বিডিআর কর্মকর্তা জায়েদ জানান, নিহত ব্যক্তিদের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে। গুলি করে হতাহত করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Tuesday, 10 August 2010

BSF frees five children including abducted 3

Indian Border Security Force (BSF) yesterday handed over five Bangladeshi children, including three abducted by BSF from Haripur border on July 23, to Bangladesh Rifles (BDR).

The handing over was done at a flag meeting held on the border adjoining Pirganj upazila in Thakurgaon near pillar No 340/3-S.

Deputy Commander of 2 Rifles Battalion Major Iftekhar led the Bangladesh side while Assistant Commandant of 20 BSF Battalion Dipak Kumer Mondal led the Indian side.

The returnees are Montu, 6, son of Mohammad Nazrul Islam, Raihan, 8, son of Atabuddin and Shetabul Islam, 8, son of Joynal of Minapur village under Haripur upazila, Krishna Barman, 15, and Anima, 12, children of Madan Lal of Dharmapur village under Thakurgaon Sadar upazila.

BSF picked up Montu, Raihan and Shebatul along with Pania, 15, son of Denial, and Mohammad Shahabuddin, 13, son of Abdul Kuddus -- all from bordering Minapur village, from Haripur border in Thakurgaon district on July 23 morning.

The five children had gone to bring fish from the low-lying area near border pillar No 354 under Haripur upazila where they had set nets, BDR and local sources said.

BSF released Montu, Raihan, and Shebatul but Pania and Shahabuddin were sent to jail following order by an Indian court, BSF sources said, adding that they have to serve minimum two years imprisonment.

Two other returnees -- Krishna and Anima were detained by BSF from Bothgaon border under Atwary upazila in Panchagarh district in 2007 when they were entering India with their parents.

Later Indian authorities released their parents but kept detained the two children as there were 'anomalies' in their papers.

Wednesday, 4 August 2010

BDR, BSF for peace along Sylhet borders

Staff Correspondent, Sylhet

Bangladesh Rifles (BDR) and Indian Border Security Force (BSF) at a battalion commander-level meeting at Dauki (opposite to Tamabil border) in the Indian state of Meghalaya yesterday agreed to maintain peace in border areas of Sylhet.

BDR 21 Battalion Commander Lt Col Khairul Kadir led the three-member Bangladesh team while Shekhor Gupta, the Commandant of 1 Battalion of BSF, Shillong, headed their four-member team.

Officials of both sides agreed to maintain peace in the region that has seen a tense situation for months, Col Kahirul Kadir said after his return from the meeting.

During the meeting that continued from 11:30pm to 3:15pm, BSF officials expressed sorrow for the recent unwanted incidents on the 20 kilometre Jaintapur-Tambil borders, he said.

"We had asked them to stop intrusion of the Khasia tribesmen into the Bangladesh territory and prevent them from farming here," Col Khairul said.

The borderland related disputes would be tabled in the upcoming meeting of the Joint Boundary Working Group, the meeting was told.

Unprovoked firing on the Bangladeshi civilians by the BSF and Indian Khasia tribesmen, attempt to occupy Bangladesh lands on Sripur, Jaintapur and Tamabil borders were discussed in the meeting, officials said.

The Indians assured their Bangladesh counterpart of taking measures to stop all sorts of unwanted activities in the border areas while both sides agreed to maintain status quo to ensure peace in the region, they added.

Other trans-border problems like smuggling and trespass also came up in the meeting that was held against the backdrop of troubles along the borders in Jaintapur, Tamabil, Sripur since February this year.

The Indian Khasia people aided by BSF had attempted to occupy some 300 acres of farms lands as well as some marshy land in Bangladesh territory on the said borders time and again. They even shot dead a few Bangladesh nationals and injured around a hundred others.

The BDR and BSF traded gunfire on five occasions, triggering panic among the inhabitants of the border villages.

The BSF also intruded into Bangladesh land and dug bunkers on Protappur and Sripur borders. However, they went back following protest by the BDR at a DG-level meeting in March.

The situation worsened again during the last few weeks as the Indian Khasias forcibly continued tilling over 30 acres of croplands inside Bangladesh territory on Amswapnapur, Minatila, Dibir Haor, Kathalbari and Albagan borders in Jaintapur.

Monday, 26 July 2010

5 kids abducted by BSF yet to be freed

Star National Desk

Five children, abducted by Indian Border Security Force (BSF) from Haripur border in Thakurgaon three days ago, were not released as of yesterday while Bangladesh Rifles (BDR) on Saturday sent back five Indian nationals who had been pushed into Bangladesh territory by BSF the same day.

Earlier Commanding Officer of 2, Rifles Battalion Lt Col Ershad Hossain told The Daily star that at a flag meeting on Friday evening, BSF officials assured releasing the five detained Bangladeshi children on completion of legal procedure within a day or two, reports our Thakurgaon correspondent.

At the flag meeting held on Haripur Border, BSF officials alleged that the Bangladeshi youth and children were cutting barbed wire on the border.

BSF abducted picked them up from Haripur Border under Haripur upazila in Thakurgaon district on Friday morning.

The victims are Pania, 18, son of Denial Islam, Mohammad Salauddin, 18, son of Abdul Kuddush, Mintu Miah, 5, son of late Nazrul Islam, Abdur Rahim, 8, son of Atauddin and Shetabul Islam, 10, son of Joynal Abedin of bordering Minapur village.

The children set nets in the low-lying areas near pillar No 354 on Haripur border on Thursday evening for fishing, BDR and local sources said. On Friday morning the five children went to the spot to bring fishes when BSF members from Moldakhanda BSF camp entered 'no man's land' and picked the five Bangladeshi children up.

Our Chapainawabganj Correspondent adds: BDR sent back five people of a Hindi speaking Indian family through the Rokonpur border of Gomostapur upazila in Chapainawabganj on Saturday night.

The Indians -- Elias Ali, 35, his wife Momtaj Begum, 31, two sons Fayez Ali, 14 and Intaj Ali, 5, and daughter Shahina, 2, had been pushed into Bangladesh by the BSF through Bangabari border of Gomostapur upazila at around 7:00am on Saturday.

They spoke Hindi and did not understand Bangla, BDR sources said, adding that earlier Delhi police arrested them from Nizamuddin Kaligate area.

Lt Col Fazlur Rahman, commanding officer of 43 Naogaon Rifles Battalion, confirmed the incident of sending back the five Indian nationals.

Saturday, 24 July 2010

BSF abducts 5 children from border

Our Correspondent, Thakurgaon

Indian Border Security Force (BSF) abducted five children from Haripur Border under Haripur upazila in Thakurgaon yesterday morning.

The victims are Pania, 15, son of Denial; Md Shahabuddin, 13, son of Abdul Kuddus; Montu, 6, son of Mohammad Nazrul Islam; Raihan, 8, son of Atabuddin and Shetabul Islam, 8, son of Joynal.

All the children are from Minapur village adjacent to the border.

BDR and local sources said the children set nets in the low-lying areas near on Haripur border Thursday evening for fishing.

On Friday morning around 6:30am the BSF members of Moldakhanda BSF camp entered no man's land and picked up the five children.

Acting Commander of BDR 2 Rifles Battalion Major Korishi told The Daily Star over mobile phone that they are corresponding with the BSF and asked them to attend a flag meeting.

BSF is yet to respond till filing of this report at 4:45pm.

পাঁচ শিশুকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ২৩-০৭-২০১০


চলছে বর্ষা মৌসুম। গ্রামগঞ্জে খাল-বিলে, নদী-নালা এখন কানায় কানায় পূর্ণ। আর বর্ষার এ পানিতে মাছ ধরার আনন্দে কখন যে একদল শিশু বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে নো ম্যানস ল্যান্ডে ঢুকে পড়ে তা তারা জানেই না। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কিছু জওয়ান টেনে-হিঁচড়ে পাঁচ শিশুকে ভারতীয় সিমান্তের ওপারে নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর গ্রামে।

ওই পাঁচ শিশু হলো উপজেলার সীমান্ত এলাকার মিনাপুর গ্রামের দেনিয়াল হকের ছেলে পানিয়া (১৫), কুদ্দুসের ছেলে শাহাবুদ্দীন (১৩), নজরুল ইসলামের ছেলে মন্টু (৭), আবতাব উদ্দীনের ছেলে রায়হান (৮) ও জয়নাল আবেদিনের ছেলে সেতাবুল ইসলাম (১০)

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পাঁচ শিশু সীমান্ত এলাকার জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য ফন্দি জাল পেতে বাড়ি ফিরে আসে। আজ শুক্রবার ভোরে তারা পেতে রাখা জালগুলো তুলতে যায়। সে সময় সীমান্তের ৩৫৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কাঁটাতার পেরিয়ে এসে পাটগাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানেরা হঠাত্ ঘিরে ফেলে তাদের। এরপর বিএসএফ জওয়ানেরা তাদের টেনে-হিঁচড়ে ওপারে নিয়ে য়ায়।

বিডিআরের হরিপুর সীমান্তের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ওই শিশুদের ছাড়িয়ে আনতে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অবশেষে বৈঠকে বিএসএফ আসেনি।

Sunday, 11 July 2010

দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের ‘গুলিতে’ বাংলাদেশি নিহত


স্বজনের দাবি পিটিয়ে হত্যা, দেড় বছরে নিহত ১১


দিনাজপুর অফিস | তারিখ: ১১-০৭-২০১০

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভাইগড় সীমান্তে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ‘গুলিতে’ এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত অকিম উদ্দিন (২০) একজন গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। অকিমের এক স্বজন অভিযোগ করেছেন, বিএসএফ সদস্যরা অকিমকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গুলি করা হয়।

এ নিয়ে গত দেড় বছরে দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১১ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে বিডিআর সূত্রে জানা গেছে। অকিম জোতবানী ইউনিয়নের চকশুলবন গ্রামের মরহুম কাফাতুল্লার ছোট ছেলে।

বিডিআরের ভাইগড় বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. আলী হোসেন বিএসএফের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে সীমান্তের ২৯১ নম্বর মেইন পিলারের ১৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকার ৩০০ গজ ভারতীয় সীমানায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে রাতে পালানোর সময় বিএসএফের ৫৭ ব্যাটালিয়নের ভীমপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অকিমের মৃত্যু হয় বলে বিএসএফ দাবি করেছে।

তবে নিহত অকিমের মামাতো ভাই স্থানীয় শৈলান গ্রামের মো. আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে জানান, অকিমসহ শৈলান গ্রামের পাঁচ ব্যবসায়ী সম্প্রতি গরু আনতে ভারতে যান। চার ব্যবসায়ী তাঁকে জানান, গরু কিনে বাংলাদেশে ফেরার সময় তাঁরা বিএসএফের সামনে পড়েন। চার ব্যবসায়ী দ্রুত সটকে নিরাপদ স্থানে আত্মগোপন করেন। হাতে গরুর রশি থাকায় অকিমের পালাতে দেরি হয়। পরে তিনি গরুর রশি ছেড়ে ভীমপুর ক্যাম্পের অধীন এলাকার এক বাড়িতে লুকিয়ে পড়েন। বিএসএফ সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে রাইফেলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই অকিমের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিএসএফ সদস্যরা অকিমের শরীরে গুলি করে হত্যা করেন। চার গরু ব্যবসায়ী পুরো ঘটনাটি দেখতে পান। পরে তাঁরা সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এসে ঘটনাটি জানান।
ভাইগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন জানান, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর পর গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় পতাকা বৈঠকে বিডিআরের কাছে লাশ ফেরত দিয়েছেন বিএসএফ সদস্যরা। কিন্তু লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেননি তাঁরা।

পতাকা বৈঠকের পর সন্ধ্যায় অকিমের লাশ বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক সাজুর কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে জোতবানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আহাদ মণ্ডলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন এসআই সাজুর বরাত দিয়ে জানান, নিহত অকিমের মাথার পেছনে ও পেটে দুটি বড় ক্ষতস্থান সেলাই করা আছে। এটা গুলির চিহ্ন, নাকি রাইফেলের বাঁটের আঘাত, তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। কারণ গুলি করা হলে তা শরীরের ভেতরে ঢুকে বের হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে বিডিআরের ফুলবাড়ী ৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আকরামুজ্জামান ঘটনার জন্য প্রথম আলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত গত দুই বছরে যত বৈঠক হয়েছে, প্রতিটি বৈঠকেই লিখিত সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনো পক্ষই গুলি করে মানুষ হত্যা করবে না। কিন্তু সদর উপজেলার খানপুর থেকে হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের সদস্যরা গত দেড় বছরে অকিম উদ্দিনসহ ১১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছেন।

Saturday, 10 July 2010

BSF kills 1

Star Online Report

Indian Border Security Force (BSF) gunned down a Bangladeshi cattle trader at Bhaigarh border in Birampur upazila of Dinajpur early Saturday.

The deceased was identified as Mohammad Akim Uddin, 18, son of late Kafat Ullah of Chawksulban village in the upazila, our Dinajpur correspondent reports.

BDR sources of Phulbari 40 Battalion said the BSF members from Sreerampur camp of India fire about three bullets toward Bangladesh territory and the victim died on the spot.

After the killing, BSF took away the body in the Indian Territory.

Meanwhile, BDR sent a protest letter to the BSF for the killing. They also urged its counterpart to return the body.

Friday, 9 July 2010

BDR-BSF accord to check border crimes

Our Correspondent, Satkhira

Bangladesh Rifles (BDR) and Indian Border Security Force (BSF) yesterday agreed to contain cross border crimes and other related issues through talks.

Border guards of two neighbouring countries reached at an agreement at a battalion commander level meeting held at Taki Camp in India yesterday.

Matters relating to killing and kidnapping innocent Bangladeshi nationals, smuggling of arms, explosives and drugs, cross border trafficking of women and children, insurgency, other criminal activities and confidence building measures came up during discussion.

During meeting, BDR alleged that BSF men kill Bangladeshi cattle traders along border areas off and on instead of arrest.

However, BSF officials showed positive attitude in resolving disputes through talks by holding flag meeting, a BDR official said.

Officials of both the border guards of Bangladesh and India agreed to resolve major disputes through discussion and by taking necessary measures on time.

Commanding Officer Lt Col Iqbal Azim of BDR 41 Rifles Battalion at Satkhira and BSF 18 Battalion Commanding Officer Ananta Singh led their respective teams.

Thursday, 8 July 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ০৮-০৭-২০১০


রাজশাহীর পবা উপজেলার চরমাঝাড় দিয়াড় সীমান্তে গতকাল বুধবার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ফারুক হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে।

জানা গেছে, ভোরে ফারুক (২৫) সীমান্তের মেইন পিলার ৬৫-র ১১-এফ পিলার অতিক্রম করে নো-ম্যানস ল্যান্ডে পৌঁছালে ভারতের কাহারপাড়া ফাঁড়ির বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

বিডিআর সূত্র জানায়, ভারতে ফারুকের আত্মীয়স্বজন রয়েছে। এ জন্য তিনি প্রায়ই ভারতে যাওয়া-আসা করতেন।
৩৭ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ জানান, লাশ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী | তারিখ: ০৭-০৭-২০১০


রাজশাহীর পবা উপজেলার চরমাঝাড় দিয়াড় সীমান্তে আজ বুধবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম ফারুক হোসেন (২৫)। তিনি রাজশাহীর রাজপাড়া থানাধীন কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বিডিআর সূত্র জানায়, আজ ভোরে ফারুক সীমান্তের মেইন পিলার ৬৫-এর ১১ এফ নম্বর পিলার দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ভারতের কাহারপাড়া ফাঁড়ির বিএসএফের গুলিতে মারা যান। পরে তাঁর লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। বিডিআর লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে।

Tuesday, 6 July 2010

BSF injures cattle trader

Our Correspondent, Satkhira

Indian Border Security Force (BSF) opened fire on a group of Bangladeshi cattle traders leaving one of them seriously injured on Baikari border in Sadar upazila on Saturday. Abul Bashar, 30, son of Abul Khair of Godaghata in the district was rescued by other cattle traders and admitted to Satkhira Sadar Hospital in a critical condition. The BSF men of Joynagar camp fired 10 gunshots at the cattle traders at 4:00am, BDR sources said. BDR authorities sent a letter to BSF protesting the incident, said 41 Rifles Battalion operations officer Major Jahangir.

Monday, 5 July 2010

জৈন্তাপুর সীমান্তে উত্তেজনা : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উদ্বেগ জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনারকে

নিজস্ব ও কূটনৈতিক প্রতিবেদক | তারিখ: ০৫-০৭-২০১০


সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে খাসিয়া ও বাংলাদেশিদের মধ্যকার উত্তেজনা দূর করে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিটার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন। পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিনি এ ব্যাপারে রজিত মিটারের কাছে ভারতের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। উত্তরে রজিত মিটার জানিয়েছেন, ভারত সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিকদের মধ্যকার উত্তেজনা দূর করতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করবে। এ ছাড়া আগামী রমজান মাসে সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ’ বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।

এদিকে জৈন্তাপুর সীমান্তসহ বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সম্প্রতি সিলেটসহ দেশের কয়েকটি সীমান্তে বিএসএফ বিনা উসকানিতে গোলাগুলিসহ নির্বিচারে যে ধরনের তত্পরতা চালাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে এ ধরনের তত্পরতা বন্ধ করে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির অনুরোধ জানানো হয়।

Sunday, 4 July 2010

7 Indians handed over to BSF

BDR arrests 13 Bangladeshis
Star National Desk

BDR handed over seven Indian nationals to BSF yesterday and arrested on Friday 13 Bangladeshis while returning from the neighbouring country without valid documents.

Bangladesh Rifles (BDR) yesterday handed over seven Indian nationals to Indian Border Security Force (BSF) on completion of prison terms, reports our Chapainawabganj correspondent.

The Indians were arrested by the law enforcers for intrusion. They are Govinda Mondal, 22, son of Pabitra Mondal of Mohongonj village under Raninagar police station, Khalilur Rahman, 47, son of Sefatullah Mondol, of Charmajardia under same PS, Sudhir Mondol, 37, son of Bholanath Mondol of the same village and PS, Kalpana Mondol, 40, son of Kuber Mondol of Mohongonj village of same PS, Abdus Salam alias Babu, 36, son of Abul Kalam of Budhurpara of the same PS, Shahidul, 21, son of Chamatkar of Tiktikipara and Mohammad Zasim, 22, son of Khazim of the same village under Zolongi PS of Murshidabad in West Bengal.

Didarul Alam, Jailer of Chapainawabganj District Jail said, prison terms of seven Indian citizens have been completed recently in Rajshahi Central Jail.

Later, Rajshahi Central Jail authorities sent them to Chapainawabganj District Jail on June 20. On completion of formalities, the BDR men handed them in presence of jail authority and police to BSF through Sonamasjid border yesterday noon.

Earlier, the law enforcers arrested them from different bordering villages in Rajshahi.

In Benapole, Jessore, a BDR patrol team arrested 13 Bangladeshis as they returned to country from India illegally early Friday, reports UNB.

BDR sources said, they were pushed back through Ghiba border late at night.

Following a top-off, the border guards raided that area and arrested them for returning to the country without valid documents. They were later handed over to Benapole port police.

The arrestees were identified as Selim Mollah, 42, Abu Hossain, 65, Sukkur Ali, 48, Abul Kalam Azad, 30, Amir Sheikh, 25, Monir Hossain, 27 and his son Momin, 6, Mosharraf Hossain, 22, Mohammad Ali, 60, Muntaz, 65, Miraj, 30, Zafor Mia, 25, and Alal Mridha, 30. They hailed from different districts of the country.

The arrestees said, they were working in different parts of India illegally since long but in the face of stringent police action against the intruders recently they returned to the country with the help of some Indian manpower brokers and BSF men.

গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ সতর্ক অবস্থানে




গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৭-২০১০


সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উভয় বাহিনী।

এক সপ্তাহ ধরে বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশি সীমান্তের ৩০০ গজ অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে চাষাবাদ করছে বলে খবর রয়েছে। গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্ত, সংগ্রাম সীমান্ত, প্রতাবপুর ও বিছনাকান্দি সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ। সীমান্ত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।’

জানা যায়, গত শুক্রবার গোয়াইনঘাটের পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান ও মিনাটিলার ১২৭০ নম্বর সীমান্ত পিলার দিয়ে প্রবেশ করে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ শুরু করে ভারতীয়রা। বিডিআর বাঁশি বাজিয়ে ও পতাকা উড়িয়ে সতর্ক অবস্থা জারি করলেও প্রথমে তারা তা মানেনি।

বিডিআরের ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।’

Monday, 28 June 2010

বিডিআর-বিএসএফ মতৈক্য

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে গতকাল শনিবার সকালে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পে এই বৈঠক হয়।

সাতক্ষীরা ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন কর্মকর্তা মেজর জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে জানান, সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের খাল খনন, সীমান্তের বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সীমান্তের ভারতের পাশে সড়ক নির্মাণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ এবং অকারণে বাংলাদেশিদের ওপর গুলি বর্ষণ না করার বিষয়ে উভয় পক্ষ মতৈক্যে পৌঁছেছে।

Friday, 25 June 2010

BDR, BSF promise to keep border peaceful

Staff Correspondent, Sylhet

A high-level meeting between the border security forces of Bangladesh and India yesterday decided to maintain normal and peaceful atmosphere on the border of the two neighbouring countries.

The Border Security Force (BSF) officials also regretted the recent unwanted incidents on the 17-km Jaintapur-Tamabil borders, said Deputy Director General (DDG) of Bangladesh Rifles (BDR) Brigadier General Obaidul Haque on his return from Indian state of Meghalaya to Tamabil check post here in the evening.

The five-hour DDG-level meeting between BDR and its Indian counterpart BSF was held at Dauki, opposite to Tamabil.

BDR DDG Brigadier General Obaidul Haque led the 8-member Bangladesh team that included Sector Commander of Sylhet Col Neamul Islam Fatemi and Sector Commander of Rangpur Col Khairuzzaman.

The irritants like trading of gunfire between the border forces on the troubled Tamabil-Jaintapur border, reinforcement of the BSF troops, intrusion of BSF and Indian civilians into Bangladesh territory, obstructing Bangladeshi farmers inside Bangladeshi territory featured in the meeting, the DDG said.

BSF Inspector General of Assam-Meghalaya Frontier RC Saxena led the 9-men Indian team at the meeting. The other members included DIGs K Srinibasan, Rabi Gandhi and Mridul Sonwal and Sector Commander of Guwahati JC Pandey.

Unprovoked firing on the Bangladeshi civilians by the BSF and Indian Khasia tribesmen, attempt to occupy Bangladesh lands in Sripur, Jaintapur and Tamabil border areas dominated the issues.

The Indian team assured of taking measures to stop all sorts of unwanted activities on the borders while both sides agreed to maintain status quo with a view to ensuring peace in the region, Brigadier Obaidul said.

Other trans-border problems like smuggling, illegal trespass etc were also discussed at the meeting.

The meeting took place in the wake of troubles along the borders in Jaintapur, Tamabil, Sripur borders since February this year.

Tuesday, 22 June 2010

ঝিনাইদহে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২১-০৬-২০১০

ঝিনাইদহের মহেশপুরসংলগ্ন ভারত সীমান্তে আজ সোমবার ভোররাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাহার আলী (২৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আলতাফ হোসেন (২৮) নামের আরেক বাংলাদেশি।

নিহত বাহার ও আহত আলতাফের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার লড়াইঘাট গ্রামে।

যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাফ হোসেন জানান, তাঁরা গরু ব্যবসায়ী। রোববার তাঁরা গরু আনতে ভারতে যান। গরু কিনতে না পেরে তাঁরা ভোররাতে মহেশপুর উপজেলার শ্রীনাথপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সীমান্তের ৭ নম্বর পিলারের কাছে এলে বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

বিডিআরের চুয়াডাঙ্গা ৩৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সুলতান আহম্মদ জানান, নিহতের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে। লাশ ফেরত দিতে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Friday, 18 June 2010

পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে বিডিআরের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ১৭-০৬-২০১০


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পাদুয়া থেকে জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সীমান্তে অর্ধশত পরিখা খনন করে ভারী অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত মঙ্গলবার গুলিবিনিময়ের ঘটনার পর বিএসএফ পরিখা খনন করে ভারী অস্ত্রশস্ত্রও মজুদ রেখেছে সীমান্তে

এদিকে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) জওয়ানরাও পরিখা খনন করে ভারী অস্ত্রসহ সীমান্তের কাছাকাছি সতর্কাবস্থায় রয়েছেন। এ অবস্থায় গতকাল বুধবারও সীমান্তের গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিডিআর সূত্র জানায়, গতকাল পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএসএফ এ ব্যাপারে বিডিআরকে কোনো জবাব দেয়নি। বিডিআর ২১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম জানান, জৈন্তাপুর সীমান্তে পিলার দিয়ে উভয় দেশের সীমান্ত ভাগ করা হয়েছে। তার পরও কয়েক দিন পরপর বিএসএফ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ভারতীয় খাসিয়াদের পাঠিয়ে চাষাবাদ ও মাছ ধরার চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিএসএফ কিছু জানায়নি।

গত মঙ্গলবার বিএসএফের অতর্কিত গুলিবর্ষণে দুই গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। আহত ব্যক্তিদের বিডিআরের তত্ত্বাবধানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Wednesday, 16 June 2010

দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ : সিলেট সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ গুলিবিনিময়



নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি | তারিখ: ১৬-০৬-২০১০


সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার পাঁচটি সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। ওই সব সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে ঢুকে চাষাবাদের চেষ্টা করায় গুলিবিনিময়ের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ এবং আরও একজন আহত হয়েছে। সীমান্তের ওপারে বিএসএফ নতুন নতুন পরিখা খনন করে ভারী অস্ত্র মজুদ করায় বিডিআরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর, নলজুড়ী, মিনাটিলা ও গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ও পাদুয়া সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি ভূখণ্ডের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে ঢুকে ট্রাক্টর নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে ভারতীয় খাসিয়ারা। বিডিআর সদস্যরা তাদের বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে তারা চাষাবাদ করতে থাকে। একপর্যায়ে বিডিআর লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশনা দেয়। লাল পতাকা দেখে সীমান্তের ওপার থেকে বিএসএফ গুলি শুরু করলে বিডিআরও পাল্টা গুলি চালায়। দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী উভয় পক্ষে কয়েক হাজার গুলিবিনিময় হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ সময় নলজুড়ী সীমান্তে দুজন গুলিবিদ্ধ এবং একজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ খাসিয়ার হাওর এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল জলিল (৩৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একই এলাকার খোকন মিয়াকে (৩৬) জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএসএফ ওপারে টহল অব্যাহত রাখায় বিডিআরও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ১২৮৯ পিলার-সংলগ্ন খাসিয়া হাওর ও নলজুড়ীর এলাকা থেকে সীমান্তের ডিবির হাওর পর্যন্ত বিএসএফ অর্ধশতাধিক পরিখা খনন করে অবস্থান নিয়েছে বলে বিডিআর সূত্র জানিয়েছে।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম সীমান্তে গোলাগুলি ও দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। বিডিআর সহনশীল মনোভাব নিয়ে সতর্ক রয়েছে।’
বিডিআরের বিভিন্ন ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, ওই সব সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে পতিত জমি রয়েছে। সীমান্তের ওপারে ভারতের আলুবাগান খাসিয়া বস্তির লোকজন বারবার ওই সব জমিতে চাষাবাদের চেষ্টা করছে।

বিএসএফের সহযোগিতায় তারা এ কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগের দিন সোমবারও জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে চাষাবাদের চেষ্টা করে ভারতীয় খাসিয়ারা।

Tuesday, 15 June 2010

বিএসএফের গুলিতে শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি | তারিখ: ১৫-০৬-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (২৮)। তিনি ফতেপুর গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (বিডিআর) মেজর নজরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে গরু ব্যবসায়ী শফিকুল ফতেপুর সীমান্তের ১৩ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় বিএসএফের সাবঘাটি ক্যাম্পের জোয়ানরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই শফিকুল মারা যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যান।

মেজর নজরুল আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ১৪-০৬-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সীমান্তে গতকাল রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সফিকুল ইসলাম (২৮)। তাঁর বাড়ি শ্যামপুর গ্রামে। তিনি গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক সীমানার এক হাজার গজ ভেতরে ভারতীয় অংশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সীমান্তের ১৩ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু আনতে যাওয়ার সময় ১৫১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাবঘাঁটি ক্যাম্পের জওয়ানেরা সফিকুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে। বিডিআর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে।

Monday, 14 June 2010

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ১৪-০৬-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সীমান্তে গতকাল রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সফিকুল ইসলাম (২৮)। তাঁর বাড়ি শ্যামপুর গ্রামে। তিনি গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক সীমানার এক হাজার গজ ভেতরে ভারতীয় অংশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সীমান্তের ১৩ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু আনতে যাওয়ার সময় ১৫১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাবঘাঁটি ক্যাম্পের জওয়ানেরা সফিকুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে। বিডিআর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে।

Thursday, 10 June 2010

বিএসএফের গুলিতে পাঁচবিবি সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত



পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ১০-০৬-২০১০


জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা সীমান্তে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. শামীম (৩২)। বাড়ি হাটখোলা গ্রামে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সূত্রে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী শামীম রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাটখোলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসছিলেন। চিরি নদী পার হওয়ার সময় বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাটখোলা বিওপি (বিডিআর ক্যাম্প) নিকটবর্তী বিএসএফের সিদাই ক্যাম্পে চিঠি পাঠায়। এরপর উভয় বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাল বুধবার হাটখোলা সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেন।

Wednesday, 9 June 2010

পাঁচবিবি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৯-০৬-২০১০


জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. শামীম (৩২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত শামীম উপজেলার হাটখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিডিআর প্রতিবাদ জানালে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আজ হাটখোলা সীমান্তে পতাকা বৈঠকে মিলিত হন।

বিডিআর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার শামীম হাটখোলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার পথে চিরি নদী পার হওয়ার সময় বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শামীম নিহত হন।
বিডিআর সীমান্তের মেইন পিলার নাম্বার ২৮০, সাব-পিলার ৪-৫ নম্বরের মাঝামাঝি জিরো পয়েন্টের ১০ গজ দূরে বাংলাদেশের সীমানা থেকে নিহত শামীমের লাশ উদ্ধার করে।

বিএসএফের গুলির ঘটনার পর বাংলাদেশ বিডিআর কোনো গুলি ছোড়েনি। তবে এ ঘটনায় বিডিআর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ দুই দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা হাটখোলা সীমান্তে পতাকা বৈঠকে মিলিত হন।

এ বৈঠকে বাংলাদেশ বিডিআরের জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন ও ভারতের বিএসএফের পক্ষে কমান্ড্যান্ট অলক কুমার নেতৃত্ব দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পতাকা-বৈঠক অব্যাহত ছিল বলে লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।

Sunday, 6 June 2010

BDR protests BSF work on Padua border

Staff Correspondent, Sylhet

Indian Border Security Force's attempt at constructing a concrete structure triggers tension as Bangladesh Rifles protests by hoisting red flags on the Tamabil and Padua borders in Sylhet on Thursday.

The border guards of both sides sat at a flag meeting on Padua border, about 7 kilometers off Tamabil on Friday afternoon.

Second-in-command of 21 Battalion of BDR Major Mamun and second-in-command of Battalion -1 of BSF at Shillong SG Shukla led their respective sides in the one hour meeting.

Sources said Indian BSF guards brought some construction raw materials near border pillar 1275/1P and started building a concrete structure, close to the Tamabil land port 55km away from the city at about 4:00pm Thursday, prompting BDR to protest.

Major Mamun said the BDR had to hoist red flags as a sign of protest as any construction within 150 yards of the border line is prohibited. The Indian BSF had already moved within 120 yards of the border. Red flag is the ultimate signal before firing which compelled BSF to halt the construction work.

“We also asked them not to create obstacles for Bangladeshi nationals working on the farmlands, by the Padua borders, as our troops are still alert” Mamun said. Some Indian nationals protected by the BSF were attempting to grab those farmlands, he added.

Border guards of both the countries have been on alert at Tamabil and Padua borders since Thursday afternoon.

Tuesday, 1 June 2010

শার্শা সীমান্তে ইছামতী খনন সাময়িক বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ৩১-০৫-২০১০

যশোরের শার্শা উপজেলা সীমান্তে ইছামতী নদীর খনন সাময়িক বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সাতক্ষীরার ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের গোগা ক্যাম্পের সুবেদার মুজিবর রহমান জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বিডিআরের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে শার্শা উপজেলার গোগা সীমান্তে একতরফাভাবে ইছামতী নদী খনন শুরু করে। এ ঘটনায় বিডিআর খননকাজে বাধা দেয়। পরে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে ভারতের পিপলি বিএসএফ ক্যাম্পে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।

Sunday, 23 May 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম | তারিখ: ২৩-০৫-২০১০


কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে গতকাল শনিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আফসার (২৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় গ্রামে।

Saturday, 15 May 2010

পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ: বিছনাকান্দি সীমান্তে সেই যুবকের মৃত্যু হয় বিএসএফের গুলিতে




নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ১৪-০৫-২০১০

সিলেটের বিছনাকান্দি সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক জামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের তামাবিল এলাকায় বিডিআরের সঙ্গে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ কথা স্বীকার করে ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। গত সোমবার গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্তে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জামাল উদ্দিনকে কারা গুলি করেছে—বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালায়।

বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম ও বিএসএফের পক্ষে বিএসএফ ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখর গুপ্ত নেতৃত্ব দেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মামুন ও বিএসএফ ১ ব্যাটালিয়নের একজন স্টাফ অফিসার।

লে. কর্নেল জহিরুল আলম জানান, যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

Tuesday, 27 April 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | তারিখ: ২৭-০৪-২০১০


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম (২০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার উত্তর দাউদ গ্রামে। তাঁর লাশ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে। দাউদপুর ক্যাম্পের বিডিআরের নায়েব সুবেদার আবদুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার পথে বিএসএফ শহিদুলকে গুলি করে।

Monday, 26 April 2010

বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | তারিখ: ২৫-০৪-২০১০

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্ত থেকে শাহীন আলম (১৮) নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে অপহরণ করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে সীমান্তসংলগ্ন মাঠে গরু চরাতে গেলে ভারতের গেদে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এর কিছুক্ষণ পরে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে শুভংকর (২৫) নামে ভারতীয় এক যুবককে আটক করে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) জওয়ানেরা। এ দুটি ঘটনার পর সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশি নাগরিককে অপহরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও অপহূত শাহীনকে ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Sunday, 4 April 2010

সাতক্ষীরায় পতাকা বৈঠক : আলোচনা ছাড়া সীমান্তে খাল খনন করবে না বিএসএফ



নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ০৪-০৪-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আশ্বাস দিয়েছে, আলোচনা ছাড়া দুই দেশের নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে খাল খননসহ কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করবে না। আশ্বাস দিয়েছে, সীমান্তে গুলি করে হত্যা করবে না কোনো বাংলাদেশিকে। গতকাল শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলদঘাটা জিরো পয়েন্টে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।

সাতক্ষীরার ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের বৈকারী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ওমর ফারুক জানান, গত শুক্রবার সকালে বৈকারী সীমান্তে কালিয়ানী নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে বিএসএফের সদস্যরা খাল খনন করেন। বিডিআরের বাধার মুখে একপর্যায়ে তাঁরা খনন বন্ধ করতে বাধ্য হন। এর আগে শুক্রবার ভোরে বিএসএফের সদস্যরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের মো. সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে বিডিআরের পক্ষ থেকে ভারতের ৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নে চিঠি পাঠানো হয়। এ চিঠিতে সাড়া দিয়ে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।

সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে সাতক্ষীরা ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইকবাল আজিমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ-অধিনায়ক মেজর শামিম রেজা, ক্যাপ্টেন মাহবুব আলী, সুবেদার আকবর ও নায়েব সুবেদার ওমর ফারুক। বিএসএফের পক্ষে ৯৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট আনন্দ সিংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন কৈজুরী ক্যাম্পের পরিদর্শক এস কে শর্মা, গোবরদা ক্যাম্পের কমান্ডার করণী পাল।

বিডিআরের কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, পতাকা বৈঠকে বিডিআরের পক্ষ থেকে কালিয়ানী নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে জোর করে খাল খনন এবং কোনো কারণ ছাড়াই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে তারা আশ্বাস দেয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। তারা জানায়, আলোচনা ছাড়া দুই দেশের নো-ম্যান্স-ল্যান্ডের মধ্যে খাল খননসহ কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করবে না।

বৈঠকে উভয় পক্ষ চোরাচালানি ও মাদক পাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করা এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা করে।

Saturday, 3 April 2010

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের খাল খনন, পরে বন্ধ

বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ০৩-০৪-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা গতকাল শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্তের নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে খাল খনন করেন। একপর্যায়ে বিডিআর সদস্যদের বাধার মুখে খনন বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিএসএফ।

এর আগে একই সীমান্তে সদর উপজেলার বলদঘাটা গ্রামে গতকাল ভোরে সাইফুল্লাহ গাইন (৩০) নামের এক বাংলাদেশি গরু রাখালের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় বিডিআর সদস্যরা জানান, ওপারে বশিরহাটের গোবরদা এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে বিএসএফ তাঁর লাশ বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে রেখে যায়।

নিহত সাইফুল্লাহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের আবদুল সাত্তার গাইনের ছেলে।

জানতে চাইলে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজের দেশে বাংলাদেশিকে হত্যার পর বিএসএফ তাঁর (সাইফুল্লাহ) মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেলে গেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিডিআরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিএসএফকে জানানো হবে।

বৈকারী সীমান্তের গ্রামবাসী ও বিডিআর সূত্র জানায়, শতাধিক বিএসএফ সদস্য ও ভারতের দুই শতাধিক শ্রমিক সকাল সাড়ে আটটার দিকে সীমান্তের কালিয়ানী এলাকায় যায়। তারা মেইন পিলার ৮-এর সাব-পিলার ২৭-এর পাশের নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে শুকিয়ে যাওয়া ডুরার খাল কাটা শুরু করে। বিষয়টি দেখে সদর উপজেলার বৈকারী ক্যাম্পের বিডিআর সদস্যরা বিএসএফের কাছে আপত্তি জানান। কিন্তু বিএসএফ সদস্যরা খাল থেকে মাটি কাটা অব্যাহত রাখেন। সকাল নয়টার দিকে বিডিআর সদস্যরা আলোচনার জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান করে ভারতের বসিরহাট মহকুমার কৈজুরী বিএসএফ ক্যাম্পে বার্তা পাঠান। বিএসএফ সদস্যরা তাতেও সাড়া দেননি। এর আধঘণ্টা পর বিডিআর সদস্যদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক করে লাল পতাকা তোলা হয়। বিএসএফ সদস্যরা তখন মাটি কাটা বন্ধ করে ওই স্থানে অবস্থান নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা মাটি কাটা শ্রমিকদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে বিডিআর সদস্যরা লাল পতাকা নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় সীমান্তের গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাইফুল্লাহর লাশ উদ্ধার প্রসঙ্গে বৈকারী গ্রামের গ্রামপুলিশ মো. গয়েছউদ্দিন জানান, ভোর চারটার দিকে সীমান্তে একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এর আধঘণ্টা পর বলদঘাটা গ্রামের নছর আলী চৌকিদারের পুকুর পাড়ে সাইফুল্লাহর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গয়েছউদ্দিনের ধারণা, বিএসএফ সদস্যরা সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করলে তাঁর সঙ্গীরা লাশ ভারত থেকে বাংলাদেশে এনেছে।

সাইফুল্লাহর স্ত্রী রাশিদা খাতুন জানান, তাঁর স্বামী গত বুধবার গরু আনতে ভারতে যান।

সাতক্ষীরা ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের বৈকারী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ওমর হোসেন দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিডিআর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে আলোচনা ছাড়া কোনো অবস্থায় বেআইনিভাবে খাল থেকে মাটি কাটতে দেওয়া হবে না।

বিডিআর কর্মকর্তা দাবি করেন, খাল কাটার জন্য বিডিআর সদস্যদের নজর অন্যদিকে রাখতে সাইফুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন বিএসএফ সদস্যরা।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, সাইফুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তাঁর স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Wednesday, 24 March 2010

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




লালমনিরহাট প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-০৩-২০১০


লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানী সীমান্তে গত সোমবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মনোরঞ্জন মণ্ডল (৩০)।

জাওরানী সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর-৯১২ ও সাব-পিলার নম্বর-৩-এর কাছে খামারবাড়ী গ্রামের বিপরীতে ভারতীয় গ্রাম কাতাইবাড়ী এলাকায় মনোরঞ্জনকে বিএসএফের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে যান।

হাতীবান্ধার দইখাওয়া বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমির জানান, সম্ভবত অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে মনোরঞ্জন মারা যান। নিহত মনোরঞ্জনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খোলাপাড়া বালিগাঁও গ্রামে। তিনি পেশায় একজন দর্জি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে তাঁর বোন থাকেন।

Tuesday, 16 March 2010

বিডিআর-বিএসএফ পতাকা বৈঠক : জৈন্তাপুর সীমান্ত কেউ ব্যবহার করবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি | তারিখ: ১৫-০৩-২০১০

বিডিআর-বিএসএফের পরবর্তী উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগ পর্যন্ত কেউ সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছে বিডিআর। আজ সোমবার বিকেলে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।

বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত জাফলং পার্শ্ববর্তী তামাবিল সীমান্তে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ২১ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জহিরুল আলম আর বিএসএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন শিলং বিএসএফ ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্নেল শেখর গুপ্ত।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, সীমান্তে এখন থেকে বিরোধপূর্ণ যে জায়গা রয়েছে, সেখানে বিএসএফ আর আগ্রাসী ভূমিকা পালন করবে না। বিডিআর-বিএসএফ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে।

এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁদের কাছে জানতে চান আগেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলা হয়েছিল, এর পরও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এর জবাবে জহিরুল আলম বলেন, আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার দুপুরে জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে মাছধরাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় খাসিয়া ও বাংলাদেশিদের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালায়।

Monday, 15 March 2010

15 wounded in BSF firing

Villagers flee for safety as over 1,000 gunshots traded on Jaintapur border in Sylhet; offensives after Delhi meeting shock BDR chief
Star Report



(Top) People who were injured in Indian Border Security Force (BSF) firing near Jaintapur border in Sylhet were admitted to the Jaintapur Upazila Health Complex. (Right) A deserted hut in the area as the villagers fled their homes. Photo: STAR

Bangladesh Rifles and the Indian Border Security Force traded gunfire for around three hours yesterday after the latter crossed the Jaintapur border in Sylhet and shot at the locals.

At least 15 villagers were injured in the BSF firing, reports our staff correspondent from Sylhet.

The border troops from either side fired over a thousand shots, forcing the villagers to flee their homes, said witnesses.

The skirmish took place a day after BSF intruded into Bangladesh, dug bunkers and retreated following a flag meeting.

Only three days back, the Indian frontier force assured their Bangladesh counterpart of no more shooting at the civilians in the border areas. The assurance came when directors general of the two forces met in New Delhi.

Some 40 Indians entered the Bangladesh territory through Muktapur-Jaintapur at around 10:30am.

An hour later, they were joined by a hundred more. Backed by the Indian guards, they attempted to erect bamboo huts at Mandir Tila in Dibir Haor area, about 300 yards off the no-man's land.

A fight ensued when the villagers asked the intruders to leave. Hurling stones, the two sides chased each other for an hour.

At around 2:00pm, BSF opened fire on the villagers and the BDR personnel.

Bangladesh border guards shot back at them, leading to a gunfight that continued till the Indians retreated at around 4:45pm.

Lieutenant Colonel Zahirul Alam, commanding officer of 21 Rifle Battalion in Sylhet, said the attack on the villagers was premeditated. Alongside BSF jawans, Indian Khasias took part in it.

He however could not confirm the number of shots exchanged.

Talking to The Daily Star last night, BDR Director General Major Gen Md Mainul Islam termed the incidents "very regrettable”.

He said BSF stopped firing after BDR contacted the Indian side.

He observed the decisions taken at the recent meet do not seem to have been communicated to the BSF ranks at the grassroots level.

Gen Mainul stressed the need for the joint boundary working group to meet immediately to prevent a flare-up.

Of the injured, Abul Kalam, 35, was admitted to Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital.

The others--Sumon 25, Abdur Rahman, 30, Mohammad Russell, 20, Ram, 25, Matin Miah, 30, Abdur Rahim, 40, Solaiman Miah, 80, Abdul Halim, 40, Mashuk,35, Sabbir Ahmed, Mokbul Ali, 26, Monir Hossain, 25, Kabir Ahmed, 22 and Akkel Ali--were taken to Jaintapur upazila health complex.

Most of those wounded hail from Dibir Haor, Ghilatail, Naljur and Fulbari areas.

The situation along the Jaintapur border has been tense since early February.

Indians have lately made several attempts to occupy land in Dibir Haor and Kendra Beel areas.

On February 4, BSF abducted nayek Mujibur Rahman from Dibir Haor. They returned him after a flag meeting on the Tamabil frontier.

But on February 14, the Indian border force shot and injured three Bangladeshis.

They fired at the villagers again on February 26 and 28.

Sunday, 14 March 2010

BSF digs 25 bunkers inside Bangladesh

Retreats after 19 hours following border talks
Staff Correspondent, Sylhet

Indian Border Security Force dug 25 bunkers following an overnight intrusion into Bangladesh territory through Padua-Protappur border in Gowainghat upazila of Sylhet and retreated yesterday afternoon after 19 hours.

The BSF's retreat from about 100-yard inside the international border came after an emergency flag meeting with Bangladesh Rifles from 1:30pm to 3:30pm on 'no man's land' at Padua-Protappur amidst tension prevailing since Friday night.

Lt Colonel Zahirul Alam, commanding officer of 21 Battalion of BDR, Sylhet, who led the BDR team at the meeting, told The Daily Star at 5:40pm yesterday, "BSF started retreating from the position they took inside Bangladesh territory on Friday. They had already left the bunkers."

BSF commanding officer of Battalion-1, Shillong, S Shekhor led the Indian side at the meeting.

A sector commander-level flag meeting between the BDR and BSF would be held soon to settle the ongoing trouble on Jaintapur, Tamabil and Padua borders, Zahirul said.

Earlier, around 9:00pm on Friday BSF trespassed into Bangladesh territory through border pillars No 1270 and 1271 and dug 25 bunkers while BDR took position in the nearby area and dug eight bunkers.

"We raised strong protests in the meeting and asked them to retreat to their previous position in line with the decision taken in September 2009", said Zahirul Alam adding that the BSF agreed to leave.

Colonel Alam also said that according to a joint decision taken in September 2009, the BSF and BDR had kept themselves at a distance of 200 yards from Padua-Protappur border.

Meanwhile, BDR on Thursday handed over an Indian to BSF, who intruded into Bangladesh through Padua border on the previous day. The BSF also returned a Bangladeshi, held by them from zero line along the same border the same day.

সিলেটে পরিখা খনন করে বিএসএফ ও বিডিআর মুখোমুখি

পতাকা-বৈঠকের পর শান্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি | তারিখ: ১৪-০৩-২০১০


সিলেটের পদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) ও বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদস্যরা পরিখা খনন করে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল শনিবার দুপুরে বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা-বৈঠকের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং এলাকার পদুয়া সীমান্তে ১০ মার্চ আবদুল জলিল নামের পদুয়া এলাকার এক কৃষককে তাঁর কৃষি জমি থেকে বিএসএফ ধরে ওপারে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে পতাকা-বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশিকে বিডিআর ফিরিয়ে আনে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিএসএফ এই সীমান্তের শূন্য রেখায় বিচরণ শুরু করে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে পদুয়ার পান্তুমাই বাঁশ বাগানের কাছে ১২৭০-৩ এস পিলারের আশপাশে বিএসএফ ২০ থেকে ২৫টি পরিখা খনন করে অবস্থান নেয়। বিএসএফের পরিখা পর্যবেক্ষণ করে বিডিআরও শুক্রবার রাতে সমসংখ্যক পরিখা খনন করে সতর্ক অবস্থান নেয়।

পদুয়ার পান্তুমাই গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওপারে বিএসএফ পরিখা খনন করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করে। প্রতিটি পরিখায় তিন থেকে চারজন করে বিএসএফ সদস্য অবস্থান নেন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিডিআর পরিখা খনন করে একইভাবে অবস্থান নিলে আশপাশের গ্রামে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, বিএসএফের পরিখা খনন দেখে রীতিমতো যুদ্ধের আতঙ্ক দেখা দেয়। বিডিআর সতর্কতার সঙ্গে শুক্রবার রাতেই পরিখা খনন শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এতে সহযোগিতা করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা ছিল। দুপুর থেকে পতাকা-বৈঠক শুরু হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। দুপুর একটা ৩০ মিনিটে পতাকা-বৈঠক শুরু হয়। বিকেল সাড়ে তিনটায় তা শেষ হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা জানান, পদুয়া সীমান্তে জমি নিয়ে বিডিআর-বিএসএফের বিরোধ শুরু হলে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে অধিনায়ক পর্যায়ে একাধিক পতাকা-বৈঠকের পর একটি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তটি হচ্ছে, পদুয়ায় ১২৭০-৩ এস পিলারের কাছে একটি জিরো লাইন চিহ্নিত করে উভয় পক্ষ এর ২০০ গজ অভ্যন্তরে না ঢোকা। বিএসএফ এই নিয়ম লঙ্ঘন করে। গতকাল পতাকা-বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর বিএসএফ পরিখা থেকে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।

পতাকা-বৈঠকে বিডিআরের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার জহিরুল আলম প্রথম আলোকে জানান, পতাকা-বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক শেখর গুপ্ত। তাঁকে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে তাঁরা পরিখা থেকে সরে যেতে সম্মত হন। জহিরুল আলম জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

Saturday, 13 March 2010

গোয়াইনঘাটে পতাকা বৈঠক শেষে পরিস্থিতি শান্ত




গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি | তারিখ: ১৩-০৩-২০১০


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর ও পাদুয়া সীমান্তে আজ শনিবার বিডিআর-বিএসএফের মুখোমুখি অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিডিআর-বিএসএফের মধ্যকার পতাকা বৈঠকটি কিছুক্ষণ আগে শেষ হয়েছে।
এই পতাকা বৈঠকে বিডিআর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিলেট ২১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্নেল জহিরুল হক।

বৈঠকে সিলেটের গোয়াইনঘাটের প্রতাপপুর ও পাদুয়া বিরোধপূর্ণ ভূমিতে বিএসএফের অগ্রবর্তী অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে বিএসএফ সরে গিয়ে আগের জায়গায় অবস্থান নেবে এবং উচ্চপর্যায়ের অনুমোদন ছাড়া পুনরায় বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। এই পতাকা বৈঠক শেষে গোয়াইনঘাট সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।

উল্লেখ্য, আজ শনিবার ভোর থেকে গোয়াইনঘাটের প্রতাপপুর ও পাদুয়া সীমান্তে বিডিআর ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর ১২৭০ ও ১২৭১ নম্বর পিলার অতিক্রম করে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করে নেয়। ওই জায়গায় তারা বাংকার খনন করে। বিডিআরও বাংকার খনন করে।

Friday, 12 March 2010

BDR, BSF to sign 'Joint Record of Discussions' today

Pallab Bhattacharya, New Delhi

The border guards of Bangladesh and India sign the "Joint Record of Discussions" here today, culminating the annual summit-level talks, amidst expectations that each side will seek to address other's main concerns.

The document will be signed at a function by visiting BDR Director General Maj Gen Mainul Islam and his BSF counterpart Raman Srivastava at the latter's headquarters at 10:00 am. It will be followed by a joint press conference.

The Joint Record of Discussions is likely to record that no innocent life should be lost at the border due to the guards' actions as such a development was totally unacceptable because this involves local civilian populations.

It is also likely to bring out Bangladesh's willingness to motivate its people not to undertake any act, which may force BSF to take tough measures.

The Joint Record of Discussions is likely to suggest maintaining status quo and exercising restraint by both BDR and BSF in their moves in the adverse possession of enclaves.

India is understood to have conveyed at the talks that it would take care of Bangladesh's grievances relating to alleged intrusion by BSF and civilians near Jaintia Hills along the border with Sylhet.

Both sides agreed that tension along the border should be scaled down to the extent possible and should not be allowed to affect bilateral relations.

India, which has security concern upper most, in turn is understood to have been assured of Bangladesh's continued cooperation in apprehending northeastern Indian insurgents.

This the two sides hope would help lowering tension along the border substantially as these are the areas where disputes among locals on both sides of the border are sharper.

Sources said the Joint Record of Discussions is likely to reflect recognition in both sides that the resolve at the highest level of leaderships of the two countries should percolate down to the field level to avoid impression of a communication gap and lack of coordination.

BDR delegation led by its chief Mainul had the four-hour talks with Indian team and later met Indian Home Minister Palaniappan Chidambaram and Home Secretary GK Pillai on Monday.

Wednesday, 10 March 2010

No more killing of 'innocent' by BSF

Assures India at talks of 2 border forces in Delhi

Pallab Bhattacharya, New Delhi

India yesterday assured Bangladesh of "zero tolerance" towards killing of innocent Bangladeshi civilians along the border and border guards of the two countries decided to exercise restraint in adverse possession of enclaves.

The assurance came at the four-hour talks held between BDR and BSF at the latter's headquarters at the Central Government Offices complex here.

It is understood that India would address Bangladesh's serious concerns over alleged intrusion by BSF and setting up of a post in Bangladesh territory near Jaintia Hills in Sylhet region.

Later, BDR Director General Maj Gen Mainul Islam told the Daily Star that he flagged three main concerns of Bangladesh not only during the BDR-BSF talks but also during his separate meetings with Indian Home Minister Palaniappan Chidambaram and Home Secretary Gopal Krishna Pillai in the afternoon.

The three concerns, he said, are--"killing of innocent Bangladeshis at the border, phensydyl manufacturing units on Indian side near Bangladesh border and tension between border security forces of the two countries in adverse possession of enclaves."

Mainul, who headed the Bangladeshi team at the talks, said the Indian side "clearly conveyed to us that they would maintain zero tolerance to killing of innocent Bangladeshis at the borders."

He said, however, Bangladesh also accepted in this context that it too "needs to motivate its people" not to undertake any illegal act across the border.

"We have also agreed to motivate our people," he added.

The BDR chief said that when he raised the issue of smuggling of phensydyl syrup from India, the Indian delegation led by BSF Director General Raman Srivastava reiterated that it would try to locate illegal manufacturing units of the syrup along the border to destroy those.

He said there was nothing wrong with phensydyl per se as it was a cough syrup but when it is mixed with "codeine" then it becomes a "burden for the society."

Mainul Islam said the BDR and BSF also agreed to hold more sector commander level meetings to enhance communication at the ground level.

Describing the BDR-BSF talks and his meetings with Chidambaram and Pillai "cordial and successful," he said "we will see the result soon."

"I am very hopeful of a result, which will strengthen relations between the two countries," he said.

The BDR chief said he has conveyed to the Indian side that when the two countries have agreed to strengthen friendly ties at the highest level and this was reflected in the Joint Declaration of January 12 during Prime Minister Sheikh Hasina's visit to Delhi, this spirit should trickle down to the lower level also.

Mainul, whose delegation members were drawn also from home, water resources and foreign ministries, will visit Agra, Jaipur and Jodhpur before the two sides come out with agreed minutes tomorrow.

Tuesday, 9 March 2010

বিডিআর-বিএসএফ বৈঠক শুরু : সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা করা হবে না: ভারত

| তারিখ: ০৯-০৩-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিরীহ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা সহ্য করা হবে না বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে ভারত। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া বিএসএফ-বিডিআরের মহাপরিচালক পর্যায়ের প্রথম দিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিডিআরের মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম এ কথা বলেন। বৈঠকে মইনুল ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে যোগ দেন বিএসএফের মহাপরিচালক জেনারেল রমন শ্রীবাস্তব। খবর বাসসের।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, নয়াদিল্লিতে বিএসএফের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তাঁরা সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিরীহ বাংলাদেশিদের মৃত্যু, চোরাইপথে বাংলাদেশে ভারতীয় ফেনসিডিলের অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত এলাকার অমীমাংসিত ভূমির মালিকানাবিষয়ক তিনটি প্রধান বিষয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, তিনটি বিষয়েই বিএসএফের পক্ষ থেকে গঠনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, তাঁরা ‘অত্যন্ত আন্তরিক ও সফল’ বৈঠক করেছেন। বিএসএফের মহাপরিচালক তাঁকে তিনটি বিষয়েই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন সে আশ্বাস তাঁরা বাস্তবে দেখতে চান।

বিডিআরের মহাপরিচালক বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই আশ্বাস দিয়েছে যে সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে কোনো নিরীহ বাংলাদেশির মৃত্যু হলে তাঁরা তা কিছুতেই বরদাশত করবেন না। বাংলাদেশে ভারতীয় ফেনসিডিল পাচারের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে বিএসএফের মহাপরিচালক তাঁকে আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অমীমাংসিত ভূমির বিষয়টিও বৈঠকে তোলা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে উভয় দেশ সহিষ্ণুতা বজায় রেখে সমাধানের পথে এগোবে বলে জানানো হয়।

দুই দেশের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য উভয় পক্ষ নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক করতে সম্মত হয়।

বিডিআরের মহাপরিচালক গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন।

আমাদের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানান, বৈঠকে বিএসএফ সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে এক দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে বিএসএফ বিডিআরের সহযোগিতা চায়। সম্প্রতি ঢাকা থেকে ড়্যাবের সদস্যরা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশে মুহাম্মদের পাঁচ সদস্যকে আটক করায় সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত।

বিএসএফের সূত্রগুলো বলেছে, এ মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি ভারতের বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ।

Monday, 8 March 2010

Policy friendly, BSF unfriendly

BDR chief points at need for making the border guards aware of Delhi's intention; plans to take it up during 6-day meeting of two frontier forces in India from today

Julfikar Ali Manik

Director General of Bangladesh Rifles Maj Gen Md Mainul Islam said the desire of Bangladesh and Indian governments for a new phase in bilateral relations should travel down to all levels of Indian border guards.

Unfortunately, this common desire has not been echoed in many cases in the field level personnel of the Border Security Force (BSF) of India, he observed.

Referring to the desire reflected in the joint declaration of Bangladesh and India during the first Delhi visit of Prime Minister Sheikh Hasina in January, the BDR chief expressed the hope the same would be reflected in all levels of BSF.

"This desire is reciprocal, never one-sided," Gen Mainul told The Daily Star on Thursday before his visit to New Delhi today to attend a six-day DG level conference between BDR and BSF.

He was talking at his office about his first fully-fledged meeting with his Indian counterpart. He will lead a 19-member delegation comprising high officials of BDR, home ministry, foreign ministry, Bangladesh-India Joint River Commission and Bangladesh High Commission in New Delhi.

"We have hundred percent will to fulfil the desire of the two leaders of the two countries. But in many cases we don't see the same spirit in the ground level on their side," observed the BDR DG.

He put emphasis on "political will" to solve the problem and improve border situation.

"But this will should be communicated with the true spirit of the political decisions," he said, adding, it is necessary to build confidence between the two nations.

"I would like to tell my counterpart that they must understand the spirit of the two prime ministers," he said.

He said both the premiers agreed in the joint communiqué to comprehensively address all outstanding land boundary issues in line with the spirit of the 1974 Land Boundary Agreement.

"In this context, they agreed to convene the Joint Boundary Working Group to take this process forward."

But the BDR chief observed that lower level BSF personnel do not follow this land boundary agreement in many cases.

"But they should understand the intent of the prime ministers of the two countries. This is a big opportunity for both the countries to improve relations between their brooder guards as both the governments are heading towards a new phase of friendly relations," Gen Mainul added.

He believes the border forces should solve smaller issues at their level. "If these unwanted incidents are stopped at our level, it will improve the friendly relations between the two countries."

As many as 78 Bangladeshis were killed by BSF inside the Indian land since January 2009 till February this year. But no Indian national was killed by the BDR, the force claims.

"Killing of civilians, may be they were trespassers, must stop. This is violation of the border agreement, Indian laws and international human rights."

He added duties have clearly been described in the Joint India-Bangladesh Guideline for Border Authorities 1975. If any citizen trespasses on the land of other country, the border forces can arrest and try them or turn them in to the other side following necessary communications.

"We follow these guidelines. But deaths of our nationals in the hand of BSF is not only unacceptable but also a hatred offence," he observed.

He said forceful occupation of land by BSF has raised a new problem in Sylhet region.

There are some problems about the adverse possessed land. The BSF forcefully possesses some land in Joiynta in Sylhet region since 2006 saying it is adverse possessed land.

The BSF set up a post inside Sylhet border claiming it as "adverse possessed land," which BDR strongly opposed.

At a deputy director general level meeting, BSF promised to remove the post, which is still there.

The BDR chief said he would raise the issue at the DG level meeting, which is scheduled to start in Delhi today.

"I will give them a timeframe to withdraw their post from our land," Gen Mainul said.

He added if there is no unnecessary killing and no intrusion along the border, the friendly relations between the two countries would be strengthened.

He added India should help Bangladesh by shutting down the Phensydyle factories in its land so that the flow of such drugs to Bangladesh stops.

Indiscriminate killing and unprovoked firing by BSF, smuggling, physical verification of border pillars and adverse possessed land, formulation of integrated joint border management, abduction of border people by BSF, and pushing in Indian nationals to Bangladesh are some of the agendas of the upcoming DG level meeting.

"If we can improve the friendly relations solving these problems, we'll go further towards trade issues, which is very important for both the neighbours," Gen Mainul observed.

Thursday, 4 March 2010

BSF kills 2

Our Correspondent, Thakurgaon

Indian Border Security Force shot dead two cattle traders, one Bangladeshi and one Indian citizen, at the Dharmagarh border in Ranishankoil upazila of Thakurgaon early yesterday.

The victims were identified as Abdul Quaium, 30, son of Abdul Kader of Kathaldangi under Haripur upazila of Thakurgaon and Mohammad Bodhu Miah,32, son of Mongolu of Dakkhin Dinajpur district in India.

Bangladesh Rifles, police and local sources said, BSF members opened fire on a group of cattle traders around 4.30am near Darmagarh border when they were trading cattle.

The Indian national Bodhu Miah died on the spot while Bangladeshi national Abdul Quaium received injuries in the BSF shooting. National Security Intelligence and BDR sources confirmed the death of Indian citizen.

Locals rescued Quaium and rushed him to Ranishankoil Health Complex where the on-duty doctor declared him dead.

BSF personnel took away the body of Bodhu Miah immediately after the incident.

BDR in a letter to BSF strongly protested the unprovoked killing and asked its Indian counter part to refrain from such incident.

Border rules not followed by BSF

Says BDR chief
Staff Correspondent, Sylhet

Trans-border issues including "adverse possessed lands" would be tabled in the director general-level conference beginning from March 7 in New Delhi, said Bangladesh Rifles (BDR) Chief Maj Gen Md Mainul Islam yesterday.

"The Indian Border Security Force (BSF) are off to occupy our lands on the plea of having adverse possessed lands," Mainul Islam said.

The BDR director general (DG) is expected to lead a 19-member delegation in the five-day DG-level conference.

While visiting Dibir Haor area in Jaintapur, the DG told journalists that steps had been taken to make the border guards better equipped. A major reshuffle in BDR is underway through which facilities of BDR jawans would be increased, he added.

He made the visit amid a tense situation between the border guards of the two countries. Earlier on February 27, BDR and BSF exchanged gunshots over intrusion of Indian nationals into Bangladesh territory.

He regretted that despite repeated urge BSF is not following the border rules and intrude into Bangladesh territory.

He said a new outpost would be set up in Dibir Haor as the existing outposts are less in number than that of the Indian counterpart.

During a briefing at Sylhet BDR headquarters later in the afternoon, he accused BSF of firing at innocent Bangladeshi civilians. "They even made children and quarry labourers their targets," he said.

The BDR jawans were left with no choice but to retaliate, said the BDR chief.

Sylhet Sector Commander Col Neamul Islam Fatemi and other officials accompanied the DG during his visit. Mainul Islam also met Shillong BSF Deputy Inspector General (DIG) RK Ravigandhi during his visit at Dibir Haor border.

Throughout February, the Indians have repeatedly attempted to fish in Dibir Haor and Kendri Beel area. But they failed in the face of resistance by locals and BDR jawans.

Wednesday, 3 March 2010

বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ০৩-০৩-২০১০


ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও একজন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী গ্রামের আবদুল কাইউম ও ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মোহাম্মদ বধু মিয়া (৩২)।
কমান্ডার লে. কর্নেল মাহফুজ আলম জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিডিআরের পক্ষে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Monday, 1 March 2010

জৈন্তাপুর সীমান্তে উত্তেজনা : ভারতীয় খাসিয়াদের মাছ ধরা নিয়ে বিডিআর ও বিএসএফ গুলিবিনিময়




নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ০১-০৩-২০১০


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্ত এলাকায় গতকাল রোববার বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়েছে। এর আগে বিএসএফের সহযোগিতায় জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে ভারতীয় খাসিয়ারা মাছ ধরতে এলে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএসএফের নজরদারিতে মাছ ধরা শেষ হলে ওই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী ও বিডিআর সূত্রে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ১২৮৪ নম্বর পিলারের প্রায় ৪০০ গজ ভেতরে সকাল নয়টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ৫৮ জন বিএসএফ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে একদল ভারতীয় খাসিয়া জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে মাছ ধরতে নামে। সীমান্ত অতিক্রম করায় ওই এলাকায় টহলরত ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ছয়জন বিডিআর জওয়ান বিএসএফকে মৌখিকভাবে বাধা দেয়। কিন্তু বিএসএফ বাধা অতিক্রম করে ডিবির হাওরপাড়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে টহলরত বিডিআর জওয়ানেরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের সেখান থেকে ফাঁড়িতে চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে বিএসএফ হাওর এলাকা থেকে সীমান্তের ওপারে গিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়। ওপার থেকে বিএসএফের নজরদারিতে ডিবির হাওরে খাসিয়ারা বেলা তিনটা পর্যন্ত মাছ ধরে। ডিবির হাওর থেকে খাসিয়ারা চলে যাওয়ার পরপরই মুক্তারপুর ও হাওয়ায় টিলা ক্যাম্প থেকে বিএসএফ অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। হাওরপাড়ের মন্দির টিলা থেকে বিডিআরও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময় চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এতে ডিবির হাওরসহ জৈন্তাপুর সীমান্তের পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার এলাকার গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীর অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ডিবির হাওর থেকে বিএসএফের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভারতীয় খাসিয়ারা মাছ ধরে নিয়ে গেছে। বেলা তিনটা ১০ মিনিটে বিডিআরকে উদ্দেশ্য করে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। বিডিআরও পাল্টা জবাব দেয়। বিডিআর তিনটা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি ছোড়ে। কিন্তু বিএসএফ একনাগাড়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত গুলি ছুড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ডিবির হাওরে মাছ ধরা নিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিডিআর-বিএসএফ একাধিকবার গুলিবিনিময় হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় বিডিআর-বিএসএফের উচ্চপর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় খাসিয়ারা ডিবির হাওরে মাছ ধরতে এলে বাংলাদেশি গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ওপারে চলে যায়।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের হাওর থেকে মাছ ধরা নিয়ে বিডিআর-বিএসএফ গুলিবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | তারিখ: ০১-০৩-২০১০


সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বাংলাদেশের ডিবির হাওর থেকে আজ রোববার মাছ ধরে নিয়ে গেছে একদল ভারতীয় খাসিয়া। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাসিয়ারা মাছ ধরে। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) খাসিয়াদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই নিয়ে বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় গুলিবিনিময় হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী ও বিডিআর সূত্র জানায়, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে আজ সকাল নয়টার দিকে বিএসএফের সহযোগিতায় একদল ভারতীয় খাসিয়া মাছ ধরতে নামে। সীমান্ত অতিক্রম করায় ওই এলাকায় টহলরত ২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ছয়জন বিডিআর জওয়ান বিএসএফকে বাধা দেন। কিন্তু বিএসএফ তখন বাধা অতিক্রম করে ডিবির হাওরপাড়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে টহলরত বিডিআর জওয়ানেরা সেখান থেকে ফাঁড়িতে চলে আসেন। বিডিআর চলে আসায় বেলা ১১টার দিকে বিএসএফও হাওর এলাকা থেকে সীমান্তের ওপারে গিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়। ওপার থেকে বিএসএফের নজরদারির মধ্যে ডিবির হাওরে খাসিয়ারা প্রায় বিকেল তিনটা পর্যন্ত মাছ ধরে। ডিবির হাওর থেকে খাসিয়ারা চলে যাওয়ার পর বিএসএফ অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। এরপর বিডিআরও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এভাবে পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময় চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এ সময় ডিবির হাওরসহ জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ডিবির হাওর থেকে বিএসএফের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভারতীয় খাসিয়ারা মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আজ বিকেল তিনটা ১০ মিনিটের দিকে বিডিআরকে উদ্দেশ করে বিএসএফ গুলি ছুড়লে বিডিআরও পাল্টা জবাব দেয়। বিডিআর তিনটা ৩৫ পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি ছোড়ে। কিন্তু বিএসএফ একনাগাড়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত গুলি ছোড়ে।

উল্লেখ্য, বাংলদেশের ডিবির হাওরে মাছ ধরা নিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিডিআর-বিএসএফ একাধিকবার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিডিআর-বিএসএফের উচ্চপর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।

Saturday, 27 February 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত



নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৭-০২-২০১০


ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শফিকুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন মিয়া জানান, গরু ব্যবসায়ী শফিকুল উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবদুস সাত্তারে ছেলে। গরু আনতে গত বুধবার তিনি ভারতে যান। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ভারতের রামনগর ক্যাম্পের বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা রাইফেল ৩৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সুলতান আহম্মদ জানান, সীমান্তরেখা থেকে ভারতের ভেতর ৭০০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে। লাশ ফেরত আনার জন্য বিডিআরের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Friday, 26 February 2010

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত



নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৬-০২-২০১০


ঝিনাইদহের মহেশপুরের সঙ্গে ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য স্বপন মিয়া জানান, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। বুধবার তিনি গরু আনতে অবৈধভাবে ভারতে যান। এরপর সেখান থেকে আজ ভোরে দেশে ফেরার পথে বাঘাডাঙ্গা সীমান্তের কাছে ভারতের রামনগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
চুয়াডাঙ্গা বিডিআরের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সুলতান আহম্মদ জানান, ভারতের ৭০০ গজ ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়। লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত




নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি | তারিখ: ২৬-০২-২০১০


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর-ফতেপুর সীমান্তের ওপারে গত বুধবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুকুল আলী (২৮) নামের একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি রঘুনাথপুরের খাসিয়াপাড়া গ্রামে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা মেজর নজরুল ইসলাম জানান, সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের এক হাজার গজ ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে আন্তর্জাতিক সীমানার ১০ নম্বর মেইন পিলারের সাব-পিলার ২/এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু আনার সময় ১৫১ সাদঘাটি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা মুকুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিডিআরের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Thursday, 25 February 2010

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিডিআর-বিএসএফ গুলিবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ২৪-০২-২০১০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটায় বিডিআর-বিএসএফের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর নজরুল হোসেন জানান, ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বৈষ্ণবপুর থানার সবদেরপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহলরত বিডিআরকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়ে। বিডিআরও পাল্টা ৮-১০টি গুলি করে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তিনি আরও জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Friday, 19 February 2010

পঞ্চগড়ে পিটিয়ে হত্যা, সাতক্ষীরায় কবজি কেটে নিয়েছে বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ১৯-০২-২০১০


ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা গত বুধবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড়ের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পৃথক ঘটনায় সাতক্ষীরার এক রাখালের বাঁ হাতের কবজি কেটে নিয়েছে তারা। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে স্পিডবোটের পাখা দিয়ে সাতক্ষীরার আরেক রাখালকে জখম করেছে বিএসএফ।

পঞ্চগড়ে নিহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৬০)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের নরদেবপাড়া গ্রামে। কবজি হারানো গোলাম হোসেনের (৩৫) বাড়ি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। স্পিডবোটের আঘাতে আহত নূর ইসলাম (২৮) কালীগঞ্জের কাটুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পঞ্চগড় ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন বুধবার রাতে অজ্ঞাত কারণে অমরখানা সীমান্তে ভারতীয় এলাকায় যান। এ সময় ভারতীয় খালপাড়া ফাঁড়ির বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আনোয়ারের লাশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ভারতীয় অংশে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অমরখানা সীমান্তের ৭৪৪ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় বিডিআর-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা-বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফের সদস্যরা আনোয়ারের লাশ বিডিআরের কাছে ফেরত দেয়। পরে বিডিআর আনোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহত আনোয়ার হোসেনের ভাতিজা অভিযোগ করেন, আনোয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি ভুল করে ভারতীয় এলাকায় চলে গেলে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়।

বিডিআরের ভিতরগড় কোম্পানি সদরের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএসএফ আনোয়ারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পঞ্চগড় ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর এ কে এম হাসিবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আনোয়ারের শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন নেই। তবে তাঁকে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকেরা পিটিয়ে হত্যা করতে পারে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

এদিকে গতকাল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গেলে কবজি হারানো গোলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার তিনি এবং তাঁর গ্রামের পাঁচ ব্যক্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হঠাত্গঞ্জের হাটে গরু আনতে যান। বুধবার রাত তিনটার দিকে তাঁরা ছয়টি গরু নিয়ে হাকিমপুর বাজারের কাছে এলে হাকিমপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও তিনি ধরা পড়ে যান।

বিএসএফের সদস্যরা গোলাম হোসেনকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাঁ হাতের কবজি কেটে নেয়। পরে তাঁকে হাকিমপুর সীমান্তের সোনাই নদী দিয়ে বাংলাদেশে পার করে দেয়। এরপর লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।